গঙ্গাজল | |
---|---|
পরিচালক | প্রকাশ ঝা |
প্রযোজক | প্রকাশ ঝা |
চিত্রনাট্যকার | প্রকাশ ঝা |
কাহিনিকার | মহেন্দ্র লালকা (প্রাক্তন আই পি এস) |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সন্দেশ শাণ্ডিল্য |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৭ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹ ৭০ মিলিয়ন (ইউএস$ ৮,৫৫,৬৩১)[১] |
আয় | ₹১৪২.৫ মিলিয়ন (ইউএস$ ১.৭৪ মিলিয়ন)[২] |
গঙ্গাজল একটি ২০০৩ সালের বলিউড নির্মিত হিন্দি ভাষার অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন প্রকাশ ঝা। এর কাহিনি বিহারের ভাগলপুর দাংগায় মানুষকে অন্ধ করে দেওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় কিছুটা অনুপ্রাণিত। চলচ্চিত্রটিতে অজয় দেবগন, গ্রেসী সিং, মোহন আগাশে, মুকেশ তিওয়ারী মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন।
বিহারের কাল্পনিক শহর তেজপুরে সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ পদে নতুন যোগ দিতে আসেন আই পি এস অফিসার অমিত কুমার। অমিত সৎ ও সাহসী অফিসার হিসেবে পুলিশ মহলে পরিচিত। তেজপুর শহর মাফিয়া, অপরাধী, তোলাবাজ ও ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতার অঙ্গুলিহেলনে চলে। এই মাফিয়াদের প্রধান সাধু যাদব ও তার পুত্র সুন্দর যাদব। স্থানীয় পুলিশের বড়কর্তারাও তাকে ভয় পায়, বখরা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। অমিত কুমার শহরে এসেই বুঝতে পারেন থানার বহু অফিসারকে নিজের কাজে ব্যবহার করে সাধু যাদব। পুলিশ ইনস্পেকটর বাচ্চা যাদব দক্ষ, বুদ্ধিমান হলেও আদতে সাধুর কাছের লোক। বখরার গোলযোগে ইনস্পেকটর আর.কে সিং কে নুনুয়া নামক ভাড়াটে খুনী হত্যা করলে তদন্ত শুরু হয়। খুন করে নুনুয়া লুকিয়ে ছিল সাধু যাদবের বাড়ি। সাধু বাচ্চাকে ডেকে আনে ও বাচ্চার হাতে তুলে দেয়। বাচ্চা যাদব নুনুয়াকে গুলি করে খুন করে। অমিত কুমার সবই বুঝতে পারেন যে এটা মিথ্যা সংঘর্ষে খুন। তিনি বাচ্চা যাদবকে সতর্ক করে বলেন সাধু যাদবের ছত্রছায়া থেকে সে বেরিয়ে না এলে তারও পরিণতি ভাল হবেনা। বাচ্চা যাদব বুঝতে পারে সে ব্যবহৃত হচ্ছে। নারী অপহরণকারী সুন্দর যাদবকে বাচ্চা ধরিয়ে দেয় এবং লক আপের ভেতর দুজন অপরাধী যারা আসলে সাধুরই লোক তাদের চোখে এসিড ঢেলে অন্ধ করে দেয় বাচ্চা যাদব। অমিত কুমার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন এবং বাচ্চাকে সাসপেন্ড করেন। কিন্তু গোটা জেলা জুড়ে পুলিশের এই কাজ প্রশংসিত হয়। অপরাধীদের চোখে এসিড ঢেলে হত্যা করার চেষ্টা করে জনগণ নানান জায়গায়। এসিডের নাম দেওয়া হয় গঙ্গাজল। অমিত কুমার বুঝতে পারেন এই ঘৃন্য পদ্ধতি সভ্য সমাজের উপযোগী নয় কিন্তু তিনি অসহায় বোধ করেন। ইতোমধ্যে সুন্দর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাচ্চা যাদবকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও ডি আই জি বর্মা সাধু যাদবের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অমিত কুমার কে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তিনি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে থাকেন সাধু যাদবের মাফিয়া রাজ ধংশ করার। তেজপুরের বিপুল পরিমাণ মানুষ ও নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা তার পাশে এসে দাঁড়ায়।[৩]