স্থাপিত | জুলাই ২০০৪ |
---|---|
অবস্থান | মিলেনিয়াম পার্ক শিকাগো, ইলিনয়েস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | উন্মুক্ত গ্যালারি |
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা | মিলেনিয়াম স্টেশন - মেট্রা মনরো - রেড লাইন রেনডল্ফ -ব্রাউন, পার্পল, গ্রীন, অরেঞ্জ, ও পিংক মনরো - ব্লু লাইন |
ওয়েবসাইট | http://www.millenniumpark.org/parkevents/ |
চেশ প্রমেনাডে (পূর্বে ব্যাংক ওয়ান নামে পরিচিত ছিল)[১] হল খোলা হাওয়া, সারি করা গাছের পথচারীদের জন্য হাঁটার রাস্তা, যা ২০০৪ সালের ১৬ই জুলাই মাসে সবার জন্য খুলে দেয়া হয়। এটা মিলেনিয়াম পার্কের একটা অংশ,যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় প্রদেশের শিকাগো শহরের লুপ কমিউনিটিতে এর অবস্থান। চেশ প্রমেনাডে যতদূর সম্ভবত ব্যাংক ওয়ানের পক্ষ থেকে দেয়া উপহার।[২] এর জমির পরিমাণ ৮ একর (৩.২ হেক্টর) এবং এটা প্রদর্শনী, উৎসব, পারিবারিক অনুষ্ঠান,ভাড়া জন্য ব্যবহৃত হয়।[২][৩]
চেশ প্রমেনাডে ২০০৫ সালে প্রকাশক শিকাগোঃ বৈমানিক পোর্ট্রেট ছবি প্রদর্শনী, ২০০৮ সালে পেইন্টিং বিলও জিরো প্রদর্শনী, ২০০৯ সালে বার্নহাম পাভিলিওন হোস্ট করে। বার্নহাম পাভিলিওন ছিল পুরো শহরের বার্নহাম প্লান শতবার্ষিক উদ্যাপন অনুষ্ঠান।
পূের্ব মিশিগান লেক ও পশ্চিমে গ্রান্ট পার্কের মধ্যে অবস্থান হওয়ায়,১৯ শতকের মাঝ থেকেই এটি শিকাগোর সম্মুখ উঠান। উত্তর-পশ্চিম কোণে উত্তর মনরই স্ট্রিট,আর্ট ইনস্টিটিউট,পূর্বে মিশিগান এভিনিউ,দক্ষিণ অংশ রানডলফ স্ট্রিট,পশ্চিমে কলম্বাস ড্রাইভ। ১৯৯৭ সাল থেকে এটি ইলিনয়ের কেন্দ্রীও রেল জংশন ছিল, যখন এটা মিলেনিয়াম পার্ক হিসাবে উন্নয়ন হতো।[৪] আজ মিলেনিয়াম পার্ক শুধু নৌবাহিনীর জেটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা শিকাগোর দর্শনার্থীর আকর্ষণ।[৫]
প্রমেনাডের পার্কের তিন টি ভাগ যার বিস্তার উত্তরে রানডলফ স্ট্রিট থেকে দক্ষিণেমনরই স্ট্রিট পর্যন্ত, একটি হল উত্তর প্রমেনাডে, অন্য দুটি হল কেন্দ্রীও প্রমেনাডে ও দক্ষিণ প্রমেনাডে।[৩] সারা বছর বেসরকারি ভাড়ার জন্য থাকে এবং এর স্থায়ী বৃত্তাকার তাঁবু আছে।[৩]
প্রমেনাডেকে শহরবাসী অনেক গুলো উৎসব ও প্রদর্শনীর কাজে ব্যবহার করেছে।
প্রকাশক শিকাগোঃ বৈমানিক পোর্ট্রেট ছবি প্রদর্শনী হয়েছিল কেন্দ্রীও প্রমেনাডে এবং দক্ষিণ বইং গেলারিতে।প্রদর্শনী ছিল ২০০৫ সালের জুনের ১০ তারিখ থেকে অক্টোবরের ১০ তারিখ পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে শিকাগো শহরের ১০০ ছবি ও ২০০৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০০৪ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ঋতুর বিমান উড্ডয়নের ৫০ টি ছবি প্রদর্শিত হয়।[৬][৭] শিকাগোর ফটোগ্রাফের টেরি ইভান্স বলেছেন, শতকরা ৯০ ভাগ ছবি হেলিকোপটার থেকে তোলা, তার পছন্দের পদ্ধতি ছিল বেলুনে করে ছবি তোলা,কিন্তু শিকাগো ছিল বেলুনে করে ছবি তোলার জন্য প্রচণ্ড ঝড়ো।[৮]
ট্রিবিউন চিত্রসমালোচক অ্যালেন জি. আরত্নের লক্ষ্য করেন যে, মার্ক ডি শুভেরর স্থাপনা(২০০৭-০৮) হোস্ট করে ছোট বইং গ্যালারি যা তার মাঝারি সাইজের টুকরোতে সীমাবদ্ধ, তারপরও শক্তভাবে জড়ো হয়ে ছিল। তিনি মনে করেন চেশ প্রমেনাডে আরও ভাল ভাবে সাজানো যেত এবং টুকরো নির্বাচনে চিত্রকর কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া যেত।[৯]
১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে মিলেনিয়াম পার্ক "মিউজিয়াম অব মডার্ন আইস" নামক শীতকালীন উদ্যাপন হোস্ট করে।[১০] এই অনুষ্ঠান টিতে শিল্পী গর্ডন হাল্লরানের স্বত্ব অধিকারী চিত্রকর্ম "বিলও জিরো" দেখানো হয়, যা কেন্দ্রীও প্রমেনাডে হয়েছিল।[১১][১২] প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ ছিল ৪ টি বরফ টুকরো উপর বিমূর্ত শিল্পকর্ম,যার মাপ ছিল ৯৫ বাই ১২ ফুট (২৯.০ বাই ৩.৭ মি)[১১]। হাল্লরান আইস পেইন্টিং ছাড়াও আর্ট করেন "মক্রকমিক ট্রিবিউন আইস রিঙ্ক"।[১৩]
২০০৯ সালে মিলেনিয়াম পার্কের পঞ্চম বার্ষিকী উদ্যাপন ও বার্নহাম প্লান শতবার্ষিক উদ্যাপনে ব্যক্তিগত অর্থায়নের জন্য দুটি অস্থায়ী প্যাভিলিয়ন বসানো হবে যার অবস্থান হবে চেশ প্রমেনাডের দক্ষিণপ্রান্তে। ৩১ শে অক্টোবর ২০০৯ থেকে 'যাহা হাদিদ' ও 'বেন ভান বেরকেল' প্যাভিলিয়ন দুটি তে তথ্য ও বার্নহাম প্লানের ফলে শিকাগোর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দেখানো হবে।[১৪]