Christine de Pizan | |
---|---|
জন্ম | 11 September 1364 |
মৃত্যু | c. ১৪৩০ (বয়স ৬৫–৬৬) |
পেশা | Writer |
দাম্পত্য সঙ্গী | Etienne du Castel |
সন্তান | Jean du Castel |
পিতা-মাতা | Tommaso di Benvenuto da Pizzano |
ক্রিস্তিন দে পিজঁ (Christine de Pizan) ফরাসি উচ্চারণ: [kʁistin də pizɑ̃] ( (১৩৬৪ খ্রি. - ১৪৩০ খ্রি.) একজন ইতালীয় এবং ফরাসি লেখিকা ছিলেন। নারীদের জন্য তার )দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস এবং দ্য ট্রেজার অফ দ্য সিটি অফ লেডিস গ্রন্থের জন্য তাকে সব থেকে বেশি স্মরণ করা হয়। মধ্যযুগীয় ফ্রান্সে ক্রিস্তিন ছিলেন বিশিষ্ট নীতিবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। ক্রিস্তিনের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে লুই অফ অরলিন, ফিলিপ দ্য বোল্ড এবং জন দ্য ফিয়ারলেস ছিলেন। ষষ্ঠ চার্লস এর রাজত্বকালে তিনি একজন সভা-লেখক হিসেবে কাজ করেছিলেন। রাজকুমারী, রাজকুমার ও নাইটদের জন্য তার উপদেশমূলক গ্রন্থগুলো ষোড়শ শতকের পূর্ব পর্যন্ত মুদ্রিত ছিল।
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে চ্যারিটি ক্যানন উইলার্ড, আর্ল জেফ্রি রিচার্ডস এবং সিমোন দ্য বোভোয়ারের মত পণ্ডিতদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্রিসটিনের কাজগুলো পুনরায় মানুষের নজরে এসেছে।
ক্রিস্তিন গদ্য ও পদ্য দুইভাবেই অনেক লেখালিখি করেছেন। তার রচনাগুলোর মধ্যে, রাজনৈতিক গ্রন্থ, মিররস ফর প্রিন্সেস (একটি সাহিত্যিক ঘরানা), চিঠি এবং কবিতা রয়েছে।
ক্রিস্তিনের গ্রন্থ লে ডিত দে লা রোজ (দ্য টেল অফ দ্য রোজ) প্রকাশিত হয়েছিল ১৪০২ সালে জঁ দে মিউঁ এর অত্যন্ত জনপ্রিয় বই রোম্যান্স অফ দ্য রোজের উপর সরাসরি প্রতিবাদ হিসেবে। রোম্যান্স অফ দ্য রোজ গ্রন্থে নারীকে প্ররোচক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ক্রিস্তিন দাবি করেছিলেন যে মিউনের দৃষ্টিভঙ্গিগুলি নারীবিদ্বেষী, অশ্লীল, অনৈতিক, এবং নারীদের অপমানজনক ছিল। এই দুই লেখক নিজেদের মধ্যে তাদের লেখা বিনিময় করেন এবং তাদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীকে সমর্থন করেন। এরই এক পর্যায়ে ক্রিস্তিন কুইরেলে ডু রোমান দে লা রোজ (লেটারস অন দ্য ডিবেট অফ দ্য রোজ) প্রকাশ করেন।[২] এই বিশেষ কৈফিয়তমূলক প্রতিক্রিয়ায় ক্রিস্তিন তার নিজস্ব রচনাশৈলীর ব্যবহার না করে এক বিশেষ আলঙ্কারিক কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যা এখন এন্টিফ্রাসিস নামে পরিচিত।[৩]
১৪০৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্রিস্তিন তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম, দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিজ (Le Livre de la cité des dames) এবং দ্য ট্রেজার অফ দ্য সিটি অফ লেডিজ (Le Livre des trois vertus) গ্রন্থ দুটি সম্পন্ন করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রথমটি সমাজের নারীর অতীত অবদানগুলির গুরুত্বকে দেখায় এবং দ্বিতীয়টি সকল এস্টেটের নারীকে কীভাবে দরকারী গুণাবলির বিকাশ করতে হয় সেই বিষয়ে শিক্ষা দেয়।[৪]
দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস গ্রন্থে ক্রিস্তিন একটি প্রতীকী শহর তৈরি করেন যেখানে নারীদের কাজের মূল্য দেয়া হয় এবং তাদের সমর্থন করা হয়। তিনি তিনটি রূপক চরিত্র তৈরি করেন - যুক্তি, ন্যায়, এবং সততা। সেই যুগে বিভিন্ন ধারণা ও আবেগ প্রকাশের জন্য এরকম রূপক চরিত্র তৈরি করা সাহিত্যের একটি সাধারণ ধারা ছিল, এবং বিভিন্ন গ্রন্থে ও কাব্যে এই চরিত্রগুলোকে দেখা যায়। এই তিন চরিত্রদেরকে দিয়ে তিনি সংলাপ তৈরি করেন, বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর তৈরি করেন, আর পুরোটাই করা হয়েছিল নারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।[৫] একসাথে তারা নারীদের সমস্যা ও পরিণতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন। কেবল নারীর কথা, উদাহরণ ও মতামত এই রচনায় বিভিন্ন সাখ্যপ্রমাণ হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে। সেই গ্রন্থে যুক্তি নামক চরিত্রটির মধ্য দিয়ে ক্রিস্তিন বলেছিলেন নারীদের নিয়ে স্টিরিওটাইপ বা প্রচলিত ধ্যান ধারণাগুলো ততদিন পর্যন্ত টিকে থাকবে যতদিন পর্যন্ত না তাদেরকে আলাপ আলোচনাগুলোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হবে।[৬]
মধ্যযুগীয় ইউরোপে নারী ও পুরুষের নৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য একটি অন্যতম বিতর্কের বিষয় ছিল। সিটি অফ লেডিস গ্রন্থে ক্রিস্তিন এই বিতর্কটি সামনে নিয়ে এসেছিলেন। বিশেষ করে তিনি এরিস্টোটলীয় ভারচু এথিক্স ও নারী নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিকে সেই গ্রন্থে নিয়ে আসেন।[৭] ক্রিস্তিন বারবার ধর্মতাত্ত্বিক যুক্তি ব্যবহার করে বলেছেন, পুরুষ এবং নারী ঈশ্বরের চিত্র অনুযায়ী তৈরি হয় এবং উভয়ের আত্মাই ঈশ্বরের সদ্গুণকে প্রাপ্ত করতে সক্ষম। সিটি অফ লেডিসে বসবাসরত অধিবাসীদের মধ্যে জোভান্নি বোক্কাচ্চো এর আঁকা নারী সাধুসন্ত, ওল্ড টেস্টামেন্ট এর নারী চরিত্ররা, ও খ্রিস্টের পূর্বে ইউরোপের এন্টিকুইটির নৈতিক নারীরা ছিলেন।[৮]
ট্রেজার অফ দ্য সিটি অফ লেডিস গ্রন্থে ক্রিস্তিন শহরের নারী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, এবং কীভাবে নারী সদ্গুণ বা নৈতিকতা অর্জন করবে তার নির্দেশনা দেন। এই গ্রন্থে তিনি এই অবস্থান নেন যে, সকল নারী নম্রতা, অধ্যবসায় ও সততা অর্জন করতে সক্ষম, এবং যথাযথভাবে শিক্ষা গ্রহণ করা সকল নারী সিটি অফ লেইডিস এর সুযোগ্য নাগরিক হতে পারেন। তিনি নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে নারীদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন যে কীভাবে পঞ্চদশ শতকের ফরাসী সমাজে নারীর উপর আসা বাঁধাগুলোকে কাটিয়ে ওঠা যায়।[৯] অগাস্টিন অফ হিপ্পো ও অন্যান্য সন্ত এর সূত্র দিয়ে ক্রিস্তিন সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়দেরকে উপদেশ দিয়েছেন যে কিকরে ঈশ্বরের ভালোবাসা অর্জন করা যায়। ক্রিস্তিন ঈশ্বরের কন্যা হিসেবে যুক্তি, সততা ও ন্যায়কে রূপক চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করে তাদের মধ্য দিয়ে সেই গ্রন্থে লিখেছেন। এই তিন কন্যা সেইসব সদ্গুণের প্রতিনিধিত্ব করে যেগুলো নারীরের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এইসব সদ্গুণগুলোর ধর্মনিরপেক্ষ উদাহরণ প্রদানের মাধ্যমে ক্রিস্তিন নারীদেরকে তাদের জীবনের অর্থের সন্ধান করতে এবং মূল্যবান কাজ করতে প্রেরণা দেন। ক্রিস্তিন বলেন নারীর সাফল্য তাদের কার্যকরীভাবে কথা বলতে ও লিখতে পারার মধ্য দিয়ে ব্যবস্থাপনা ও মধ্যস্থতা করার মধ্যে নিহিত থাকে।[১০]
