ডাকনাম | লং জি তুই (ড্রাগন) গু জু (জাতীয় দল)[১] | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | চীনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | লি থিয়ে | ||
অধিনায়ক | জেং জি | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | লি ওয়েইফেং (১১২) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | হাও হাইতং (৪১) | ||
মাঠ | বিভিন্ন | ||
ফিফা কোড | CHN | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৭৯ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ৩৭ (ডিসেম্বর ১৯৯৮) | ||
সর্বনিম্ন | ১০৯ (মার্চ ২০১৩) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৯৭ ১২ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩] | ||
সর্বোচ্চ | ২৩ (মে ১৯৩৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৯২ (অক্টোবর ১৯৯২) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
ফিলিপাইন ২–১ চীন (ম্যানিলা, ফিলিপাইন; ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩)[৪] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
চীন ১৯–০ গুয়াম (হো চি মিন সিটি, ভিয়েতনাম; ২৬ জানুয়ারি ২০০০) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
ব্রাজিল ৮–০ চীন (রেসিফি, ব্রাজিল; ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০০২-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০২) | ||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১২ (১৯৭৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | রানার-আপ (১৯৮৪, ২০০৪) |
চীন জাতীয় ফুটবল দল (সরলীকৃত চীনা: 中国国家足球队; প্রথাগত চীনা: 中國國家足球隊; ফিনিন: Zhōngguó guójiā zúqiú duì) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে চীনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম চীনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৩১ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৭৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। চীনা গৃহযুদ্ধের পর, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দ্বারা সংস্কার করা হয়েছিল। ১৯১৩ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তারিখে, চীন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে চীন ফিলিপাইনের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
লং জি তুই নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন লি থিয়ে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কুয়াংচৌ এভারগ্রান্ড তাওবাওয়ের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জেং জি।
চীন এপর্যন্ত মাত্র ১ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে চীন এপর্যন্ত ১২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৮৪ এবং ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনালে পৌঁছানো। যদিও আধুনিক ফুটবলে চীনের ততটা ইতিহাস নেই, তবে ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপ ফাইনালের জন্য আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ান দর্শক ছিল, যেখানে চীন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানের কাছে ৩–১ গোলে পরাজিত হয়েছিল। এটি উক্ত সময়ে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম একক অনুষ্ঠান ছিল।[৫]
লি ওয়েইফেং, জু বো, লিন কাও, হাও হাইতং এবং জেং জির মতো খেলোয়াড়গণ চীনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ঐতিহ্যগতভাবে, চীনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে জাপান জাতীয় ফুটবল দল।[৬] ২০০৪ সালের এফসি এশিয়ান কাপের ফাইনালে জাপানের কাছে ৩–১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর চীনের ভক্তদের ওয়ার্কার স্টেডিয়ামের উত্তর গেটের কাছে দাঙ্গা শুরু করেছিল।[৭] উক্ত সময় টুর্নামেন্টের বিতর্কিত ওষুধ ও দুর্যোগপূর্ণ জাপানী মনোভাবের কারণে দাঙ্গা ছড়ানোর কথা বলা হয়েছিল।
আরেকটি সুপরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহযোদ্ধা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও রয়েছে। ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালে ৩২ বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা ২৭টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে চীন একটি ম্যাচও (১১ ড্র এবং ১৬ হার) জয়লাভ করতে পারেনি। এই ঘটনাটি বর্ণনা করার জন্য মিডিয়াটি "কোরেফোবিয়া" শব্দটি সংকলন করেছে, কিন্তু ২০১০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে চীন অবসেস জয়লাভ করেছিল। ২০১০ সালের এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ৩–০ ব্যবধানে জয়ী হয় এবং শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি জিতে নেয়।
রাজনৈতিক চাপের কারণে হংকংয়ের সাথে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়েছে। হংকং ভক্তরা চীনের জাতীয় সংগীতের সময় নিন্দা প্রকাশ করে।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে চীন তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৩৭তম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১০৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে চীনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২৩তম (যা তারা ১৯৩৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৯২। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৭৭ | জর্জিয়া | ১৩১২.৪৫ | |
৭৮ | এল সালভাদোর | ১৩০৬.১৪ | |
৭৯ | চীন | ১২৯৯.৪৯ | |
৮০ | গিনি | ১২৯০.০১ | |
৮১ | বুলগেরিয়া | ১২৮৯.৯ |
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৯৫ | ১২ | মার্তিনিক | ১৪৪১ |
৯৬ | ২৬ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ১৪৩২ |
৯৭ | ১২ | চীন | ১৪৩১ |
৯৮ | ২ | কুর্দিস্তান অঞ্চল | ১৪২৫ |
৯৯ | ২৫ | বাহরাইন | ১৪২৪ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | প্রত্যাখ্যান | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ||||||||||||||||
১৯৩৮ | ||||||||||||||||
১৯৫০ | ||||||||||||||||
১৯৫৪ | ||||||||||||||||
১৯৫৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৫ | |||||||||
১৯৬২ | অংশগ্রহণ করেনি | প্রত্যাখ্যান | ||||||||||||||
১৯৬৬ | ||||||||||||||||
১৯৭০ | ||||||||||||||||
১৯৭৪ | ||||||||||||||||
১৯৭৮ | ||||||||||||||||
১৯৮২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৬ | ২ | ২ | ১৭ | ৬ | |||||||||
১৯৮৬ | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ২৩ | ২ | ||||||||||
১৯৯০ | ১১ | ৭ | ০ | ৪ | ১৮ | ৯ | ||||||||||
১৯৯৪ | ৮ | ৬ | ০ | ২ | ১৮ | ৪ | ||||||||||
১৯৯৮ | ১৪ | ৮ | ৩ | ৩ | ২৪ | ১৬ | ||||||||||
২০০২ | গ্রুপ পর্ব | ৩১তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ৯ | ১৪ | ১২ | ১ | ১ | ৩৮ | ৫ | ||
২০০৬ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ৫ | ০ | ১ | ১৪ | ১ | |||||||||
২০১০ | ৮ | ৩ | ৩ | ২ | ১৪ | ৪ | ||||||||||
২০১৪ | ৮ | ৫ | ০ | ৩ | ২৩ | ৯ | ||||||||||
২০১৮ | ১৮ | ৮ | ৫ | ৫ | ৩৫ | ১১ | ||||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | ||||||||||||||
মোট | গ্রুপ পর্ব | ১/২১ | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ৯ | ১০৬ | ৬৫ | ১৬ | ২৫ | ২১৬ | ৭২ |
মহাদেশীয়[সম্পাদনা]আঞ্চলিক[সম্পাদনা]
|
অন্যান্য[সম্পাদনা]
|