ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে মিলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চেস্টারফিল্ড, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড | ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১২ আগস্ট ১৯৭৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ জুন ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩–১৯৮৬ ও ১৯৯০ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৮৯ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ জুলাই ২০১৭ |
জিওফ্রে মিলার, ওবিই (ইংরেজি: Geoff Miller; জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫২) ডার্বিশায়ারের চেস্টারফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকরী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে চৌত্রিশ টেস্ট ও পঁচিশটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করাসহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন জিওফ মিলার।[২] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন!
চেস্টারফিল্ড গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি। ১৯৭১ সাল থেকে ডার্বিশায়ার দ্বিতীয় একাদশ ও তরুণদের নিয়ে গড়া দলে খেলতে থাকেন। সঠিকমানের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও বিশ্বস্ত ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিলার।
১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বর্ণাঢ্যময় প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২৮৩ খেলায় ৮৮৮ উইকেট এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৪ মেয়াদে ৩৩৪টি লিস্ট এ খেলায় ২৭৮ উইকেট পান।
জুলাই, ১৯৭৩ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সমারসেটের বিপক্ষে ঐ খেলার একমাত্র ইনিংসে তিনি শূন্য রান করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে ডার্বিশায়ারের দলনেতা মনোনীত হন। ১৯৮১ মৌসুমে ডার্বিশায়ারের সদস্য থাকাবস্থায় ন্যাশনাল ওয়েস্টমিনস্টার ব্যাংক ট্রফি জয় করেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে ডার্বিশায়ার দলের পক্ষে খেলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ ডার্বিশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। এরপর নিয়মিত অধিনায়ক ডেভিড স্টিলের আকস্মিক পদত্যাগের কারণেও ছয় সপ্তাহ এ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৭ সালে দল ত্যাগ করে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করতে থাকেন। এ দলে ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ মেয়াদে পুনরায় ১৯৯০ সালে ডার্বিশায়ারে প্রত্যাবর্তন করেন।[১] এরপর ১৯৯১ সালে চেশায়ারের পক্ষে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩৪ টেস্টে ৬০ উইকেট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে সমসংখ্যক উইকেট লাভ করেন।[৩] তন্মধ্যে, অপ্রত্যাশিতভাবে টেস্টে তার উইকেট লাভের পিছনে কোনরূপ স্ট্যাম্পিংয়ের ঘটনা ঘটেনি।[৪]
মিলার টেস্টে কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি। দুইবার নব্বুইয়ের কোঠায় পৌঁছেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে অপরাজিত ৯৮* ও ১৯৮২ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ৯৮ করেছিলেন।[৫] ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বক্সিং ডে টেস্টে জেফ থমসনের ক্যাচ নিয়ে ইংল্যান্ডকে ৩ রানের নাটকীয় জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।
১৮ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে ডেভিড গ্রাভেনির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। চার সদস্যবিশিষ্ট দল নির্বাচকমণ্ডলীর তালিকায় তার সাথে পিটার মুরেজ, জেমস হুইটেকার ও অ্যাশলে জাইলস অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।[৬] মার্চ, ২০১৪ সালে ডার্বিশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট দলের সভাপতি মনোনীত হন জিওফ মিলার।
বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, জিওফ মিলার ক্রিকেটের চেয়েও অধিক খেলাকে উপভোগ করতেন। অন্যান্যদের ন্যায় তিনি খেলাকে তেমন অস্বাভাবিকভাবে নেননি। আট বছরের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি কখনো সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে যাননি যা অনেকেই আশা করেছিলেন।[১] তবে, ১৯৯০ সালে সিমন হিউজের মতে, মিলার সম্ভবতঃ শেষ খেলোয়াড় ছিলেন যিনি খেলা শেষে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতিপক্ষের ড্রেসিং রুমে গমন করে তাদেরকে খেলার জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করতেন। এছাড়াও শেষ ব্যক্তি হিসেবে স্লিপে ফিল্ডিং করাকালে জাম্পারে আবরণ ব্যবহার করতেন।[৭]
২০১৩ সালের শেষে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকের পদ থেকে অবসর নেয়ার পর অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) পদবীতে ভূষিত হন তিনি। ২০১৪ সালে নববর্ষের সম্মাননায় ক্রিকেটে সবিশেষ সেবা প্রদানের প্রেক্ষিতে তিনি এ পদবী লাভ করেন।[৮][৯]
এছাড়াও, চেস্টারফিল্ডে মস এন্ড মিলার নামের একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। চেস্টারফিল্ড এফ.সি’র ফুটবলার আর্নি মসকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন তিনি। নৈশভোজন শেষে জনপ্রিয় বক্তা হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার।[১]
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ডেভিড স্টিল |
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭৯-১৯৮১ |
উত্তরসূরী ব্যারি উড |