ক্রিস্তিন বিশেষভাবে তার কাজ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করার জন্য অন্যান্য নারীর সন্ধান করেছিলেন। তিনি একজন পান্ডুলিপি চিত্রশিল্পীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন যাকে আমরা শুধুমাত্র আনাস্টেশিয়া নামেই চিনি, যাকে তিনি তার সময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।[১১]
ক্রিস্তিন তার জীবনকাল ৪১টি সুপরিচিত কবিতা ও গদ্য প্রকাশ করেছেন এবং তিনি প্রথম পেশাদার নারী লেখক হিসাবে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি এতটাই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন যে তার গদ্যের জন্য রয়্যালটি দেয়া হতেবং সমসাময়িক বুদ্ধিজীবীগণ তাদের গ্রন্থাগারগুলোতে ক্রিস্তিনের বইগুলোর কপি রাখতেন।[১২]
১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে ক্রিস্তিনের মৃত্যুর পর তার প্রভাব বিভিন্ন লেখকের দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল এবং তার লেখাগুলো জনপ্রিয় হয়েছিল। তার গ্রন্থ Le Livre de la cité des dames মুদ্রিত থেকে যায়। ১৫ শতক থেকে এর পর্তুগিজ ও ডাচ সংস্করণগুলো বিদ্যমান ছিল, এবং ১৫৩৬ সালেও এর ফরাসি সংস্করণ মুদ্রিত হয়।[১৩] ১৫২১ সালে দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়।[১৩] ক্রিস্তিনের Le Livre des trois vertus (দ্য ট্রেজার অফ দ্য সিটি অফ লেডিস) গ্রন্থটি পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকের রাজকীয় নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ছিল। অ্যান অফ ফ্রান্স ফ্রান্সের রাজপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ক্রিস্তিনের গ্রন্থটিকে তার ১৫০৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ Enseignemens এর ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। গ্রন্থটি তিনি তার কণ্যা সুজান, ডাচেস অফ ব্যুরবোঁ এর জন্য লিখেছিলেন, যিনি ব্যুরবোঁ অঞ্চলের উত্তরাধিকারী ছিলেন ও সহ-রাজপ্রতিনিধি হন। রাজকণ্যাদের জন্য ক্রিস্টিনের উপদেশগুলো হস্তলিখিত বা মুদ্রিত আকারে ফ্রান্স ও পর্তুগালের রাজকীয় পরিবারের জন্য অনুদিত হয় ও তাদেরকে দেয়া হয়।[১৪] অ্যান দে ব্যুজ্যু, গ্যাব্রিয়েলি দে ব্যুরবোঁ, মারগুয়েরিত দে নাভার এবং জিওরজেতে দে মন্তেনে এর মত ষোড়শ শতাব্দীর ফরাসি লেখিকাগণ দ্য সিটি অফ লেডিস গ্রন্থের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন এবং সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।[১৫]
ক্রিস্তিনের রাজনৈতিক লেখাগুলিও কিছু মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। Livre de la paix গ্রন্থটিকে মানবতাবাদী গ্যাব্রিয়েল নৌদা সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেন এবং দেনিস দিদেরো, লুই মরেরি এবং প্রোসপার মাখশঁ তাদের বিশ্বকোষে ক্রিস্তিনকে নিয়ে অনেক বড় নিবন্ধ অন্তর্ভূক্ত করেছেন।[১৫] প্রয়োজনীয় সেনাবাহিনী ও উপাদানগুলো নিয়ে লেখা গ্রন্থটি ক্রিস্তিন Livre des fais d'armes et de chevalerie নামে ১৪১০ সালে প্রকাশ করেছিলেন। ১৪৭০ সালে জ্যঁ (পঞ্চম) দে বুয়েইল দা জোউভেন্স এর দ্বারা দুর্গ ও নগর অবরোধকে ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সেনাবাহিনী এবং উপাদানগুলো নিয়ে ক্রিস্তিনের বিস্তারিত বিবরণকে পুনঃপ্রবর্তন করেন।