ক্যামিলা | |||||
---|---|---|---|---|---|
ডাচেস অব কর্নওয়াল; ডাচেস অব রোথেসে (more) | |||||
জন্ম | কিংস কলেজ হসপিটাল, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ১৭ জুলাই ১৯৪৭||||
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যান্ড্রু পার্কার বোলস (বিয়ে - ১৯৭৩, বিচ্ছেদ - ১৯৯৫) চার্লস, প্রিন্স অব ওয়েলস (বিয়ে - ২০০৫) | ||||
বংশধর | টম পার্কার বোলস লরা লোপেজ | ||||
| |||||
রাজবংশ | হাউজ অব উইন্ডসর (বিবাহ দ্বারা) | ||||
পিতা | মেজর ব্রুস শ্যান্ড | ||||
মাতা | সম্মানীয় রোজালিন্ড কিউবিট | ||||
ধর্ম | চার্চ অব ইংল্যান্ড |
কুইন কনসর্ট ক্যামিলা, জিসিভিও, সিএসএম (ইংরেজি: Queen consort Camilla; জন্ম: ১৭ জুলাই ১৯৪৭)[১] ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও রাজসিংহাসনের প্রত্যাশী চার্লস, প্রিন্স অব ওয়েলসের দ্বিতীয় স্ত্রী। সাবেক পার্কার বোলসের বিবাহের পূর্বেকার নাম ছিল ক্যামিলা রোজমেরি।
ক্যামিলা’র প্র-মাতামহী অ্যালিস কেপেল ছিলেন চার্লসের পূর্ব-পুরুষ রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের মিস্ট্রেস।[২] চার্লসকে বিয়ে করে তিনি রাজকীয় ও ব্রিটেনের অভিজাত শ্রেণীর স্তরে পৌঁছেন।
বিয়ের পূর্বে ১৯৭০ সালে এক পোলো খেলায় চার্লসের সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটে ও সম্পর্ক গড়ে উঠে।[৩] অনেকের ধারণা, চার্লস তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে ক্যামিলাকে ভবিষ্যৎ রাজার যোগ্য সহধর্মীনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।[৪] তারপরও তিনি প্রিন্স চার্লসের বন্ধুদের একজন হিসেবে ছিলেন। ১৯৭৩ সালে অ্যান্ড্রু পার্কার বোলস নামীয় এক সেনা কর্মকর্তা ও চার্লসের বন্ধুকে বিয়ে করেন ক্যামিলা। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই চার্লসের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। ১৯৯৫ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।[৫] এ সংসারে তার টম ও লরা নাম্নী দুই সন্তান রয়েছে। বিবাহ-বিচ্ছেদের অল্প কিছুদিন পর পার্কার বোলসও তার মিস্ট্রেসকে বিয়ে করেন।
১৯৮০-এর দশকে লয়েড’স অব লন্ডনে বিনিয়োগকারী ছিলেন যা অর্থ হারানোর কেলেঙ্কারীতে পড়ায় তার জীবনধারা সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানা যায়। ক্যামিলা ঘোড়দৌঁড়ে পারদর্শী ও গ্রামে শিয়াল শিকারে বেরুতেন যা ২০০৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৮১ সালে চার্লস প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানাকে বিয়ে করেন। ১৯৯২ সালে চার্লস-ডায়ানার মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্কে চির ধরতে শুরু করে, যার জন্য প্রচ্ছন্নভাবে ক্যামিলা’র প্রভাব পড়েছিল। চার্লস ও ডায়ানা’র বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৯৬ সালে। কিন্তু সাধারণ জনগণের মধ্যে চার্লস-ক্যামিলা’র সম্পর্ক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ডায়ানা’র মৃত্যুর পর উভয়ে দম্পতি হিসেবে স্বীকৃতি পান।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ তারিখে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ জনসমক্ষে তাদের বাগদানের কথা ঘোষণা করেন ও ৮ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু, পোপ দ্বিতীয় জন পলের শবযাত্রা অনুষ্ঠানের কারণে ৪ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে তা পুণঃনির্ধারণ করা হয় ৯ এপ্রিলে।[৬][৭]
৯ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে প্রিন্স চার্লস ও ক্যামেলিয়া পরস্পর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকেই তিনি নতুন পদবী পান হার রয়্যাল হাইনেস দ্য ডাচেস অব কর্নওয়াল। বাগদানপর্বে বলা হয় যে, ক্যামিলা দ্য প্রিন্সেস অব ওয়েলস নামে পরিচিত হতে পারবেন না। এর প্রধান কারণ ছিল, প্রিন্স চার্লসের অসম্ভব জনপ্রিয় প্রথম স্ত্রী ডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলসের সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ হওয়া স্বত্ত্বেও ডায়ানা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত এ পদবীধারী ছিলেন।[৮]
বাকিংহ্যাম প্রাসাদের কাছাকাছি সেন্ট জেমসে’স প্যালেসের ক্ল্যারেন্স হাউসে বসবাস করছেন চার্লস-ক্যামিলা দম্পতি। সেখানে প্রিন্স চার্লসের সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ এবং প্রিন্স হ্যারিও বসবাস করেন।
Orders of precedence in the United Kingdom | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী রাণী |
ভদ্রমহিলাগণ এইচআরএইচ দ্য ডাচেস অব কর্নওয়াল |
উত্তরসূরী দ্য কাউন্টেস অব ওসেক্স |
অ্যাকাডেমিক অফিস | ||
পূর্বসূরী ব্যারন উইলসন অব টিলিওর্ন |
আবেরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ২০১৩-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |