জে. ডি. চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | নগুলপতি শ্রীনিবাস চক্রবর্তী ১৬ এপ্রিল ১৯৭২ |
অন্যান্য নাম | জে.ডি. |
মাতৃশিক্ষায়তন | চৈতন্য ভারতী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৮৯-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অনুকৃতি গোবিন্দ শর্মা (বি. ২০১৬) |
নগুলপতি শ্রীনিবাস চক্রবর্তী, যিনি পেশাগতভাবে জে. ডি. চক্রবর্তী নামে পরিচিতি, হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত তেলুগু চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন, তবে পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, মালয়ালম ও কন্নড় চলচ্চিত্রেও কাজ করেন।[১]
চক্রবর্তীর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে রাম গোপাল বর্মার মারপিটধর্মী ব্যবসাসফল তেলুগু চলচ্চিত্র শিব (১৯৮৯) দিয়ে। এরপর এই চলচ্চিত্রের হিন্দি পুনর্নির্মাণ দিয়ে তার বলিউডে অভিষেক ঘটে। তিনি ১৯৯৮ সালে বর্মার ব্যবসাসফল সত্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভারতীয় প্যানারোমা বিভাগে প্রদর্শিত হয় এবং এটি সিএনএন-আইবিএনের সর্বকালের ১০০ সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[২] চক্রবর্তী এই চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য স্ক্রিন পুরস্কারের বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করেন।
চক্রবর্তী সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তন্মধ্যে অধিকাংশই তেলুগু ও হিন্দি ভাষায় এবং স্বল্প সংখ্যক তামিল ও মালয়ালম ভাষায়। তিনি বক্স অফিসে ব্যবসাসফল নেতি সিদ্ধার্থ (১৯৯০), মানি (১৯৯৩), মানি মানি (১৯৯৫), ওয়ান বাই টু (১৯৯৩), গুলাবি (১৯৯৬), মৃগম (১৯৯৬), বোম্বে প্রিয়ুডু (১৯৯৬), অনগনগ ওকা রজু (১৯৯৭), এগিরে পাবুরাম (১৯৯৭), নেনু প্রেমিস্টা (১৯৯৭), ওয়াইফ অব ভি. বরপ্রসাদ (১৯৯৮), প্রেমাকু বেলায়ারা (১৯৯৯), পাপে না প্রণাম (২০০০), কান্নাথিল মুদামিত্তাল (২০০২), প্রেমাকু স্বাগতম (২০০২), মধ্যনম হত্যা (২০০৪), দুবাই সিনু (২০০৭), হোমাম (২০০৮), সিদ্ধম (২০০৯), জোশ (২০০৯), সর্বম (২০০৯), সমর (২০১৩), আরিমা নাম্বি (২০১৪), আইস ক্রিম ২ (২০১৪), ভাস্কর দ্য রাসকেল (২০১৬), ও শিখমণি (২০১৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত।[৩][৪]
তিনি হিন্দি ভাষার বাস্তু শাস্ত্র (২০০৪), আগ (২০০৭), ও ভূত রিটার্ন্স (২০১২) চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তিনি দরওয়াজা বন্ধ রাখো (২০০৬) চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ডরনা জরুরি হ্যায়, হোমাম ও সিদ্ধম চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
চক্রবর্তী ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা কর্ণাটকী সঙ্গীতশিল্পী ও অধ্যাপক কোবেলা শান্তা এবং পিতা সূর্যনারায়ণ রাও নগুলাপতি। তিনি সেন্ট জর্জস গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং চৈতন্য ভারতী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৫][৬] ২০১৬ সালের ১৮ই আগস্ট তিনি এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লখনউয়ের অনুকৃতি গোবিন্দ শর্মার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৭][৮]