গুরু দত্ত | |
---|---|
জন্ম | বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাদুকোন ৯ জুলাই ১৯২৫ |
মৃত্যু | ১০ অক্টোবর ১৯৬৪ | (বয়স ৩৯)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯২৫-১৯৪৭) ভারতীয় (১৯৪৭-১৯৬৪) |
পেশা | পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, নৃত্য পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৪৪-১৯৬৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | গীতা দত্ত (বি. ১৯৫৩; মৃ. ১৯৭২) |
সন্তান | ৩ |
আত্মীয় | ললিতা লাজমি (বোন) |
গুরু দত্ত নামে পরিচিত বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাদুকোন (৯ জুলাই ১৯২৫ - ১০ অক্টোবর ১৯৬৪) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা। তিনি ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে ধ্রুপদী হিন্দি চলচ্চিত্র প্যায়াসা, কাগজ কে ফুল, সাহিব বিবি অউর গুলাম, ও চৌধবিঁ কা চান্দ নির্মাণ করেন। প্যায়াসা ও কাগজ কা ফুল চলচ্চিত্র দুটিকে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয় এবং টাইম সাময়িকীর "সর্বকালের ১০০ সেরা চলচ্চিত্র তালিকা"য় প্যায়াসা অন্তর্ভুক্ত। ২০০২ সালে সাইট অ্যান্ড সাউন্ড-এর সমালোচক ও পরিচালকদের ভোটেও এটি সেরা ১০০ চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পায়, যেখানে দত্তকে সর্বকালের সেরা পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সালে সিএনএনের "সর্বকালের সেরা ২৫ এশীয় অভিনেতা" তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।[১]
তিনি ১৯৫০-এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রে গীতধর্মী ও শৈল্পিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এবং ১৯৫৭ সালে প্যায়সা চলচ্চিত্র দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের বাণিজ্যধারার প্রসারের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তার পরবর্তী কয়েকটি চলচ্চিত্র কাল্ট খ্যাতি লাভ করে। তার চলচ্চিত্রগুলির পুনঃমুক্তিকালে দর্শকদের নজর কাড়ে, বিশেষ করে জার্মানি, ফ্রান্স ও জাপানে।[২]
গুরু দত্ত ১৯২৫ সালের ৯ই জুলাই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির পাদুকোনে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাদুকোন, কিন্তু তার শৈশবে একটি দুর্ঘটনার পর তার নাম পরিবর্তন করে গুরু দত্ত রাখা হয়, কারণ ধারণা করা হয় এই নামটি কল্যাণকর।[৩] তার পিতামাতা মূলত কারওয়ারে বসবাস করতেন কিন্তু পরে স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। দত্ত কলকাতার ভবানীপুরে তার শৈশব কাটান। ফলে তিনি বাংলা বলতে পারেন।[৪] তার বোন ললিতা লাজমি একজন বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী। তার ভাগ্নী কল্পনা লাজমি একজন স্বনামধন্য ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।