ক্যারিবীয় রন্ধনশৈলী

মাংস দিয়ে পরিবেশিত মাঙ্গু।

ক্যারিবিয় রন্ধনশৈলী মূলত আফ্রিকীয়,[] ক্রিওল, আমেরিন্ডিয়ান, ইউরোপীয়, পূর্ব ভারতীয়/দক্ষিণ এশীয়, আরব, চাইনিজ এবং জাভানীয়/ইন্দোনেশীয় রন্ধনশৈলীর একটি মিশ্ররূপ। বিভিন্ন দেশের জাতীসত্তার লোকেদের হাত ধরে এসব ঐতিহ্য ক্যারিবিয় অঞ্চলে এসেছে।[] এছাড়া স্থানীয় অধিবাসীদের হাত ধরে কিছু মৌলিক রন্ধনপ্রণালী সৃষ্টি হয়েছে।

ক্যারিবিয় খাবার

[সম্পাদনা]
ডালপুরি রুটি, কুমড়ো এবং আলু দিয়ে খাসির মাংসের তরকারি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

ক্যারিবিয় দ্বীপসমূহে সাধারণ খাদ্য উপাদানের মধ্যে আছে ভাত, শিম, কাসাভা, সিলান্ট্রো, গোল মরিচ, ডাল, টমেটো, মিষ্টি আলু, নারকেল এবং যে কোন ধরনের মাংস যেমন গরু, হাঁস মুরগি,  শূকর অথবা মাছ ইত্যাদি। মশলা উপাদান হিসেবে ঐ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবুজ গুল্ম এবং তেলে মাখিয়ে রাখা যা স্বতন্ত্র এক স্বাদ তৈরি করে ক্যারিবিয় খাবারে। বিভিন্ন তরকারি, স্ট্যু এবং ঝলসানো মাংসে তারা বিভিন্ন মশলা ব্যবহার করে থাকে।

আঞ্চলিক সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যবাহী খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় ক্যারিবিয় ছাগলের স্ট্যু মন্টসেরাটের জাতীয় খাবার এবং সেন্ট কিটস ও নেভিসের উল্লেখযোগ্য খাবার। আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে এংলোফোন। ক্যারিবিয়ানরা যাকে পিলাউ বলে। নোনা মাছ খুবই জনপ্রিয় এবং জ্যামাইকার মৌলিক খাবার। ক্যাল্লালু নামে পরিচিত খাবার যাতে শাক থাকে, অনেকসময় ঢেঁড়স থাকে, ক্যারিবিয় অঞ্চলে বিশেষ করে মিশ্র আফ্রিকান এবং আদিবাসীদের মধ্যে খুবই প্রচলিত।

অত্র অঞ্চলের ডেজার্ট খাবার গুলোতেও মিশ্র উৎসের প্রমাণ পাওয়া যায়। কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ দিবসে ব্লাক কেক তৈরি করা হয় যা মূলত ইংরেজদের ক্রিস্টমাস পুডিং থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে ক্যারিবিয়ানগণ স্থানীয় পদ্ধতিতে খাবার তৈরি করতে শিখেছে যা তাদের সংস্কৃতির সংগে মানানসই এবং সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলে।

অবস্থান অনুসারে

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Cuisine." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে (Caribbean.) Bahamabreeze.com. Accessed July 2011.