জাগো হুয়া সাভেরা | |
---|---|
পরিচালক | আখতার জং কারদার |
প্রযোজক | নোমান তাসির |
রচয়িতা | আখতার জং কারদার |
চিত্রনাট্যকার | ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ |
উৎস | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক পদ্মা নদীর মাঝি |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | তিমির বরণ |
চিত্রগ্রাহক | ওয়াল্টার লাসালি |
সম্পাদক | মিস ভিনভোবেট |
প্রযোজনা কোম্পানি | সেঞ্চুরি ফিল্মস |
মুক্তি | ৮ মে, ১৯৫৯ |
স্থিতিকাল | ৮৭ মিনিট |
দেশ | পাকিস্তান |
ভাষা | উর্দু |
জাগো হুয়া সাভেরা আখতার জং কারদার পরিচালিত ১৯৫৯ সালের পাকিস্তানি চলচ্চিত্র। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ১৯৩৬ সালের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিস, তৃপ্তি মিত্র, কাজী খালেক, জুরাইন লক্ষ্মী, ও মীনা লতিফ।
চলচ্চিত্রটি ১৯৫৯ সালের ৮ মে পাকিস্তানে মুক্তি পায়। ছবিটি সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানি নিবেদন হিসেবে জমা দেওয়া হয়, কিন্তু মনোনীত হয় নি।[১] ছবিটি ১ম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে স্বর্ণ পদক অর্জন করে।[২]
জাগো হুয়া সাভেরা চলচ্চিত্রটি তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানে (বর্তমান স্বাধীন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) নির্মিত হয়। ছবিটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে নির্মিত হয় এবং পরিচালনা করেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরের পরিচালক আখতার জং কারদার।[৩] ছবিটি উর্দু ভাষায় নির্মিত হয়, যা তখন পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের ভাষা ছিল। কারদার তার সহকারী পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে জহির রায়হানকে।
চলচ্চিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ১৯৩৬ সালের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। কারদার ছবিটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন ১৯৫৮ সালে। তখন পাকিস্তানের রাজনীতির পট পরিবর্তন হতে শুরু করে। ছবিটি সাদাকালোয় ধারণ করা হয়। শুটিং হয় মানিকগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীর পাড়ে।[৪]
জাগো হুয়া সাভেরা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিমির বরণ। গীত রচনা করেছেন ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ।[৪]
চলচ্চিত্রটি মুক্তির তিনদিন পূর্বে পাকিস্তানের নতুন সরকার (আইয়ুব খানের অধীনে) তা বন্ধের নির্দেশ দেন। চিত্রনাট্যকার ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ পরবর্তীতে তার সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের কারণে জেলে যান। অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র এবং তার স্বামী শম্ভু মিত্রও বাম-ঘরানার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, এবং ১৯৪০ এর দশকে বামপন্থি ইন্ডিয়ান পিপল্স থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। ছবিটি লন্ডনে প্রিমিয়ার হলে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাই কমিশনার পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছবির প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।[৪]
ছবিটি ১৯৫৯ সালে ১ম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং স্বর্ণ পদক লাভ করে।[৪]