ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্যারি কার্স্টেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৩ নভেম্বর ১৯৬৭ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | গাজ্জা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | পল কার্স্টেন (ভাই) পিটার কার্স্টেন (বৈমাত্রেয় ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৭) | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ মার্চ ২০০৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৮) | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ মার্চ ২০০৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–২০০৪ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ৫ নভেম্বর ২০১২ |
গ্যারি কার্স্টেন (ইংরেজি: Gary Kirsten; জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৯৬৭) কেপ টাউনে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পরবর্তীকালে তিনি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামতেন। তার বৈমাত্রেয় ভাই পিটার কার্স্টেনও দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষ হয়ে খেলেছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ১৯৯৩ সালে মেলবোর্নে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ৭৬ রানের মাধ্যমে দলকে বিজয়ে সাহায্য করে অবসর নেন। একই দেশের বিপক্ষে প্রথম প্রোটিয়াস হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির রেকর্ড করেন যা পরবর্তীকালে জ্যাক ক্যালিস ভেঙ্গে ফেলেন। ২০০৩ সালে জ্যাক ক্যালিস-গ্যারি কার্স্টেন জুটি চতুর্থ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড গড়েন।[১] তারা ১৯২৯ সালের ওভাল টেস্টে তৎকালীন দলীয় অধিনায়ক নামি ডিন-হার্বি টেলরের গড়া ২১৪ রানের রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
তিনি প্রথম টেস্ট ব্যাটসম্যানরূপে অন্য ৯টি টেস্টখেলুড়ে প্রতিটি দেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০০৩ সালে এ রানটি অতিক্রম করেন সর্বোচ্চ রানের অধিকারী হন গ্রেইম স্মিথ, একই দলের বিপক্ষে ২০০৩ সালে। ব্যাটিংয়ের চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ফলো অনে পড়ে ডারবানের কিংসমিডে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সাড়ে ১৪ ঘণ্টায় ২৭৫ রান করেন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের হানিফ মোহাম্মদের ৯৭০ মিনিটের পর দ্বিতীয় মন্থরতম রান।[২] এরফলে তার দল সমূহ পরাজয়ের কবল থেকে রক্ষা পায়। মার্চ, ২০০৪ সালে শততম টেস্টে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য ঘটে তার। তবে, অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র দুই রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। ঐ খেলায় নিউজিল্যান্ড নয় উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ঐ মৌসুমে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী উপহার দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি।
একদিনের আন্তর্জাতিকে তার করা ১৮৮ রানটি এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার দলের পক্ষ হয়ে সর্বোচ্চ রানের মর্যাদা পাচ্ছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে এ রান করেন যা একদিনের আন্তর্জাতিকে ৬ষ্ঠ[৩] এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।[৪]
ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কেপ টাউনের নিজস্ব ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] নভেম্বর, ২০০৭ সালে সবাইকে আশ্চর্যান্বিত করে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের শূন্য পদে আবেদন করেন।[৬] ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা বিসিসিআই তার সাথে দু’বছরের মেয়াদে চুক্তিতে উপনীত হয়।[৭] ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের তরফে পূর্ণ সমর্থন পেয়ে তিনি ৪ ডিসেম্বর কোচ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৮]
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। সেখানে ১-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ ড্র হলেও ৩-২ ব্যবধানে ওডিআইয়ে পরাজিত হয়। এরপর কার্স্টেন পারিবারিক কারণ দেখিয়ে চুক্তি নবায়ণ করেননি। জশুয়া ও জেমস নামীয় দুই পুত্র ও স্ত্রীকে সঙ্গ দিতেই তার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কেননা তিনি তিন বছর যাবৎ পরিবারকে সঠিকভাবে সময় দিতে পারেননি। তিনি দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ করি ফন জিলের চুক্তি শেষ হবার কথা।[৯]
জুন, ২০১১ সালে কার্স্টেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কোচ হিসেবে যোগদান করেন যার মেয়াদ আগস্ট, ২০১৩ সালে শেষ হয়।[১০]
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী চান্দু বোর্দে |
ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ২০০৮-২০১১ |
উত্তরসূরী ডানকান ফ্লেচার |