প্রকার | হালকা নাস্তা |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | বাংলাদেশ, ভারত |
প্রধান উপকরণ | মুড়ি , চানাচুর , সরিষার তেল , লেবু , পেঁয়াজ , মরিচ , বুট , ধনে পাতা , টমেটো , বীট লবণ[১][২] |
ঝালমুড়ি একটি খাবার যা মুড়ি, চানাচুর ও অন্যান্য মসলা সংযোগে তৈরি হয়। ঝালমুড়ি বাংলাদেশ এবং ভারতে খুব জনপ্রিয়।[২] বিশেষ করে স্কুল, কলেজ অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে এটি সাধারণত ফেরি করে বিক্রি করা হয়। ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে ঝালমুড়িওয়ালা বলা হয়ে থাকে।
ঝালমুড়ির উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ অঞ্চলে।[৩]
মন্ডাক্কি, মুন্ডালু এবং চুরমুরির বিভিন্ন প্রকার উত্তর কর্ণাটকের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় নাস্তা। মেলা, উৎসব, বিবাহ পার্টি এবং অন্যান্য সামাজিক সভায় পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার হওয়ায় এটি কর্ণাটকের বাসিন্দাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এক কাপ গরম কফি বা চা সহ উপভোগ করেন।
চুরমুড়ি ব্যাঙ্গালোর এবং মাইসোরীয়দের কাছে পরিচিত। রাস্তার বিক্রেতারা সিজনিংয়ের সাথে মিশ্রিত ভাত বিক্রি করেন এবং একটি সংবাদপত্রের ঠোঙ্গায় পরিবেশন করে। চুড়মুড়ির জন্য কাঁচা পেঁয়াজ, কাটা সিলান্ট্রো, ছোলা গাজর এবং শুকনো ভাজা চিনাবাদামের সংমিশ্রণ সবচেয়ে জনপ্রিয়।
প্রথমে একটি বাটিতে মুড়ি, সিদ্ধ বুট আর চানাচুর নিতে হয়। পরে ধনে পাতা, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, লেবুর রস ছিটিয়ে দিতে হয়। সাথে পরিমান মত বীট লবণ। এবার বাটিকে বারবার ঝাঁকি দিয়ে মুড়ি মাখাতে হয় | কখনও মাংসের ঝোল ব্যবহার করা হয়। সাথে টমেটো, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা বা শসা ইত্যাদিও ব্যবহার করা যায়।[২] ডাল বেশি দিয়ে অনেকে খেতে পছন্দ করে। অনেকে ডাল কম। সাধারণত মটরশুঁটি ডাল সিদ্ধ করে দেওয়া হয়। একে গুমনি বলা হয়।
পরিবেশনকালে সাধারণত কাগজ দিতে তৈরি ঠোঙ্গা ব্যবহার করা হয়। আবার কখন কখন বাটিতে করে খাওয়া হয়। কাগজের ত্রিকোনাকৃতি একটা পাত্র বানিয়ে দেওয়া হয়। আর খেতে চামচ হিসেবে ব্যবহারের জন্য শক্ত কাগজ কেটে দেওয়া হয়। আবার অনেক জায়গায় স্পেশাল ঝালমুড়ি পাওয়া যায়। যার দাম একটু বেশি। মাংসও দেওয়া হয় অনেকসময়। পুরান ঢাকার মানুষ মাংস দেওয়া স্পেশাল ঝালমুড়ি পছন্দ করে।