মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
২৫৪,০০০[১] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভারত (গুজরাত), পাকিস্তান (সিন্ধু) | |
ভাষা | |
গুজরাতি • পশতু • হিন্দুস্তানি • ইংরেজি | |
ধর্ম | |
ইসলাম | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
পশতুন • রোহিলা • উত্তরপ্রদেশের পাঠান • রাজস্থানের পাঠান • বিহারের পাঠান • পাঞ্জাবের পাঠান |
গুজরাতি পশতুন/পাঠান হল পশতুনদের একটি দল যারা পশ্চিম ভারতের গুজরাত অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে। তারা এখন গুজরাটি ও উর্দু/হিন্দিভাষী মুসলমানদের একটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায় গঠন করে। এরা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তবে মূলত আহমেদাবাদ, রাজকোট, জুনাগড়, সুরাট, ভাবনগর, পঞ্চমহল, কোঠ, কোথা, বোরসাদ, খেদা, বনাসকান্তা, ভরুচ, গান্ধীনগর, সবরকান্থা, ভাদোদরা ও মেহসানায় বাস করে। তারা প্রধানত উর্দু/হিন্দিতে অনেক পশতু ঋণশব্দ দিয়ে কথা বলে, কিন্তু তাদের অধিকাংশকেই ভারতীয়করণ করা হয়েছে তাই কারো কারো প্রথম ভাষা হিসেবে গুজরাতি থাকতে পারে, সম্প্রদায়ের কিছু প্রবীণ এখনও পশতুতে কথা বলে। সাধারণ উপজাতির মধ্যে রয়েছে বাবি বা বাবাই (পশতুন উপজাতি), নিয়াজি, খান, বঙ্গশ, দুররানি ও ইউসুফজাই।[২]
পাঠানরা মধ্যযুগ থেকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন হিন্দু ও মুসলিম শাসকদের সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসাবে গুজরাতে এসেছিল। ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, পশতুনদের প্রথম বসতি ছিল চতুর্দশ শতাব্দীতে মোহাম্মদ তুঘলকের শাসনামলে, যখন সামরিক উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৩] এটাও সম্ভাব্য যে, ১০২৪ খ্রিস্টাব্দে গুজরাত আক্রমণে গজনীর মাহমুদের সেনাবাহিনীর সাথে অনেকে সাথে ছিলেন ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। (সুরাট জেলার হ্যানসোট ও তাদকেশ্বর বসতিতে প্রাথমিক গজনভিদের ইতিহাস ও হস্তনির্মিত বস্তু)[৪] মাহমুদ বেগাদার শাসনামলে বেশ কয়েকজনের আগমন ঘটে ও সময়ের সাথে সাথে সমগ্র গুজরাট রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মুঘল সাম্রাজ্য ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে বাবি বা বাবাই (পশতুন উপজাতি) ও জালোরি পাঠানরা জুনাগড় ও পালনপুর রাজ্যের শাসক হয়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে আফগানিস্তান থেকে আসা পশতুনদের প্রধানত গিলজাইস তানোলির আরও একটি বসতি দেখা যায় এবং অনেকেই আহমেদাবাদ, সুরাট ও খাম্বাত শহরে বসতি স্থাপন করে। তারা বারোটি বংশে বিভক্ত, যার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল বাবি বা বাবাই, সামরা, খানজাদা, ইউসুফজাই, লোহানী, মান্দোরি, সুলাইমানি, সুরত তুর্ক, মিয়ানি ও জাদরান। গুজরাত পাঠানদের অধিকাংশই জালোরি উপজাতির অন্তর্গত।[২]