খণ্ডপাড়া রাজ্য | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৫৯৯–১৯৪৮ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত খণ্ডপাড়া রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ৬৩২ বর্গকিলোমিটার (২৪৪ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৭৭,৯২৯ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৫৯৯ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
|
খণ্ডপাড়া রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷[১] এটি বর্তমানে ওড়িশা রাজ্যের নয়াগড় জেলায় অবস্থিত।
রাজ্যটির উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রবাহিত হয় মহানদী নদী। মূল শহর কান্তিলো হলেও রাজ্যের রাজধানী ছিল খণ্ডপাড়া শহরে। কান্তিলো শহরেই রয়েছে অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান নীলমাধব মন্দির।[২]
অনেকে মনে করেন মধ্যপ্রদেশের রেওয়া অঞ্চলের শাসক এই রাজ্যটির পত্তন ঘটান। আবার অপর একটি জনশ্রুতি অনুযায়ী নয়াগড়ের রাজা রঘুনাথ সিংহের দুই পুত্র ছিল। জ্যেষ্ঠপুত্র হরিহর সিংহ বংশানুক্রমে নয়াগড়ের রাজা ঘোষিত হন এবং কনিষ্ঠপুত্র যদুনাথ সিংহ মঙ্গরাজকে রাজ্যেরই চারটে গড় তথা কাদুয়া, ঘুঁটশাহী, শারদাপুর এবং খেপাড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে যদুনাথ সিংহ মঙ্গরাজ খণ্ডপাড়া অঞ্চলের আগলপুর এবং হরিচন্দনপুর থেকে সেনাধ্যক্ষ দের পরাজিত করেন এবং ওই অঞ্চলে নিজের আলাদা একটি রাজত্ব গঠন করেন। রাজা নারায়ণ সিংহ মঙ্গরাজের শাসনকালে খণ্ডপাড়া রাজ্য পূর্ব দিকে বাঁকী, পশ্চিমে দশপল্লার বলরাম প্রসাদ, উত্তরে কান্তিলো এবং দক্ষিণে নয়াগড়ের যোগীয়াপল্লী অবধি বিস্তৃতি পায়৷ রাজ্যটি শুরুর দিকে রেওয়া রাজ্যের শাসক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়াগড় রাজ্যেরই অংশ ছিলো, কিন্তু ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ওড়িশার মহারাজা খণ্ডপাড়ার সামন্ত রাজা যদুনাথ সিংহকে মঙ্গরাজ উপাধি দিলে এটি পৃথক রাজ্যর মর্যাদা হয় এবং যদুনাথ সিংহ মঙ্গরাজ রাজ্যের প্রথম রাজা ঘোষিত হন৷ তিনি ছিলেন বাঘেল রাজবংশের রাজপুত বংশজ৷ পদ্মনাভ মঙ্গরাজ বড়ম্বা রাজ্যের রাজা থাকাকালীন খণ্ডপাড়ার রাজা বড়ম্বা রাজ্য আক্রমণ ও দখল করেন৷ [৩]
খণ্ডপাড়া রাজ্যের শাসকরা রাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন৷ খণ্ডপাড়ার রাজবংশের চিহ্ন একটি বাঘের মুখ এবং রাজ্যের প্রতীক পার্শ্ববর্তী নয়াগড় রাজ্যের সঙ্গে অভিন্ন৷[৪]