গ্রাহাম কর্লিং

গ্রাহাম কর্লিং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গ্রাহাম এডওয়ার্ড কর্লিং
জন্ম১৩ জুলাই, ১৯৪১
ওয়ারাতা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৮)
৪ জুন ১৯৬৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৩ আগস্ট ১৯৬৪ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৫
রানের সংখ্যা ৪৮৪
ব্যাটিং গড় ১.৬৬ ১০.৫২
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪২*
বল করেছে ১১৫৯ ১২৭৬৪
উইকেট ১২ ১৭৩
বোলিং গড় ৩৭.২৫ ৩২.০৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৬০ ৫/৪৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ১১/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ জুন ২০২০

গ্রাহাম এডওয়ার্ড কর্লিং (ইংরেজি: Grahame Corling; জন্ম: ১৩ জুলাই, ১৯৪১) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়ারাতা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন গ্রাহাম কর্লিং

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ওয়ারাতা-মেফিল্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবে খেলাকালীন তিনি তার ক্রিকেট প্রতিভা উন্মোচিত করেছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত গ্রাহাম কর্লিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার গ্রাহাম কর্লিং দৃশ্যতঃ সীমাহীন দম নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুম খেলার পরপরই ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখেননি। ফলশ্রুতিতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা থেকে তাকে দূরে ঠেলে দেয়। এরপর, আরও দুই মৌসুম ভালো খেলা উপহার দেয়ার পর নাটকীয়ভাবে তার খেলায় ছন্দহীনতা লক্ষ্য করা যায়। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে নিজ রাজ্য দলের পক্ষে সর্বশেষ খেলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রাহাম কর্লিং। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৪ জুন, ১৯৬৪ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৩ আগস্ট, ১৯৬৪ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সাধারণমানের সফলতা স্বত্ত্বেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া অ্যাশেজ সিরিজের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। সব মিলিয়ে ৩৭.২৫ গড়ে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, উদ্বোধনী ইনিংসে জিওফ্রে বয়কটের উইকেট ছিল।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The Ashes – 1st Test / Test no. 561 1964 season"। ESPN CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]