কৌশল কিশোর | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২ মার্চ ১৯৯৯ বেঙ্গালুরু, কর্নাটক, ভারত | (বয়স ৫৬)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | তাপ-রসায়ন ও পলিমারের দহন |
পুরস্কার | |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
|
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
ডক্টরাল উপদেষ্টা |
|
কৌশল কিশোর (৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪০-২ মার্চ, ১৯৯৯) ছিলেন একজন ভারতীয় পলিমার রসায়নবিদ এবং ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা(আইআইএসসি) এর অজৈব ও ভৌত রসায়ন বিভাগের প্রধান।[১] তিনি তাপরসায়ন এবং পলিমার দহনের উপর তার গবেষণার জন্য পরিচিত ছিলেন।[২] এবং ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেস,ইন্ডিয়া,[৩] ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী এবং দ্যা ইন্ডিয়ান একাডেমী অফ সায়েন্সেস এর নির্বাচিত ফেলো ছিলেন।[৪] বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ভারত সরকারের শীর্ষ সংস্থা কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ তাকে ১৯৮৮ সালে রসায়নবিজ্ঞানে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কার "শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার" প্রদান করে।[৫]
কৌশল কিশোর, ১৯৪২ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে স্নাতক অধ্যয়ন করেন এবং দীন দয়াল উপাধ্যায় গোরক্ষপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হওয়ার আগে একই প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি তার কর্মজীবন গোরখপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা অনুষদ হিসেবে শুরু করেন কিন্তু তিনি ১৯৭৪ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে চলে যান যেখানে তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে অজৈব ও ভৌত রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেন।[১] তার প্রাথমিক গবেষণা তাপরসায়ন এবং পলিমার দহনের উপর ছিল যা কঠিন প্রপেল্যান্ট এর উপর ভিত্তি করে কাইনেটিক্স এবং দহন তাপগতিবিদ্যার উপর ছিল। এই গবেষণা তাকে অটোপাইরোলাইসিস আবিষ্কারে সাহায্য করে, যা তিনি পলিপারক্সাইড দ্বারা সৃষ্ট ত্বরান্বিত দহন সম্পর্কিত একটি ঘটনার জন্য রচনা করেন, যার বিস্তারিত তিনি তার একটি প্রবন্ধে প্রকাশ করেন।[৬] তাকে দাহ্য পদার্থের দাহ্যতা নির্ণয়ের জন্য একটি মাত্রাহীন পরিমাণ ফ্ল্যামেবিলিটি ইনডেক্স উন্নয়নের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি প্লাস্টিকীকরণ নিয়ে কাজ করেছেন এবং তার গবেষণা ফসফরাস সমন্বিত প্লাস্টিক এবং অগ্নি প্রতিরোধকারকের উপলব্ধি প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে। তিনি পিয়ার-রিভিউ জার্নালে বেশ কিছু প্রবন্ধ প্রকাশ করেন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর অনলাইন ভাণ্ডার তার জার্নালগুলোর মধ্যে ১৬৫ টি জার্নালকে তালিকাভুক্ত করেছে।[৭] তিনি তাদের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড পলিমার সায়েন্সের এর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি কাউন্সিল এবং কমিটিতে বসেন।
কিশোর ৫৬ বছর বয়সে ১৯৯৯ সালের ২রা মার্চ ভারতীয় উৎসব হোলির দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন তিনি বেঙ্গালুরুতে ছিলেন।
দ্যা কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ১৯৮৮ সালে কিশোরকে "শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার" প্রদান করে। তিনি ১৯৯১ সালে এনআইসিএআর এর ইন্ডিয়ান থার্মাল অ্যানালাইসিস পুরস্কার লাভ করেন। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস তাকে ১৯৯১ সালে তাদের সহকর্মী হিসেবে নির্বাচিত করে এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী ১৯৯৯ সালে স্যুট প্রদান করে। তিনি ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান থার্মাল অ্যানালাইসিস সোসাইটি, ইন্ডিয়ান হাই এনার্জি মেটিরিয়ালস সোসাইটি, ইন্ডিয়ান পলিমার সোসাইটি এবং মেটিরিয়ালস রিসার্চ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার লাইফ মেম্বার হিসেবে যুক্ত ছিলেন।[৪]
পালানিনাথন কান্নান, কৌশল কিশোর (মার্চ ১৯৯৩)। "নিউ ফ্লেইম রিটার্ডেন্ট পলি(পাইরোমেলিটিক ইমিড আরিল ফসফরাসামাইড-এস্টার)। ম্যাক্রোমলিকুলার মেটিরিয়ালস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০৬ (১): ৬৩–৬৮।[৮]
গঙ্গাধর; কিশোর, কৌশল (১৯৯৫)। "সিন্থেসেস অ্যান্ড কেরেক্টারাইজেশন অফ ফটো-ক্রসলিংকেবল মেইন-চেইন লিকুইড -ক্রিস্টালাইন পলিমারস কন্টেইনিং বিস সাইক্লোঅ্যালকানোন ইউনিটস"। পলিমার। ৩৬ (৯): ১৯০৩–১৯১০।[৯]
মূর্থি, কে. শানমুগানন্দ; গণেশ, কান্নান; কিশোর, কৌশল (১৯৯৬)। "পলি(স্টাইরিন ডাইসালফাইড) অ্যান্ড পলি(স্টাইরিন টেট্রাসালফাইড) এজ চেইন ট্রান্সফার এজেন্টস ইন দ্যা রেডিকেল পলিমারাইজেশন অফ স্টাইরিন"। পলিমার। ৩৭ (২৪): ৫৫৪১–৫৫৪৩।[১০]
সুব্রহ্মণ্যম, কে. কিশোর, কে (১৯৯৭)। "এপ্লিকেশন অফ পলিস্টাইরিন পারঅক্সাইড এজ এ কিউরেটিভ ইন কোটিং অ্যান্ড মোল্ডিং কম্পোজিশন্স"। ইউরোপিয়ান পলিমার জার্নাল। ৩৩ (৮): ১৩৬৫–১৩৬৭।[১১]
জয়সেহরণ, জে; কিশোর, কে (১৯৯৮)। "বায়োমিমেট্রিক এরোবিক পলিমারাইজেশন অফ ভিনাইল মনোমারস"। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি। ১২০ (৪): ৮২৫-৮২৬।[১২]
এ কে নন্দ, কে কিশোর (২০০২)। "সিন্থেসেস, প্রোপারটিস অ্যান্ড কম্পারেটিভ অ্যানালাইসিস অন দ্যা চেইন ফ্লেক্সিবিলিটি অফ এন আল্ট্রাস্টেবল ভিনাইল পলিপারঅক্সাইড"। জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড পলিমার। ৮৬ (৮): ২১০৮–২১১৪।[৬]