[১৬] অতঃপর গ্রন্থটি ১৪৮৮ সালে প্রকাশক আঁতোয়া ভারার্দ পুনঃপ্রকাশ করেন। কিন্তু ভারার্দ বলেছিলেন এটা ভেগেটিয়াস এর লেখা থেকে তার অনুবাদ, অর্থাৎ গ্রন্থটির জন্য ক্রিস্তিন লেখকের মর্যাদা পান নি।[১৭] ফিলিপ লা নোয়া ১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দে L'Arbre des Batailles et fleur de chevalerie (দ্য ট্রি অফ ব্যাটলস এন্ড ফ্লাওয়ার অফ শিভ্যালরি) শিরোনামে ক্রিস্তিনের গ্রন্থের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশ করেন।[১৮]
Livre des fais d'armes et de chevalerie গ্রন্থটি ১৪৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের রাজা সপ্তম হেনরি এর জন্য উইলিয়াম ক্যাক্সটন ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন এবং ক্রিস্তিনকে লেখক হিসেবে স্বীকার করে দ্য বুক অফ ফিটস অফ আর্মস এন্ড অফ শিভ্যালরি শিরোনামে এক বছর পর প্রকাশ করেছিলেন,[১৯] এবং গ্রন্থটিতে ক্রিস্তিনকে লেখক হিসেবে স্বীকার করা হয়েছিল।[১৭] ক্রিস্তিনকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়েই দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস এবং Livre du corps de policie (দ্য বুক অফ দ্য বডি পলিটিক) এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। রাণী প্রথম এলিজাবেথ এর গ্রন্থাগারে দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস, L'Épistre de Othéa a Hector (লেটার অফ অথিয়া টু হেক্টর) এবং দ্য বুক অফ ফিটস অফ আর্মস এন্ড অফ শিভ্যালরি গ্রন্থগুলো ছিল। সেই সাথে তার কাছে সিটি অফ লেডিস গ্রন্থের চিত্রগুলো নিয়ে ট্যাপেস্ট্রিও ছিল।[২০] যাই হোক, ১৯ শতকের প্রথম দিকে রেইমন্ড থমাসি ক্রিস্তিনের রাজনৈতিক রচনাগুলোর একটি সারমর্ম তৈরি করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই রচনাগুলোর আধুনিক সংস্করণ প্রকাশ করা হয়নি এবং একজন রাজনৈতিক তাত্ত্বিক হিসেবে ক্রিস্তিন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন।[২১]
ক্রিস্টিনের লেখায় প্রাচীন দর্শন এবং মানবতাবাদী আদর্শের মিশ্রণ ঘটেছিল। আর তার লেখার শৈলী ছিল সেসময়কার জনপ্রিয় লেখকদের মতই। নারীদের সমর্থনে তার স্পষ্টভাষিতা ছিল সেই সময়ের জন্য একটি ব্যতিক্রম। তিনি তার লেখায় সমাজের প্রচলিত নারীবিদ্বেষী মনোভাব এবং ওভিদের আর্ট অফ লাভ, জ্য দে মিউঁ এর রোমান্স অফ দ্য রোজ এবং ম্যাথেওলাস এর ল্যামেন্টেশনস এর মত জনপ্রিয় নারীবিদ্বেষী রচনাগুলোর প্রতিবাদ করেছেন। তার সক্রিয়তা আধুনিক নারীবাদীদেরকে মুগ্ধ করেছে ও প্রেরণা জুগিয়েছে।[১৩] সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৪৯ সালে লেখেন, ক্রিস্তিনের Épître au Dieu d'Amour গ্রন্থেই প্রথমবারের মত একজন নারী তার লিঙ্গের সমর্থনে কলম ধরেছিলেন।[২২]
১৯৭৯ সালের শিল্পকর্ম দ্য ডিনার পার্টি-তে যে ৩৯ জন পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক নারীর জন্য জায়গা রাখা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিলে ক্রিস্তিন।[২৩] ১৯৮০ এর দশকে সান্দ্রা হিন্ডম্যান ক্রিস্তিনের প্রকাশিত রচনাগুলোর উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক ঘটনাগুলো নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছিলেন।[২১]