গুমলা জেলা | |
---|---|
ঝাড়খণ্ডের জেলা | |
ঝাড়খণ্ডে গুমলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ঝাড়খণ্ড |
প্রশাসনিক বিভাগ | দক্ষিণ ছোটনাগপুর বিভাগ |
সদরদপ্তর | গুমলা |
তহশিল | ১২ |
আয়তন | |
• মোট | ৫,৩৬০ বর্গকিমি (২,০৭০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১০,২৫,২১৩ |
• জনঘনত্ব | ১৯০/বর্গকিমি (৫০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৫.৭৩ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৬৩ মহিলা / ১০০০ পুরুষ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
পূর্ব ভারতে অবস্থিত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৪ টি জেলার একটি গুমলা জেলা৷ ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৩৯০ বঙ্গাব্দে (১৬ই মে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে) পুর্বতন রাঁচি জেলা ভেঙে গুমলা জেলা গঠন করা হয়৷ ১৬ই বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দে(৩০ এপ্রিল ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ) আবার খন্ডিত করে উত্তর অংশ নিয়ে নতুন গুমলা জেলাটি গঠিত হয়৷ জেলাটি ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণে অবস্থিত দক্ষিণ ছোটনাগপুর বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর গুমলা শহরে অবস্থিত এবং গুমলা মহকুমা, বাসিয়া মহকুমা ও চৈনপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
বহুপুর্ব থেকেই গুমলা অঞ্চলটি মেলা ও হাটের জন্য পরিচিত৷ স্থানীয়দের মতে দুটি হিন্দী-সংস্কৃৃত শব্দ 'গো' এবং 'মেলা' থেকেই গুমলা নামটি এসেছে৷ অপরদিকে, মুন্ডারি ভাষাতে চাল প্রস্তুতিকরণ প্রক্রিয়াকে 'গুমলা' বলা হয়৷[১]
জেলাটির উত্তরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লোহারদাগা জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লোহারদাগা জেলা৷ জেলাটির পূর্বে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুঁটি জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সিমডেগা জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ছত্তীসগঢ় রাজ্যের জশপুর জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের বলরামপুর জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লাতেহার জেলা৷[২]
জেলাটির আয়তন ৫৩৬০ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৬.৭৩%৷
গুমলা জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
মোট জনসংখ্যা ৮৩২৪৪৭(২০০১ জনগণনা) ও ১০২৫২১৩(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে ১৬তম৷ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৩.১১% লোক গুমলা জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ১৫৫ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯১ হয়েছে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ২৩.১৬% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৭.৬৫% বৃদ্ধির হারের থেকে বেশি৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৯৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৬৩৷[৪]
জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৫০.৯৪%(২০০১) তথা ৬৫.৭৩%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৬৩.৩৬%(২০০১) তথা ৭৫.৫৫%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৩৮.৪০%(২০০১) তথা ৫৫.৯০% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৬.৬৭%৷[৪]