কর্মীবৃন্দ | |
---|---|
অধিনায়ক | দর্শন চৌহান |
কোচ | ক্রিস স্কট |
দলের তথ্য | |
প্রতিষ্ঠা | ১৮২০ |
স্বাগতিক মাঠ | ফেনার্স |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | কেমব্রিজ টাউন ক্লাব ১৮১৭ সালে পার্কার্স পিস, কেমব্রিজ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | www |
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব (সিইউসিসি) (ইংরেজি: Cambridge University Cricket Club (CUCC)) কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেট ক্লাববিশেষ। সর্বদাই এ ক্লাবটি গুরুত্বপূর্ণ কিংবা প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা ধরে রেখেছে। নির্ভরযোগ্য উৎসমূলে ১৮১৭ থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত শ্রেণীবদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এ ক্লাবটি।[১][২]
১৮৯৫ সাল থেকে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্লাবটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম-শ্রেণীর দল হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। কেবলমাত্র ১৯৭৩ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ[৩] ও লিস্ট এ খেলার দলরূপে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৪]
এ ক্লাবের প্রায় ১,২০০ সদস্য রয়েছে। ফেনার্সে খেলার আয়োজন করা হয়। সিইউসিসি’র ব্লুজ ও ক্রুসেডার্স নামীয় দুইটি পুরুষ দল এবং সিইউডব্লিউসিসি নামের একটি মহিলা দল রয়েছে। একত্রে প্রত্যেক মৌসুমে প্রায় ১০০ দিনব্যাপী ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮২৭ সালে কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ডের মধ্যকার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বর্তমানে ক্লাবটির একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলা হিসেবে প্রত্যেক মৌসুমে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে।
এছাড়াও, সিইউসিসি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স সেন্টারের (ইউসিসি) অংশবিশেষ পরিচালিত করছে। তন্মধ্যে, অ্যাংলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইসিবি থেকে এমসিসির পরিচালনার বিষয়টি স্থানান্তরিত হলে ইউসিসি ২০১০ মৌসুমের পূর্বে কেমব্রিজ এমসিসি (এমসিসিইউ) নামে নতুনভাবে পরিচিতি পেয়েছিল। পুরুষ ও মহিলাদের এমসিসিইউ উভয় দল ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটিজ এন্ড কলেজেস স্পোর্ট (বিইউসিএস) প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। তাছাড়াও ক্লাবটি বাইরে দল প্রেরণ করাসহ বার্ষিক আন্তঃকলেজ কাপার্স ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।
১৭১০ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেট খেলা আয়োজনের প্রথমদিকের উৎসমূলে উল্লেখ রয়েছে। ১৭৫৪ ও ১৭৫৫ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দল এটন দলের বিপক্ষে খেলেছিল। তবে ঐ খেলাগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তবে এটন দলে বর্তমান কিংবা প্রাক্তন ছাত্রদের অংশগ্রহণ ছিল কি-না জানা যায়নি।
কেমব্রিজ টাউন ক্লাবের বিপক্ষে বার্ষিক সিরিজ আকারে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় খেলতে শুরু করে। ৩০ মে, ১৮১৭ তারিখে কেমব্রিজশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের মূল দলও এতে সম্পৃক্ত ছিল।[৫] উভয় দলই গুরুত্বপূর্ণ খেলার মর্যাদা পেয়েছিল।
সকল ধরনের সিইউসিসি দল সাংবার্ষিকভিত্তিতে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অংশগ্রহণ করছে। পাশাপাশি লেন্ট ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে অন্যান্য খেলায় অংশ নেয়। প্রথম দলটি চারদিনের বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অংশ নেয় যা প্রথম-শ্রেণীর খেলার মর্যাদা পায়। পরবর্তী দলগুলোর খেলা ফেনার্স ও পার্কসে অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে লর্ডসে একদিনের খেলা হিসেবে সিইউডব্লিউসিসি দল একদিনের বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অংশ নেয়। ক্রুসেডার্স দল অথেনটিকসের বিপক্ষে তিনদিনের খেলাসহ একদিনের ও টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশগ্রহণ করে।
