সংঘ | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ক্রিকেট সংস্থা |
---|---|
কর্মীবৃন্দ | |
অধিনায়ক | রামোন সিলি |
কোচ | পিয়ারসন বেস্ট |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব বারমুডা (টরন্টো, কানাডা; ২৭ আগস্ট, ২০০৫) |
লিস্ট এ অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব গায়ানা (দ্য ভ্যালি, অ্যাঙ্গুইলা; ১১ অক্টোবর, ২০০০) |
টোয়েন্টি২০ অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব বাহামা দ্বীপপুঞ্জ (কিং সিটি, কানাডা; ১১ জুলাই, ২০০৬) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (১৯৯৭) সহযোগী (২০০২) |
আইসিসি অঞ্চল | আইসিসি আমেরিকাস |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | ২০১৭ পঞ্চম বিভাগ |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (কিং সিটি, কানাডা; ৭ আগস্ট, ২০০০) |
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ অনুযায়ী |
কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন বিদেশী অঞ্চল হিসেবে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করছে। ২০০২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী সদস্য কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ক্রিকেট সংস্থা কর্তৃক দলটি পরিচালিত হয়। এরপূর্বে ১৯৯৭ সাল থেকে অনুমোদিত সদস্য পদ লাভ করেছিল দলটি।[১]
২০০০ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত আমেরিকাস ক্রিকেট কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের।[২] ঐ বছরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা রেড স্ট্রিপ বোলে অংশগ্রহণ করে দলটি। ঐ খেলাগুলো লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা লাভ করে।[৩] ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে কেইম্যানরা প্রায়শঃই আইসিসি আমেরিকাস অঞ্চলের তৃতীয় সেরা দল হিসেবে বারমুদার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতো। তখন দলটি কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে অবস্থান করছিল। তবে, ২০০৫ সালে আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করা হলে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়।[৪] এরফলে দলটির প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের দিকে ধাবিত হয়।[৫]
২০০৬ ও ২০০৮ সালে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ স্টানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতার খেলাগুলো টুয়েন্টি২০ মর্যাদা লাভ করে।[৬] এ সকল প্রতিযোগিতার মাঝখানে দলটি নবপ্রবর্তিত বিশ্ব ক্রিকেট লীগে (ডব্লিউসিএল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরফলে ২০০৭ সালের তৃতীয় বিভাগে খেলার সুযোগ পায়। কেইম্যানরা অল্পের জন্য স্থানলাভে ব্যর্থ হয়। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু, ২০০৯ সালের তৃতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতায় অবনমনের মুখোমুখি হয় তারা। ২০১০ সালে চতুর্থ বিভাগে নেমে যেতে বাধ্য হয়। এরপর ২০১২ সালের পঞ্চম বিভাগে চলে যায়। এছাড়াও, ২০১৪ সালের পঞ্চম বিভাগের প্রতিযোগিতায় কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ পঞ্চম স্থান দখল করলে তারা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের ষষ্ঠ বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
এপ্রিল, ২০১৮ সালে আইসিসি তাদের সকল সদস্যকে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের (টি২০আই) মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের সাথে অন্যান্য দলের টুয়েন্টি২০ খেলাগুলো ১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখ থেকে পূর্ণাঙ্গ টি২০আইয়ের মর্যাদা পাবে।[৭] দক্ষিণাঞ্চলের উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বের গ্রুপে খেলায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে। ফলে, ২০১৮-১৯ মৌসুমের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ আমেরিকাস বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পায়। [৮]
১৯৯৭ সালে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ আইসিসির অনুমোদিত সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়। এর তিন বছর পর কানাডায় অনুষ্ঠিত আইসিসি আমেরিকাস চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমবারের মতো কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ঐ প্রতিযোগিতায় দলটি চতুর্থ স্থান দখল করে। কেবলমাত্র আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল তারা।[৯] ঐ বছরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০০-০১ মৌসুমের রেড স্ট্রিপ বোল প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো লিস্ট এ খেলায় অংশ নেয়। বারমুদা, গায়ানা, লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কিন্তু, সবগুলো খেলাতেই পরাজয়বরণ করে দলটি।[১০]
কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ২০০২ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। ঐ বছর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সে অনুষ্ঠিত আমেরিকাস চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় তৃতীয় স্থান দখল করেছিল দলটি। এ সময় তারা আর্জেন্টিনা, বাহামা ও বারমুদার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল।[১১] ২০০৪ সালের আমেরিকাস চ্যাম্পিয়নশীপের মাধ্যমে ২০০৫ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় বাছাইপর্ব ধার্য করা হয়। ২০০২ সাল থেকে দলটি তৃতীয় স্থান দখলের পুণরাবৃত্তি ঘটিয়ে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে। তবে, কেবলমাত্র আর্জেন্টিনা ও বাহামার বিপক্ষে জয় পেয়ে দলটি চতুর্থ স্থান দখল করে।[১২] এ ফলাফলের মাধ্যমে তারা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২০০৫ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত রিপিচাজ প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পায়। প্লে-অফ খেলায় কুয়েতকে পরাজিত করে প্রতিযোগিতার পঞ্চম স্থান অর্জন করে।[১৩]
২০০৫ সালের শেষদিকে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত আইসিসি সহযোগী সদস্যদের নিয়ে গড়া আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপে অংশ নেয়। তবে, প্রথম রাউন্ডেই বারমুদা ও কানাডার কাছে পরাজিত হলে সেমিফাইনালে খেলায় সুযোগ পায়নি তারা।[১৪] ২০০৬ সালে উদ্বোধনী স্টানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রাথমিক রাউন্ডে বাহামাকে পরাজিত করে।[১৫] কিন্তু, প্রথম রাউন্ডে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কাছে পরাজয়বরণ করে।[১৬]
আগস্ট, ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনা ও কানাডাকে পরাজিত করে আইসিসি আমেরিকাস চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম বিভাগে তৃতীয় স্থান দখল করে।[১৭] এরফলে দলটি অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে ২০০৭ সালের মে/জুন মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ক্রিকেট লীগের তৃতীয় বিভাগে খেলার জন্য মনোনয়ন পায়। প্রথম রাউন্ডে হংকং ও তাঞ্জানিয়াকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে অগ্রসর হয় কেইম্যান দল। এরপর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হলে প্লে-অফ খেলায় পাপুয়া নিউগিনির কাছে হেরে প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান পায়।[১৮] ২০০৯ সালে তারা পুনরায় তৃতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে পঞ্চম স্থান পায়। এরফলে দলটি ২০১০ সালের চতুর্থ বিভাগে অবনমন ঘটে। আর্জেন্টিনার ন্যায় দলটি আবারো রান খরার কবলে পড়ে। কেবলমাত্র আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে পঞ্চম স্থান পায়। ২০১২ সালে কিছুটা উত্তরণ ঘটিয়ে পঞ্চম বিভাগের প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়।