ক্ষেত্রিয়ম ওঙ্গবী থৌরানিসাবী দেবী | |
---|---|
জন্ম | সিংজামেই শপম লেইকাই, মণিপুর, ভারত | ৩ নভেম্বর ১৯৪৬
পেশা | ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী |
দাম্পত্য সঙ্গী | চিংমাথক থকচম লাইকাই |
পিতা-মাতা | লিশাংথেম টম্পা সিং লিশাংথেম ওঙ্গবি ইবেতোম্বিমাচা দেবী |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার মণিপুর রাজ্য কলা আকাদেমি পুরস্কার নৃত্য রত্ন পুরস্কার |
ক্ষেত্রিয়ম ওঙ্গবী থৌরানিসাবী দেবী, হলেন এক ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী এবং লেখক। তিনি মণিপুরের ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যে বিশেষজ্ঞ। [১][২] তিনি ২০০৩ সালে ভারত সরকার দ্বারা চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী দ্বারা ভূষিত হন। [৩][৪]
থৌরানিসাবী দেবী ১৯৪৬ সালের ৩ নভেম্বর ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি ছোট গ্রাম সিংজামেই সপাম লেইকাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা লিশাংথেম টম্পা সিংহ ছিলেন পোলো খেলোয়াড় এবং মা লিশাংথেম ওঙ্গবী ইবেতোম্বীমাচা দেবী ছিলেন নট সংকীর্তনের একজন প্রখ্যাত শিল্পী। [৫] থৌরানিসাবী তাঁদের তৃতীয় কন্যা। [৬] কোনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগেই, তিনি ৬ বছর বয়সে মঞ্চে প্রদর্শন শুরু করেছিলেন। পরে, তিনি ১০ বছর বয়স থেকে গোবিন্দজী নর্তনালয় (মণিপুর নৃত্য কলেজ, সরকারী) থেকে রাস লীলার প্রশিক্ষণ নেন এবং একে একে ডিগ্রি বিশারদ ও আচার্য অর্জন করেন। তিনি পেশাদারভাবে নৃত্য প্রদর্শন শুরু করার আগে মৈষ্ণম আমুবি সিং, আমুদন শর্মা, এইচ. টোম্বা, এ. টোম্বা সিং, লোরম্বাম টোম্বি দেবী এবং আর. কে. তোমলসানার মতো গুরুদের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ভারত এবং অন্যান্য দেশ যেমন কানাডা, পশ্চিম জার্মানি, লন্ডন, দুবাই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক উৎসবে প্রদর্শন করেছেন।
থৌরানিসাবী দেবী জওহরলাল নেহরু মণিপুর নৃত্য একাডেমির সাথে যুক্ত এবং এদের একটি ব্যালে প্রযোজনা রাধা সতী পরিচালনা করেছেন। [৫] তিনি, ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করার আগে, এই একাডেমিতে গুরু রসধারী, গুরুহান এবং প্রধান গুরু হিসাবে বেশ কয়েক বছর অধ্যাপনা করেছিলেন। [৬] তিনি দুটি বই লিখেছেন, দিবা রাস (২ খণ্ড -১৯৯৩) এবং রাস মখা আমসাং নুঙ্গি মসাখ (২০০৬)। দুটিই মণিপুরী নাচের উপর ভিত্তি করে লেখা। তিনি এইচএমভির জন্য ছয়টি অ্যালবাম রেকর্ড করেছেন।
থৌরানিসাবী দেবী মহারাজা ওকেন্দ্রজিৎ সিংয়ের থেকে রাজকীয় পোশাক পেয়েছেন এবং মণিপুর সরকারের কাছ থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। [৫][৬] মণিপুর রাজ্যের কলা আকাদেমি তাঁকে ১৯৭৭ সালে তাদের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান করে এবং ১৯৮০ সালে সংগীত নাটক আকাদেমি তাঁকে পুরস্কার দেয়। মণিপুর সাহিত্য পরিষদ ১৯৮১ সালে তাকে নৃত্য রত্ন উপাধি প্রদান করে। ভারত সরকারের সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া বিভাগ তাঁকে ১৯৮৭ সালে সিনিয়র ফেলোশিপ প্রদান করে এবং ১৯৯১ সালে তিনি মণিপুর সরকারের কাছ থেকে সম্মান শংসাপত্র লাভ করেন। ২০০৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। [১][২] ২০১১ সালের পদ্মভূষণ পুরস্কারের জন্য তাঁকে বাছাই হয়েছিল, যদিও তিনি পুরস্কার পাননি। [৭]
ক্ষেত্রিয়ম ওঙ্গবী থৌরানিসাবী দেবী চিংমাথক থকচম লাইকাইয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং এই দম্পতি মণিপুরী রাজধানী ইম্ফলে বসবাস করছেন। [৫][৬]