জলে ঝাঁপ (ক্রীড়া)

জলে ঝাঁপ
সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা সংস্থাফেদেরাসিওঁ আঁতেরনাসিওনাল দ্য নাতাসিওঁ (ফিনা)
বৈশিষ্ট্যসমূহ
ধরনজলক্রীড়া
প্রচলন
অলিম্পিক১৯০৪ সাল থেকে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক পরিকল্পনার অংশবিশেষ
১৯৩৭ সালে সোয়ালো পাখির মতো ঝাঁপে এক নারীর অংশগ্রহণ

জলে ঝাঁপ বা ডাইভিং হচ্ছে কোনও জলাশয় থেকে উঁচুতে অবস্থিত শক্ত কোন মঞ্চ কিংবা স্থিতিস্থাপক তক্তা (স্প্রিংবোর্ড) থেকে জলে ঝাঁপ দেওয়ার ক্রীড়া। মূলত শারীরিক কসরত দেখানোর উদ্দেশ্যে জলে ঝাঁপ দেওয়া হয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ক্রীড়া, যা অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ। এছাড়াও অবসরে বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অবকাঠামোবিহীন ও প্রতিযোগিতাবিহীন অবস্থায়ও জলে ঝাঁপ দেওয়া হতে পারে।

অলিম্পিকে জলে ঝাঁপ অনুষ্ঠানটিতে অনেক দর্শক সমাগম হয়ে থাকে। শরীরকলাবিদ (জিমন্যাস্ট) ও নৃত্যশিল্পীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে এ ক্রীড়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের আচরণের বেশ মিল রয়েছে। এর মধ্যে শক্তিমত্তা, নমনীয়তা, বিচক্ষণতা ও বায়ু ব্যবহারে সচেতনতা অন্যতম।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সুপ্রাচীনকাল থেকে বিশ্বে অবসরগ্রহণকালীন জলে ঝাঁপ দেওয়া একটি ক্রীড়া হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৮৮০-এর দশকে প্রথমবারের মতো আধুনিক জলে ঝাঁপ প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ক্রীড়ার সঠিক উৎপত্তিকাল অজানা রয়ে গেছে।[][] ১৯০৪ সালে রাল্ফ টমাসের লিখিত সুইমিং পুস্তকে বর্ণিত আছে যে, কমপক্ষে ১৮৬৫ সালে জলে ঝাঁপ দেওয়ার ইংরেজ প্রতিবেদন উল্লেখিত রয়েছে।[] ১৮৭৭ সালের ব্রিটিশ রুরাল স্পোর্টসের সংস্করণে জন হেনরি ওয়ালশ উল্লেখ করেছিলেন যে, মি. ইয়ং ১৮৭০ সালে ৫৬ ফুট নিচে ডুব দিয়েছিলেন। এতে আরও উল্লখে করা ছিল যে, এ ঘটনার ২৫ বছর পূর্বে ড্রেক নামীয় এক সাঁতারু ৫৩ ফুট গভীরে যেতে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন।[]

১৮৮৩ সালে গ্রেট ব্রিটেন সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের (বর্তমানে - ইংলিশ অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো প্লাঞ্জিং চ্যাম্পিয়নশিপের প্রবর্তন করে।[][] ঐ প্রতিযোগিতাটি ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হতো।

শৌখিন জলে ঝাঁপ

[সম্পাদনা]

সুয়েডীয় প্রচলিত ধারায় শৌখিন জলে ঝাঁপ (ফ্যান্সি ডাইভিং) অটো হ্যাগবর্গ এবং সি এফ মরিৎজি ক্রীড়া হিসেবে জনসমক্ষে তুলে ধরেন। তাঁরা হাইগেট পন্ডের ১০ মিটার জলে ঝাঁপ তক্তা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কৌশল প্রদর্শন করেন। এর ফলে ১৯০১ সালে শৌখিন ঝাঁপারু সংস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রভূত সহায়তা করেন যা বিশ্বের প্রথম ঝাঁপারু সংগঠন ছিল। পরবর্তীকালে এ সংস্থাটি শৌখিন সাঁতারু সংস্থাটির (Amateur Swimming Association অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের) সাথে একীভূত হয়। ১৯০৩ সালে চ্যাম্পিয়নশিপে শৌখিন জলে ঝাঁপের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভূক্তি ঘটে।[][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wilson, William. The swimming instructor, p. 60-64 (1883)
  2. (2 August 1845). Swimming – Section III – How To Go Into The Water – Plunging, The Sportsman's magazine
  3. Thomas, Ralph. Swimming, p. 149-50 (1904)
  4. Walsh, John Henry. British rural sports, p. 720-21 (13th ed. 1877)
  5. Henry, William and Sinclair, Archibland. Swimming, p.110-19, 411 (1893)
  6. Cox, Richard et al. Ref Encyclopedia of British sport, p. 111 (2000)
  7. "HISTORY of DIVING"। ২০১৩-১২-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৭ 
  8. "A brief history of diving"। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]