জন জি. অ্যাভিল্ডসেন | |
---|---|
John G. Avildsen | |
জন্ম | জন গিলবার্ট অ্যাভিল্ডসেন ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৫ ওক পার্ক, ইলিনয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৬ জুন ২০১৭ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮১)
মৃত্যুর কারণ | অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার |
অন্যান্য নাম | জনি অ্যাভিল্ডসেন |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬৯-২০১৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মারি ওলগা মাতুরেভিচ ট্রেসি ব্রুকস সোয়াপ (বি. ১৯৮৭; বিচ্ছেদ. ২০০৬) |
সন্তান | ৪ |
স্বাক্ষর | |
জন গিলবার্ট অ্যাভিল্ডসেন (ইংরেজি: John Guilbert Avildsen; ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৫ – ১৬ জুন ২০১৭)[১] ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে জো (১৯৭০) ও সেভ দ্য টাইগার (১৯৭৩) চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সমাদৃত হন। ১৯৭৭ সালে রকি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ফোর প্লে (১৯৭৫), দ্য ফর্মুলা (১৯৮০), নেইবারস (১৯৮১), ফর কিপস (১৯৮৮), লার্ন অন মি (১৯৮৯), রকি ফাইভ (১৯৯০), দ্য পাওয়ার অব ওয়ান (১৯৯২), এইট সেকেন্ডস (১৯৯৪), ইনফার্নো (১৯৯৯) এবং দ্য কারাটে কিড চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের প্রথম তিনটি চলচ্চিত্র।
অ্যাভিল্ডসেন আর্থার পেন ও অটো প্রেমিঞ্জারের সহকারী হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করার পর স্বল্প নির্মাণ ব্যয়ের জো (১৯৭০) দিয়ে সফলতা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি পিটার বয়েলের অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হয় ও বক্স অফিসে মধ্যম মানের ব্যবসা করে এবং অ্যাভিল্ডসেন ১৯৭০-এর দশকে স্বনামধন্য পরিচালক হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীকালে তার সেভ দ্য টাইগার (১৯৭৩) ছবিটিও সমাদৃত হন এবং তিনটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। এই ছবিতে সে সময়ের তারকা অভিনেতা জ্যাক লেমন পোশাক ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত একজন নির্বাহী চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[২] ব্যবসায়িক দিক থেকে এই ছবিটিও তেমন সফলতা অর্জন করতে পারে নি, তবে ১৯৭০-এর দশকে অ্যাভিল্ডসেন সফল পরিচালকদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
অ্যাভিল্ডসেনের সবচেয়ে সফল কাজ ছিল রকি (১৯৭৬)। তিনি লেখক ও অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সাথে যৌথভাবে এই ছবির কাজ করেন। ছবিটি সমালোচনামূলক ও ব্যবসায়িক উভয় দিক থেকেই সফল হয় এবং ১৯৭৬ সালের সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ দশটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালনাসহ তিনটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে।[২]
১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যাভিল্ডসেনের দ্য কারাটে কিড ছবিটি একজন কিশোরের গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে, যে বুলিদের হতবুদ্ধি করে দেয় এবং তার মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষকের সহায়তায় কারাটে চ্যাম্পিয়ন হয়। রকি ছবির মত এই ছবিটিও মারপিঠের দৃশ্যগুলো দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২] এই ছবির সফলতার পর তিনি এর আরও দুটি অনুবর্তী পর্ব দ্য কারাটে কিড পার্ট টু ও দ্য কারাটে কিড পার্ট থ্রি নির্মাণ করেন।[২]
অ্যাভিল্ডসেনের প্রথম স্ত্রী মারি ওলগা মাতুরেভিচ (মেলিসা ম্যাকল)। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি ১৯৮৭ সালে অভিনেত্রী ট্রেসি ব্রুকস সোপকে বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তাদের পাঁচ সন্তান ছিল। তার পুত্র অ্যাশ (জন্ম ৫ নভেম্বর ১৯৮১) সুমেরিয়ান রেকর্ডস প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] আরেক পুত্র জোনাথন অ্যাভিল্ডসেন দ্য কারাটে কিড পার্ট থ্রি ও রকি ফাইভ-এ অভিনয় করেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম অ্যান্টনি এবং অ্যান্টনির কন্যা পেনেলোপি অ্যাভিল্ডসেন। ট্রেসি সোপের গর্ভে তার এক কন্যা ছিল, যার নাম ব্রিজেট।[৪]
অ্যাভিল্ডসেন ২০১৭ সালের ১৬ই জুন ৮১ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসের সেডার্স-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে মৃত্যুবরণ করেন।[৫] তার পুত্র অ্যান্টনি অ্যাভিল্ডসেন জানান তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[৪]