যে সকল ক্রিকেটার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা ব্লু লাভ করেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপকতা নির্দেশক ক্রীড়ার অর্জনবিশেষ। বর্তমানে লর্ডসে একদিনের খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রথম একাদশের খেলোয়াড় কিংবা চারদিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ব্লু প্রদান করা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় একাদশের দল ক্রুসেডার্সের পক্ষে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়গণ কালার লাভ করেন যদি তারা অক্সফোর্ডের টিকসের বিপক্ষে খেলেন।
শীতকালীন ব্যাপক সময়ে প্রশিক্ষণ দল ও গ্রীষ্মের মাসগুলোয় অনেক খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করলেও সর্বোচ্চ ১২জনকে ব্লু ও ১২জনকে কালার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মহিলা ক্রিকেটারদেরকে অর্ধ-ব্লু প্রদান করা হয় যদি তাঁরা লর্ডসে একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে থাকেন। পূর্ণাঙ্গ ব্লু লাভের জন্য তাঁদেরকে ব্লু প্রদানকারী কমিটির প্রদত্ত শর্ত প্রতিপালন করতে হয়।
সাম্প্রতিককালে অক্সফোর্ড/কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাগুলোয় নিয়মিতভাবে দুই বিশ্ববিদ্যালয় দলে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ২০০৯ সালে চারদিনের খেলায় কেমব্রিজ জয়লাভ করলেও একদিনের খেলায় পরাজিত হয়েছিল। ২০১০ সালে কেমব্রিজের ব্লু দল প্রথমবারের মতো তিন খেলায় অংশ নেয়। টুয়েন্টি২০, চারদিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলা ও লর্ডসের একদিনের খেলা। তবে, টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশগ্রহণকারীদেরকে কালার প্রদান করা হয়নি। লর্ডসে একদিনের খেলায় ২৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করলে তারা এ জয় পায়। ২০১১ সালে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে তিন খেলার সর্বকটিতেই জয় পায় তারা। ফলশ্রুতিতে দলটি বর্ষসেরা হক ক্লাব দলের মর্যাদা লাভ করে।
২০১২ সাল বৃষ্টিতে আক্রান্ত হওয়া মৌসুমে উপর্যুপরী তৃতীয় বছর লর্ডসের একদিনের খেলায় জয় পায়। পার্কসের টুয়েন্টি২০ খেলায় পরাজিত হয় ও চারদিনের খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ২০১৩ সালে লর্ডস জয়সহ চারদিনের বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় জয়ী হয় অক্সফোর্ড দল।
কেমব্রিজ ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স সেন্টার (ইউসিসিই) দল ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ২৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কেমব্রিজ মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ইউনিভার্সিটিজ দল চৌদ্দটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিল।
১৮২১ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট এ খেলার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি মাঠ ব্যবহার করে আসছে। নিচের তালিকা তা তুলে ধরা হলো। ২০১৪ মৌসুম পর্যন্ত পরিসংখ্যান সঠিক।
নাম | স্থান | প্রথম | শেষ | খেলা | প্রথম | শেষ | খেলা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এফসি | এলএ | |||||||
ইউনিভার্সিটি গ্রাউন্ড | বার্নওয়েল | ২৪ মে, ১৮২১ ব কেমব্রিজ টাউন ক্লাব |
৩০ মে, ১৮৩৯ ব কেমব্রিজ টাউন ক্লাব |
৮ | — | — | ০ | [৬][৭] |
পার্কার্স পিস |
কেমব্রিজ | ২৭ মে, ১৮৩৫ ব মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব |
১৩ মে, ১৮৪৭ ব মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব |
১৩ | — | — | ০ | [৮][৯] |
ফেনার্স |
কেমব্রিজ | ১৮ মে, ১৮৪৮ ব মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব |
৫ জুলাই, ২০১৬ ব অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
৮৪১ | ৬ মে, ১৯৭২ ব ওরচেস্টারশায়ার |
১১ মে, ১৯৭৪ ব এসেক্স |
৪ | [১০][১১][১২] |