কোরাপুট জেলা କୋରାପୁଟ ଜିଲ୍ଲା | |
---|---|
ওড়িশার জেলা | |
ওড়িশায় কোরাপুটের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
প্রশাসনিক বিভাগ | দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগ |
সদরদপ্তর | কোরাপুট |
তহশিল | ১৪ |
আয়তন | |
• মোট | ৮,৮০৭ বর্গকিমি (৩,৪০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,৭৯,৬৪৭ |
• জনঘনত্ব | ১৬০/বর্গকিমি (৪১০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৪৯.২১ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ১০৩২ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৫৬৭ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কোরাপুট জেলা (ওড়িয়া: କୋରାପୁଟ ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. কোরাপুট জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ১৯ চৈত্র ১৩৪২ বঙ্গাব্দে(১লা এপ্রিল ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ) সমগ্র কোরাপুট জেলাটি গঠন করা হয়৷ ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে(১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দ) কালাহান্ডি জেলার কাশীপুর তহশিল কোরাপুট জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ আবার ১৪ আশ্বিন ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে(১লা অক্টোবর ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দ) পূর্বতন কোরাপুট জেলা থেকে অপর তিনটি জেলাসহ নতুন কোরাপুট জেলা গঠিত হয়৷ জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর কোরাপুট শহরে অবস্থিত এবং কোরাপুট মহকুমা ও জয়পুর মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
কোরাপুট জেলার প্রথম জেলাশাসক মাননীয় আর.সি.এস বেলের তথ্যপ্রমাণ অনুসারে অঞ্চলটির নাম ছিলো কোরাপুটি যা দুটি শব্দ করা ও পুটির সমন্বয়ে গঠিত৷ এর অর্থ কুচিলা(নাক্সভমিকা) গাছের আড়ত৷ যদিও বর্তমানে এই গাছের উপস্থিতি নেই৷[১]
জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের কালাহান্ডি জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ওড়িশা রাজ্যের রায়গড়া জেলা৷ জেলাটির পূর্বে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিজয়নগরম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিজয়নগরম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের মালকানগিরি জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের বস্তার জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের নবরঙ্গপুর জেলা৷[২]
জেলাটির আয়তন ৮৮০৭ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ৫.৬৬%৷
কোরাপুট জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
মোট জনসংখ্যা ১১৮০৬৩৭(২০০১ জনগণনা) ও ১৩৭৯৬৪৭(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ১৫তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ৩.২৯% লোক কোরাপুট জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ১৩৪ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৭ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৬.৮৬% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৪.৬৭% বৃদ্ধির হারের থেকে বেশি৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ১০৩২(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৭৯৷[৪]
জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৩৫.৭২%(২০০১) তথা ৪৯.২১%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৪৭.২০%(২০০১) তথা ৬০.৩২%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ২৪.২৬%(২০০১) তথা ৩৮.৫৫% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৬.৩২%৷[৪]