ক্রেসকোগ্রাফ(ইংরেজি: Crescograph) উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র। বিংশ শতকের শুরুর দিকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এটি আবিষ্কার করেন। কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে ক্রেস্কোগ্রাফের একটি মডেল সংরক্ষিত আছে।
জগদীশচন্দ্র বসু ঘড়ির যন্ত্রাংশ ও ধোঁয়া সিঞ্চিত কাচের প্লেটের মাধ্যমে এই যন্ত্রটি তৈরি করেন। তিনি এটির সাহায্যে গাছের অগ্রভাগের বৃদ্ধি পরিমাপ করার উপায় আবিষ্কার করেন। এমনকি এই যন্ত্র গাছের বৃদ্ধির পরিমাণ ভালো করে বোঝার জন্য দশ হাজার গুণ বিবর্ধনও করার দেখাতে পারে। কয়েক সেকেন্ড পরপর কাচের প্লেটে দাগ পরার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন উদ্দীপকের উপস্থিতিতে বৃদ্ধি কীরূপ হয় তার প্রদর্শনও করেছিলেন। তিনি তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস ও তড়িৎ প্রবাহের উপস্থিতিতে পরীক্ষাটি করেছিলেন।[১] যেসকল উপাদান গাছের বৃদ্ধি পরিমাপ করে সেগুলি হলো, একটি পার্থক্যসূচক ট্রান্সফরমার এবং একটি চলমান কোর যা দুটি বিন্দুর মধ্যে সংযুক্ত থাকে।
বৈদ্যুতিক ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি এক ইঞ্চির দশ লক্ষ ভাগ পর্যন্ত পরিমাপ করতে পারে। যদিও এটিকে মূলত এক সহস্রাংশ থেকে দশ সহস্রাংশ পাল্লার মধ্যে ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধি লিপিবদ্ধ করতে যন্ত্রটি ১০,০০০,০০০ পরিসরের ছোট আন্দোলন বা গতিবিধিও পরিমাপ করতে সক্ষম।