চটচটে চাল (ইংরেজি: Glutinous rice) বিশেষত পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে উৎপাদিত হওয়া একধরনের চাল। রান্না করলে এই চাল আঠাযুক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গ-অসম ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বাৰ্মা (মায়ানমার), বাংলাদেশ ইত্যাদিতে চটচটে চালের রন্ধন প্রকরণের বিশেষ প্রচলন আছে। অসমে প্ৰধানত বিহুর জলপান হিসাবে ও পিঠে বানাতে চটচটে চাল ব্যবহার করা হয়। অসমীয়া জনগোষ্ঠীসমূহের পরম্পরাগত পানীয় যেমন লাওপানী ইত্যাদির প্রস্তুতকরণে চটচটে চাল এক প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চটচটে চাল লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, বাংলাদেশ, উত্তর ভারত, চীন, জাপান, কোরিয়া, টাইওয়ান ও ফিলিপাইনসে উৎপাদিত হয়। লাওসে উৎপাদিত হওয়া চালের ৮৫ শতাংশই চটচটে জাতীয় চাল।[১]
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকারের চটচটে চালের (বরা চাউল) চাষ করা হয়। অসমে উৎপাদিত প্রকারসমূহ হচ্ছে বকুল বরা, আঘোণী বরা ইত্যাদি।
আহোম রাজার শাসনকালে নির্মাণ করা পকী ভবন যেমন কারেংঘর, রংঘর ইত্যাদি তৈরিতে করালের মিশ্রণে চটচটে চাল (বরা চাউল) ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশ্ব বিখ্যাত চীনের প্রাচীর তৈরিতেও চটচটে চাল ব্যবহার করার প্ৰমাণ পাওয়া গেছে।[২]