জাতীয় সড়ক ২২ | ||||
---|---|---|---|---|
পথের তথ্য | ||||
এএইচ42-এর অংশ | ||||
দৈর্ঘ্য | ৪১৬ কিমি (২৫৮ মা) | |||
প্রধান সংযোগস্থল | ||||
উত্তর প্রান্ত: | সোনবর্ষা; নেপাল সীমান্ত | |||
দক্ষিণ প্রান্ত: | চাঁদবা | |||
অবস্থান | ||||
রাজ্য | বিহার, ঝাড়খণ্ড | |||
মহাসড়ক ব্যবস্থা | ||||
|
জাতীয় সড়ক ২২ (এনএইচ ২২) হল ভারতের একটি জাতীয় সড়ক। এই মহাসড়কটি বিহারের সোনবর্ষা থেকে ঝাড়খণ্ডের চাঁদবা চান্দোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।[১][২] এটি একটি উত্তর-দক্ষিণ জাতীয় সড়ক।
সড়কটির দৈর্ঘ ৪১৬ কিমি (২৫৮ মাইল)। এটি বিহার রাজ্যের তিনটি বিভাগের ৬ টি জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের দুটি বিভাগের দুটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রসারিত। সড়কটি পাটনা শহরের কাছে ভারতের দীর্ঘতম নদী গঙ্গাকে অতিক্রম করে।
সড়কটি তিরহূত বিভাগের সীতামঢ়ী জেলার উত্তর প্রান্তে সোনবর্ষায় ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে শুরু হয়। এর পরে সড়কটি সোনবর্ষা অতিক্রম করে দক্ষিণমুখী হয়ে অগ্রসর হয়। মহাসড়কটি সীতামঢ়ী জেলার সদর শহর সীতামঢ়ীর পূর্ব প্রান্ত দিয়ে শহরটিকে অতিক্রম করে। জেলার দক্ষিণে সড়কটি বহরামনগরের কাছে মজঃফরপুর জেলায় প্রবেশ করে এবং জেলায় উত্তর প্রান্তে সড়কটি কাটাউঝা সেতু দ্বারা বাঘমতি নদী অতিক্রম করে। কিছু পথ অতিক্রম করে সড়কটি পুনরায় সীতামঢ়ী জেলায় প্রবেশ করে। ছাক্কি রামপুরের কাছে সড়কটি পুনরায় মজঃফরপুর জেলায় প্রবেশ করে এবং দক্ষিণমুখী হয়ে অগ্রসর হয়। সড়কটি মজঃফরপুর জেলার জেলা সদর মজঃফরপুর শহরের উত্তর অংশে বুড়ী গন্ধক নদীকে অতিক্রম করে এবং শহরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে শহরটিকে অতিক্রম করে। মজঃফরপুর শহরের থেকে সড়কটি আবার দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয় এবং মজঃফরপুর জেলা অতিক্রম করে বৈশালী জেলায় প্রবেশ করে। এর পরে সড়কটি ভগবানপুর ও সরায় অতিক্রম করে জেলার দক্ষিণ প্রান্তে গঙ্গার নদীর উত্তর তীরে মিনাপুরে পৌছায়। মহাত্মা গান্ধী সেতু দ্বারা সড়কটি গঙ্গা নদী অতিক্রম করে পাটনা বিভাগের পাটনা জেলার প্রধান শহর ও বিহারের রাজধানী পাটনা শহরে প্রবেশ করে।
সড়কটি প্রথমে পাটনা শহরের পূর্ব প্রান্তের অংশ দিয়ে দক্ষিণে অগ্রসর হয় এবং পরে পশ্চিম দিকে বাক নিয়ে পশ্চিমমুখী হয়ে সিপারা সেতু পর্যন্ত বিস্তৃত। সিপারা সেতু অতিক্রম করারা পর সড়কটি দক্ষিণ দিকে বাঁক নেয়। সড়কটি দুমারি ও মসরুহি হয়ে জেলার দক্ষিণ প্রান্তে নাদৌল পর্যন্ত বিস্তৃত। নাদৌলের দক্ষিণে সড়কটি পাটনা জেলা অতিক্রম করে মগধ বিভাগের জেহানাবাদ জেলায় প্রবেশ করে।
সড়কটি জেহানাবাদ জেলায় প্রবেশ করে রেলপথের সমান্তরালে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয় জেহানাবাদ শহর পর্যন্ত। সড়কটি শহরটিকে মাঝ বরাবর অতিক্রম করে এবং শহরের দক্ষিণে দরধা নদীকে অতিক্রম করে। এর পরে সড়কটি দক্ষিণ দিকে মখদুমপুর শহর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। মখদুমপুর শহর অতিক্রম করে সড়কটি বরাবর হল্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছে গয়া জেলায় প্রবেশ করে। সড়কটি জেহানাবাদ-গয়া জেলা সীমান্ত থেকে দক্ষিণমুখী হয়ে গয়া জেলার গয়া শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। গয়া শহরে সড়কটি পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে গাল্গু মানপুর সেতু দ্বারা ফাল্গু নদীকে অতিক্রম করে। সড়কটি ফাল্গু নদীর পূর্ব তীরে মানপুর থেকে প্রথমে দক্ষিণে দিকে বাঁক নিয়ে এবং পরে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়ে ফাগুল নদী অতিক্রম করে পাহাড়পুর পর্যন্ত বিস্তৃত। পাহাড়পুর থেকে সড়কটি দক্ষিণ দিকে বাঁক নেয়। পাহাড়পুর থেকে সড়কটি দক্ষিণ পশ্চিমে ধোবি পর্যন্ত বিস্তৃত। ধোবিতে সড়কটি ১৯ নং জাতীয় সড়ককে অতিক্রম করে। ধোবি থেকে সড়কটি প্রথমে দক্ষিণমুখী ও পরে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী হয়ে বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
সড়কটি ঝাড়খণ্ডের উত্তর ছোটনাগপুর বিভাগের ছাত্রা জেলায় প্রবেশ করে ফাল্গু নদীর পশ্চিম তীর বরাবর বনরা পর্যন্ত বিস্তৃত। বনরায় সড়কটি ফাল্গু নদীকে অতিক্রম করে নদীর পূর্ব তীরে উপস্থিত হয়। সড়কটি দক্ষিণমুখী হয়ে নদীর পূর্ব তীর বরাবর গোরে পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পর সড়কটি একটি নদীকে অতিক্রম করে জেলা সদর ছাত্রায় উপস্থিত হয়। ছাত্রা থেকে সড়কটি দক্ষিণে অগ্রসর হয় এবং জবরার কাছে ছাত্রা জেলা অতিক্রম করে পালামৌ বিভাগের রাঁচি জেলায় প্রবেশ করে।
সড়কটি লাতেহার জেলায় প্রবেশ করে দক্ষিণমুখী হয়ে বালুমাথ পর্যন্ত বিস্তৃত। বালুমাথ থেকে সড়কটি চাঁদবা পর্যন্ত বিস্তৃত। সড়কটি চাঁদবায় ৩৯ নং জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত হয়।