কুলাউড়া | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে কুলাউড়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩০′ উত্তর ৯২°৩′ পূর্ব / ২৪.৫০০° উত্তর ৯২.০৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
সংসদীয় আসন | মৌলভীবাজার-২ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদশূন্য[১] |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | পদশূন্য[২] |
আয়তন | |
• মোট | ৫৪৫.৭৩ বর্গকিমি (২১০.৭১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৩] | |
• মোট | ৩,৬০,১৯৫ |
• জনঘনত্ব | ৬৬০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৮% (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর), ৪৬.২% (আদমশুমারি ২০১১) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩২৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ ৬৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
কুলাউড়া উপজেলা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা এবং একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১৯৮২ সালে কুলাউড়া উপজেলায় উন্নীত হয়।[৪][৫]
কুলাউড়া উপজেলার অবস্থান ২৪.৫১৬৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯২.০৩৩৩ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। আয়তন ৬৭৯.২৫ বর্গ কিলোমিটার (২৬২ বর্গ মাইল)। এই উপজেলার উত্তরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ও বড়লেখা উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে জুড়ী উপজেলা, পশ্চিমে রাজনগর উপজেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা।[৫]
কুলাউড়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কুলাউড়া থানার আওতাধীন।[৬]
শাহা হেলিম উদ্দিন কোরেশী নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় মোঘল সুবাদার এর কাছ থেকে দেওয়ানী পাওয়ার পর মনসুর গ্রামের প্রখ্যাত দেওয়ান মামন্দ মনসুরের পিতামহ মামন্দ মনোহরের ভ্রাতা মামন্তদ কুলাঅর কুমার থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর মামন্দ মনোহর ভ্রাতার স্মৃতি রক্ষার্থে নিজ জমিদারির পূর্বাংশে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করে নাম রাখেন 'কুলঅরার বাজার'। কালক্রমে 'কুলঅরার বাজার' থেকে 'কুলাউড়া' নামকরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকির বেশিরভাগ অংশ কুলাউড়ার অধীনে। এছাড়াও লংলিয়া, গোয়ালজোর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হাওর। মনু সবচেয়ে বড় ও প্রধান নদী। হাওর আর নদী ছাড়া এই অঞ্চলের বেশিরভাগ স্থানই সমতল। তাছাড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে পাহাড়ি বন বিস্তৃত যা কুলাউড়া পাহাড় নামে পরিচিত। পাহাড়ী জনপদ রয়েছে যার বৈচিত্রতা পরিলক্ষিত হয়।[৪]
১১ মার্চ ১৯৯১ | ২২ জানুয়ারি ২০০১ | ১৫ মার্চ ২০১১ |
---|---|---|
৩,৩৯,৬৭৩ জন[৫][৭] | ৩,৯৫,৮৭৮ জন[৭] | ৩,৬০,১৮৫ জন[৭] |
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারী অনুযায়ী উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৩৯,৬৭৩ জন (২০১১-তে তা হয় ৩,৬০,১৮৫ জন)। তন্মধ্যে ২০০১-এ পুরুষ ৫১.০৯ শতাংশ, এবং নারী ৪৯.৯১ শতাংশ। ২০১১ সালে পুরুষ ৪৮.৮১ এবং নারী ৫১.১৮ শতাংশ। এলাকার জনসংখ্যার সিংহভাগ মুসলমান (৭৪.২১ শতাংশ); এছাড়াও রয়েছেন হিন্দু (২৪.৫৮ শতাংশ), খ্রিস্টান (১.১২ শতাংশ) ধর্মাবলম্বী। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছেন ০.০৯ শতাংশ। আদিবাসীদের মধ্যে অন্যতম খাসিয়া, মণিপুরী এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়, এদের সংখ্যা ৬,১৯৪ জন।[৫]
কুলাউড়া উপজেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৬০ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.১০ শতাংশ (পরিবার পরিল্পনা অফিস) বা ১.৩৯ শতাংশ (জাতীয়)। [৮]
উপজেলায় শিক্ষার হার ৫১.০৮ শতাংশ।
নদী ও হাওরগুলো মৎস্যের প্রধান উৎস। এছাড়া হাওরগুলোতে বিভিন্ন মৌসুমে প্রচুর বোরো, আউশ, আমন, শাইল ধান উৎপাদিত হয়। এছাড়া কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
মূলত কৃষি নির্ভর। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবি সম্প্রদায় রয়েছে। এই উপজেলার অর্থকরি ফসলের মধ্যে চা অন্যতম। এছাড়া রাবারেরও উৎপাদন হয়।[৪]
সড়ক পথে মৌলভীবাজার এবং ওপর দিক থেকে বড়লেখা হয়ে রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে রেল যোগাযোগ। কুলাউড়া রেল জংশন একটি প্রাচীনতম রেল জংশন।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |