জামরুদ جمرود Jam | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°০০′ উত্তর ৭১°২৩′ পূর্ব / ৩৪.০০০° উত্তর ৭১.৩৮৩° পূর্ব | |
দেশ | পাকিস্তান |
অঞ্চল | খাইবার পাখতুনখোয়া |
জেলা | খাইবার |
তেহসিল | জামরুদ তেহসিল |
উচ্চতা | ১,৫১২ ফুট (৪৬১ মিটার) |
জনসংখ্যা (2017)[১] | |
• মোট | ৬৩,৮৪৩ |
জামরুদ ( পশতু / উর্দু: جمرود : جمرود ) বা জাম ( পশতু: جم : جم ) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের খাইবার জেলার একটি শহর। পেশোয়ার শহরের পশ্চিম প্রান্তে জামরুদ পেশোয়ার উপত্যকায় অবস্থিত। শহরটি খাইবার গিরিপথের প্রবেশদ্বার যা শহরের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত।
গিরিপথটি আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত পশ্চিমে ল্যান্ডি কোটালের সাথে জামরুদকে সংযুক্ত করেছে।
জামরুদ মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য রুটে অবস্থান একটি শহর এবং এটি একটি কৌশলগত এবং গুরুত্ত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান। শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪৬১ মিটার (১.৫১২ ফুট) উপরে অবস্থিত। জামরুদ দুর্গ পেশোয়ার শহরের পশ্চিমে ১৭ কিমি (১১ মা) দূরে অবস্থিত।
শিখ সাম্রাজ্য এবং দুররানি সাম্রাজ্যের মধ্যে জামরুদের যুদ্ধ জামরুদ শহরে সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে শিখ সেনাপতি হরি সিং নালওয়া নিহত হয়েছিলেন। এর পর থেকে এই অঞ্চল থেকে শিখ সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যায়। বিখ্যাত জামরুদ দুর্গ হরি সিং নালওয়া ৫৪ দিনে তৈরি করেছিলেন। দুর্গটি নির্মাণের প্রস্তাবটি তাঁর এক সেনাপতি দ্বারা জারি করা হয়েছিল। তাঁর এই প্রস্তাবটি মেনে নেওয়া হয়নি এবং প্রস্তাবটির বিরোধিতা হতে থাকে। কিন্তু তাসত্ত্বেও অবশেষে তিনি দুর্গ নির্মাণ এবং এর বিন্যাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। যে দুর্গটি টিকে আছে সেটির ভিত্তিটি জেনারেল হরি সিং নালওয়া ১৮ ডিসেম্বর ১৮৩৬ সালে স্থাপন করেছিলেন এবং ৫৪ দিনের মধ্যে দুর্গটির নির্মাণকার্য শেষ হয়েছিল। ১৮৩৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুর্গটি শেষ হয়েছিল। হরি সিং নলওয়ার কবর এখনও দুর্গের পাশেই রয়েছে যেখানে তার দাহ করা ছাই পড়ে আছে। জামরুদ ছিল একটি কৌশলগত অবস্থান এবং ব্রিটিশ রাজের সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এটি একটি সেনানিবাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহা করা হত। এটি মূলত ব্রিটিশ সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে তাদের যুদ্ধের জন্য এটি কার্যকরী ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত। ১৮৭৮-৭৯ সালের সামরিক অভিযানের সময় জামরুদ আফগানিস্তানের দিকে ব্রিটিশ ভূখণ্ডে সীমান্ত ফাঁড়ি হিসাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে এবং এটি ১৮৯৭-১৮৯৮ সালে তিরাহ অভিযানের একটি অংশের অপারেশনের ভিত্তি ছিল। এটি খাইবার রাইফেলসের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও এটি খাইবার টোল আদায়ের কেন্দ্রও ছিল। স্থানটি বর্তমানে সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি শাখা ফ্রন্টিয়ার কোরের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে। ১৯০১ সালে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১,৮৪৮ জন। ২০১৭ সালের হিসেবে শহরটির জনসংখ্যা ৬৩,৮৪৩ জন রেকর্ড করা হয়েছিল। এই শহরটির কৌশলগত তাত্পর্য এবং গুরুপ্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে।