জেসপার হাউজ | |
---|---|
![]() জেসপার হাউজ ভিত্তিপ্রস্থর | |
অবস্থান | জেসপার জাতীয় উদ্যান, আলবার্টা, কানাডা |
নির্মিত | ১৮৩০ |
পরিচালকবর্গ | পার্কস কানাডা |
মনোনীত | ১৯২৪ |
জেসপার হাউজ কানাডার জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান। এটি আলবার্টা প্রদেশের জেসপার জাতীয় উদ্যানে, আথাবাস্কা নদীর তীরে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক বিরতি কেন্দ্র। ১৮১৩ হতে ১৮৮৪ পর্যন্ত দুটি ভিন্ন স্থানে হাউজটি স্থাপন করা হয়েছিল। কানাডিয় রকি পর্বত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া বাণিজ্যপথের জন্য এই হাউজটি একটি প্রধান যাত্রা বিরতি ও প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ কেন্দ্র ছিল।
জেসপার হাউজ নির্মাণের সময় 'রকি মাউন্টেন হাউজ' নামে পরিচিত ছিল। একই নামে উত্তর সাসক্যাচুয়ান নদীর তীরে আরেকটি বাণিজ্যিক পোস্ট থাকায় নামের বিভ্রান্তি এড়াতে নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। ১৮১৪ থেকে ১৮১৭ পর্যন্ত এই হাউজের পোস্টমাস্টার জেসপার হজের নামে জেসপার হাউজের নামকরণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, হাউজটি প্রথম অবস্থান বর্তমান অবস্থান হতে আরো ভাটিতে ব্রুল হ্রদের জল নির্গমন নালীর নিকটে স্থাপিত হয়েছিল। ১৮৩০ সালে ইয়েলোহেড গিরিপথ ও আথাবাস্কা গিরিপথ ধরে যাতায়াতকারী ভ্রমণকারীদের সেবা দিতে হাউজটি সরিয়ে বর্তমান স্থানে, জেসপার হ্রদের উত্তর প্রান্তে স্থাপিত হয়েছিল।[১] এসময় অনেক অভিযাত্রী, বাণিজ্য পরিচালনাকারী দল, শিল্পী ও ধর্মজাযক এই হাউজে যাত্রা বিরতি দিয়েছিলেন।[২]
১৮৫৩ পর্যন্ত কেন্দ্রটি সচল ছিল। ১৮৫৮ পর্যন্ত জেসপার হাউজটি মাঝে মাঝে যাত্রাবিরতির কাজে ব্যবহৃত হতো। হেনরি জন মোবারলি ১৮৬০-এর দশকে হাউজটি সাময়িকভাবে মৌসুমভেদে সচল রেখেছিলেন। দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর ১৮৮৪ সালে হাউজটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। খনিবিদ লুইস সুইফট ১৮৯১ অথবা ১৮৯২ হতে ১৮৯৪ পর্যন্ত এটিকে বসবাস ও যন্ত্রপাতি রাখার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। ১৯০৯ সালে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক প্যাসিফিক রেলওয়ে'র জরিপকারীরা নদীতে র্যাফটিং করার নৌকা তৈরীর জন্য এর ভবনের কাঠগুলি খুলে ফেলে, ফলে হাউজটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। কিছু ছোট কবর ছাড়া বর্তমানে কোন ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট নেই। ১৯২৪ সালে কানাডা সরকার স্থানটিকে কানাডার জাতীয় ঐতিহাসিক স্থানের তালিকাভূক্ত করে। বর্তমানে সেখানে একটি স্মারক ফলক স্থাপন করা আছে।[১]