কুর্গ রাজ্য | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ভারতের প্রাক্তন রাজ্য | |||||||||
১৯৫০–১৯৫৬ | |||||||||
ভারতে কুর্গ রাজ্যের অবস্থান | |||||||||
সরকার | |||||||||
মুখ্যমন্ত্রী | |||||||||
• ৬ বছর | সি এম পুনাচ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• কুর্গ প্রদেশ থেকে কুর্গ রাজ্য গঠন | ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ | ||||||||
• মহীশূর রাজ্যে একীভূত হয় | ১ নভেম্বর ১৯৫৬ | ||||||||
| |||||||||
১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের রাজ্যসমূহ |
কুর্গ রাজ্য ভারতের একটি পার্ট-সি রাজ্য ছিল। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল।[১] ১৯৫০ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হলে, তৎকালীন সময়ে বিদ্যমান বেশিরভাগ প্রদেশকে রাজ্যে পুনর্গঠিত করা হয। ফলে কুর্গ প্রদেশটি কুর্গ রাজ্যে পরিণত হয়। কুর্গ রাজ্যের রাজধানী ছিল মাদিকেরী। রাজের নামেমাত্র শাসক ছিলেন একজন প্রধান কমিশনার। সরকারের প্রধান তথা রাজ্যের নির্বাহী প্রধান ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । ১৯৫৬ সালে ভারতের রাজ্যগুলোকে পুনর্গঠিত করার লক্ষ্যে প্রণীত রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে কুর্গ রাজ্যটি বিলুপ্ত করা হয় এবং এর অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটিকে মহীশূর রাজ্যের সাথে একীভূত করা হয় (পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে কর্ণাটক নামে নামকরণ করা হয়)।[২] বর্তমানে, কুর্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি কর্ণাটক রাজ্যের একটি জেলা গঠন করেছে।
ভারতের সংবিধান অনুসারে ১৯৫০ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে রাজ্য টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধান কার্যকর হওয়ার আগে কুর্গ প্রদেশ ছিল ভারত অধিরাজ্যের একটি প্রদেশ।
১৯৫২ সালে কুর্গ রাজ্যের প্রথম আইনসভা (বিধানসভা) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রধান প্রার্থীরা ছিলেন সি এম এম পূুনাচার নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং গান্ধীবাদী পাণ্ড্যন্দ বেলিয়াপ্পার নেতৃত্বে তক্কাদি পার্টি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিবেশী মহীশুর রাজ্যের সাথে একীভূত হওয়ার পক্ষে আর তক্কাদি দলটি মহীশুর রাজ্যে একীভূত হওয়ার বিরোধী হিসেবে নির্বাচনে লড়ে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৫ টি আসনে জয় লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং তক্কাদি পার্টি বাকি নয়টি আসন পায়।
১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সালে পর্যন্ত দেওয়ান বাহাদুর কেতোলিরা চেঙ্গাপ্পা কুর্গ রাজ্যের প্রথম প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর সি.টি. মুদালিয়ার ১৯৪৮–১৯৫০ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রধান কমিশনার ছিলেন।[১] সবশেষে কানওয়ার বাবা দয়া সিং বেদী ১৯৫০–১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কুর্গ রাজ্যের সর্বশেষ প্রধান কমিশনার ছিলেন।[১]
বিধানসভা নির্বাচনে ২৪টির মধ্যে ১৫ টি আসনে জয় লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় কুর্গে রাজ্যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকার গঠন করে। একজন মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও একজন মন্ত্রী নিয়ে মোট দুই সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিপরিষফ গঠ্ন করা হয়। রাজ্যের এই একমাত্র মন্ত্রিসভা ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বরে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে রাজ্যটি বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
বেরিয়্যাথনাড বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত চেপুদির মুথানা পুণাছ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কুর্গ রাজ্যের প্রথম এবং একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [১]
মুখ্যমন্ত্রী চেপুদিরা মুথানা পুণাচ এই দায়িত্বের পাশাপাশি কুর্গ রাজ্যের জন্য অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর কুতুর শনিভারসন্তে বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে মল্লপা কুর্গ রাজ্যের স্বরাজ্যমন্ত্রী হন।
১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ভারতের রাজ্য সীমানা পুনর্গঠন করা রাজ্য পুনর্গঠন আইন প্রণয়ন করা হলে কুর্গ রাজ্য মহীশূর রাজ্যে একীভূত হয়ে তৎকালীন মহীশূর রাজ্যের একটি জেলাতে পরিণত হয়। [১][৩][৪] পরে মহীশূর রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে কর্ণাটক নামে নামকরণ করা হয়। ঐতিহাসিক কুর্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি বর্তমানে কর্ণাটক রাজ্যের কোড়গু জেলা গঠন করেছে। [৫]