ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ

ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ
காப்பித்தான் கெலிங மசூதி
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানজর্জ শহর,পেনাং, মালয়েশিয়া
ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ মালয়েশিয়া-এ অবস্থিত
ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ
মালয়েশিয়ায় অবস্থান
প্রশাসনপেনাং ইসলামী কাউন্সিল
স্থানাঙ্ক৫°২৫′০০.০″ উত্তর ১০০°২০′১৪.৬″ পূর্ব / ৫.৪১৬৬৬৭° উত্তর ১০০.৩৩৭৩৮৯° পূর্ব / 5.416667; 100.337389
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য, মুঘল স্থাপত্য,মরিশ স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতাকাদের মোহিদিন মেরিকান
সম্পূর্ণ হয়১৮০১

ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ (Malay name: Masjid Kapitan Keling,Tamil :காப்பித்தான் கெலிங மசூதி, Kāppittāṉ keliṅa macūti ) জর্জ টাউন, পেনাং,মালয়েশিয়ার ১৯ শতকে ভারতীয় মুসলিম ব্যবসায়ীদের দ্বারা নির্মিত একটি মসজিদ।[][] এটি বাকিংহাম স্ট্রিট (লেবুহ বাকিংহাম) এবং পিট স্ট্রিট (জালান মসজিদ কাপিতান কেলিং) এর কোণে অবস্থিত। একটি বিশিষ্ট ইসলামী ঐতিহাসিক কেন্দ্র হওয়ায় এটি জর্জ টাউনের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এর অংশ এবং এটি শহরের তামিল মুসলিম পাড়া চুলিয়া-এর কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি ১৮০০ এর দশকের গোড়ার দিকে এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্থায়ী মুসলিম স্থাপত্য।[] কাদের মোহিদিন মেরিকান মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা এবং চুলিয়াদের নেতা হিসেবে পরিচিত। ১৮০১ সালে স্যার জর্জ লেইথ যিনি তখন পেনাংয়ের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় মুসলিম নেতা কাদের মোহিদিনকে দক্ষিণ ভারতীয় "কেলিং" সম্প্রদায়ের ক্যাপ্টেন হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি মালাবার স্ট্রিটের (চুলিয়া স্ট্রিট) দক্ষিণ পাশে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য এক খণ্ড জমি মঞ্জুর করেন। কাদের মোহিদিন (জন্ম ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন পোর্টো নোভোর একটি জাহাজের ফোরম্যান যাকে তামিলরা প্যারিঙ্গিপেট্টাই এবং মুসলমানরা মাহমুদবন্দর বলে ভারতের পুদুচেরি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। তাকে 'ক্যাপ্টেন কেলিং' বলেও উল্লেখ করা হয়।[]

"কেলিং" হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের জন্য একটি মালয় শব্দ, যাকে আজকাল আপত্তিকর বলে মনে করা হয় কিন্তু মসজিদটি নির্মাণের সময় তেমন বিবেচিত হয়নি। "ক্যাপ্টেন কেলিং" ছিল ভারতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি,যেমন চীনা সম্প্রদায়ের জন্য "ক্যাপ্টেন সিনা"।

১৯৩০ সালে আরেকটি সংস্কার ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদটিকে তার বর্তমান চেহারা প্রদান করেন, কারণ পূর্ববর্তী নকশাটি অবাস্তব বলে বিবেচিত হয়েছিল। ঐতিহ্য বজায় রেখে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা হয়নি শুধুমাত্র বড় করা হয়েছে। এই সময়ের প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রার্থনা হলের উচ্চতা দ্বিগুণ করা, বায়ুচলাচল ব্যবস্থার উন্নতি এবং আরও প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের উপায় করে দেয়া। বাইরের অংশটি হলুদ রঙের এবং ভিতরের অংশে সাদা মার্বেল মেঝে। অভ্যন্তরীণে রাজা এডওয়ার্ডের ফলক দ্বারা মুকুটযুক্ত ঘোড়ার নালের খিলানের একটি সারি গঠিত হয়। বিল্ডিংয়ের সম্মুখভাগ এবং এর অভ্যন্তরটি জ্যামিতিক নকশা দ্বারা সজ্জিত ছিল কারণ ইসলামে মানব ও পশুর রূপ নিষিদ্ধ রয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Kapitan Keling Mosque"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১১ 
  2. "Visit Penang"। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১১ 
  3. Khoo Salma Nasution, The Chulia in Penang: Patronage and Place-making around the Kapitan Kling Mosque, 1786–1957. Penang: Areca Books, 2014. আইএসবিএন ৯৭৮৯৬৭৫৭১৯১৫৮

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়া কমন্সে ক্যাপ্টেন কেলিং মসজিদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।