ক্ষিতিমোহন সেন | |
---|---|
![]() ১৯৩৮ সালে ক্ষিতিমোহন সেন | |
জন্ম | ঢাকা বিক্রমপুর, পূর্ব বাংলা,ব্রিটিশ ভারত | ২ ডিসেম্বর ১৮৮০
মৃত্যু | ১২ মার্চ ১৯৬০ | (বয়স ৭৯)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | গবেষক, সংগ্রাহক, শিক্ষাবিদ |
কর্মজীবন | ১৯০৭-১৯৬০ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | অমর্ত্য সেন (দৌহিত্র) |
ক্ষিতিমোহন সেন (২ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ১২ মার্চ ১৯৬০) ছিলেন একজন বাঙালি গবেষক, সংগ্রাহক এবং শিক্ষক। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১][২]
ক্ষিতিমোহন ১৮৮০ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতের পূর্ব বাংলার (বর্তমান বংলাদেশ) ঢাকা বিক্রমপুর এ জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তবে কলকাতায় প্রকাশিত সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানের তথ্যানুসারে, তার জন্ম ১৮৮০ সালের ৩০ নভেম্বর।[৫] তার পৈত্রিক নিবাস ছিল তৎকালীন বিক্রমপুরের (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলা) সোনারং গ্রামে। তার পিতার নাম ভুবনমোহন সেন, যিনি একজন ডাক্তার ছিলেন।[৪] অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অমর্ত্য সেন তার দৌহিত্র। ক্ষিতিমোহন কাশীর কুইনস কলেজ থেকে ১৯০২ সালে সংস্কৃতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এসময় তাকে ‘শাস্ত্রী’ উপাধি দেওয়া হয়।[৪]
ক্ষিতিমোহন ১৯০৭ সালে তৎকালীন চাম্বারাজ এস্টেটের শিক্ষাসচিব হিসেবে হিসেবে কর্মজীব শুরু করেন। ১৯০৮ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের আহ্বান জানালে তিনি এতে সাড়া দিয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৩ থেকে ৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকবার রবীন্দ্রনাথের সফরসঙ্গী হিসেবে ভারতের বিভিন্ন স্থান ও ১৯২৪ সালে চীন ভ্রমণ করেন।[৫]
মধ্যযুগের সন্তদের বাণী, বাউল সঙ্গীত এবং সাধনতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা ও সংগ্রহে তার কৃতিত্ব উল্লেখযোগ্য। প্রায় পঞ্চাশ বছরের চেষ্টার ফলে সংগৃহীত বিষয়গুলো কয়েকটি বইতে তিনি প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত ওয়ান হান্ড্রেড পোয়েমস অফ কবির (১৯১৪) বইটিও তার সংগ্রহ অবলম্বনে রচিত। এছাড়াও তিনি বেদ, উপনিষদ, তন্ত্র, স্মৃতিশাস্ত্র, সঙ্গীতশাস্ত্র এবং আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও পারদর্শী ছিলেন।[৪]
তার রচিত হিন্দুইজম বইটি ফরাসি, জার্মান এবং ডাচ ভাষায় এবং আরো কয়েকটি গ্রন্থ হিন্দি, গুজরাটি এবং অসমীয়া ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সংস্কৃত, বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও গুজরাতি, রাজস্থানি, আরবি ও ফারসি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি সুবক্তা ও অপেশাদার অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে লীলা বক্তব্য দেন।
তিনি ১৯৬০ সালের ১২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।[৪]
ক্ষিতিমোহন সেনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে: