ঝারসুগুড়া জেলা ଝାରସୁଗୁଡ଼ା ଜିଲ୍ଲା | |
---|---|
ওড়িশার জেলা | |
ওড়িশায় ঝারসুগুড়ার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
প্রশাসনিক বিভাগ | উত্তর ওড়িশা বিভাগ |
সদরদপ্তর | ঝারসুগুড়া |
তহশিল | ৫ |
আয়তন | |
• মোট | ২,১১৪ বর্গকিমি (৮১৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫,৭৯,৫০৫ |
• জনঘনত্ব | ২৭০/বর্গকিমি (৭১০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭৮.৮৬ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৫৩ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১২৯৬ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ঝারসুগুড়া জেলা(ওড়িয়া: ଝାରସୁଗୁଡ଼ା ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. ঝারসুগুড়া জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ৬ই পৌষ ১৪০০ বঙ্গাব্দে(২২শে ডিসেম্বর ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে) পূর্বতন সম্বলপুর জেলাটি থেকে নতুন জেলা ঝারসুগুড়া গঠিত হয়৷ জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ঝারসুগুড়া শহরে অবস্থিত এবং ঝারসুগুড়া মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
পুর্বতন সম্বলপুর জেলার অন্তর্গত এই অঞ্চলটির নাম ছিলো ঝারগুডা৷ সম্বলপুরের চৌহান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বলরাম দেব ঘন জঙ্গলাচ্ছাদিত ব্যাঘ্রসংকুল অঞ্চলটিতে নগরপত্তন করেন৷ ঘন জঙ্গলের উপস্থিতির জন্য ঝারগুডা নামটি এসেছে৷[১] কালক্রমে ঝারগুডা নামটি ঝারসুগুড়া নামে পরিবর্তিত হয়েছে৷ জেলাসদরের নামে জেলাটির নাম রাখা হয়৷
দুর্ভাগ্যবশত এটি ভারতের অন্যতম দারিদ্রপ্রবণ জেলা।
জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান), পূর্বে, দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ও দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের বারগড় জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের রায়গঢ় জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা৷[২]
জেলাটির আয়তন ২১১৪ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৫%৷
ঝারসুগুড়া জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
এই জেলাতে বসবাসকারী সিংহভাগ ওড়িয়াভাষী সম্বলপুরি/কোশলি ভাষাতে সাবলীল৷
মোট জনসংখ্যা ৫০৯৭১৬(২০০১ জনগণনা) ও ৫৭৯৫০৫(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ২৭তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৮% লোক ঝারসুগুড়া জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ২৪১ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৪ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৩.৬৯% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৫.২৫% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৫৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৪৩৷[৪]
জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৭০.৫৫%(২০০১) তথা ৭৮.৮৬%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৮২.০৮%(২০০১) তথা ৮৬.৬১%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৫৮.৩৬%(২০০১) তথা ৭০.৭৩% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১১.১৮%৷[৪]