গগনবিহারী লাল্লুভাই মেহতা | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চম ভারতীয় রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫২ – ১৯৫৮ | |
পূর্বসূরী | বিনয় রঞ্জন সেন |
উত্তরসূরী | এম সি চাগলা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আহমেদাবাদ, গুজরাট, ব্রিটিশ ভারত | ১৫ এপ্রিল ১৯০০
মৃত্যু | ২৮ এপ্রিল ১৯৭৪ মুম্বই মহারাষ্ট্র ভারত | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | সৌদামিনীবেহন মেহতা (বি.১৯২৪) |
সন্তান | ১ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স |
পেশা | নাগরিক সেবা, ভারতীয় পররাষ্ট্র সেবা |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ (১৯৫৯) |
গগনবিহারী লাল্লুভাই মেহতা (১৫ এপ্রিল ১৯০০ - ২৮ এপ্রিল ১৯৭৪) ১৯৫২ থেকে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সামাজিক কাজে অবদানের জন্য ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন[১]
গগনবিহারী লাল্লুভাই মেহতার জন্ম ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির অধুনা গুজরাটের আহমেদাবাদে। পিতা লাল্লুভাই সামলদাস ও সত্যবতীর দুই কন্যা (জুবিলী ও সুমতি) ও তিন পুত্রসন্তানের সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন গগনবিহারী। অগ্রজেরা ছিলেন বৈকুণ্ঠভাই এবং জ্যোতেন্দ্রভাই। গগনবিহারীর পড়াশোনা মুম্বাইয়ে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়ার আগে গগনবিহারী ১৯২১ খ্রিস্টাব্দেমুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। [২] স্নাতক হওয়ার পর তিনি ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ হতে দুবছর দ্য বোম্বে ক্রনিকলে সহকারী সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন। [৩]পরে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স পড়াশোনা করেন এবং ফেলো মনোনীত হন। দেশে ফিরে তিনি সিন্ধিয়া স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডে কাজ করেন। [৩]স্বাধীনতা লাভ করার পর, তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সপ্তম রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ট্যারিফ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। [৪][৩] ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হিউস্টন বিমানবন্দরের একটি রেস্তোরাঁয় তাকে নিগ্রো ভেবে খাবার পরিবেশনে করতে অসম্মত হয়েছিল। জন ফস্টার ডুলেসের সিদ্ধান্তে, মার্কিন বিচ্ছিন্নতা বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষতির কারণ হয়েছিল। [৫] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে তিনি নানা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাধারা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত গগনবিহারী যেমন রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তেমনই বহু নিবন্ধ ও গ্রন্থও রচনা করেন।
সামাজিক কাজের জন্য ভারত সরকার ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে গগনবিহারী লাল্লুভাই মেহতাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ প্রদান করে।