টগর | |
---|---|
Tabernaemontana divaricata 'Flore Pleno' | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | জেনটিয়ানালেস (Gentianales) |
পরিবার: | অ্যাপোসাইনাসি (Apocynaceae) |
উপপরিবার: | Rauvolfioideae |
গোত্র: | Tabernaemontaneae |
উপগোত্র: | Tabernaemontaninae |
গণ: | Tabernaemontana Plum. ex L. 1753 |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
টগর ঝোপঝাড়বিশিষ্ট চিরহরিৎ গাছ। আগে টগরের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ছিল Ervatamia coronaria stapf. এখন বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemontana divaricata (L.) Br., যা Apocynaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি গর্ভশীর্ষ পুষ্প।[২] এটি এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং সমুদ্রিক দ্বীপপুঞ্জগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়।[৩][৪]
বাংলাদেশের সিলেটে একে দুধফুল বলে ডাকা হয়।[২] এছাড়া এর অন্যান্য প্রচলিত নাম কাঠ মালতী, কাঠমল্লিকা।
টগর দুই রকম- থোকা টগর ও একক টগর। বাংলাদেশ ও ভারতে এই দুই রকমের টগর পাওয়া যায়। একটি টগরের একক পাপড়ি, অন্যটির গুচ্ছ পাপড়ি। এদেরকে "বড় টগর" ও "ছোট টগর" বলা হয়।[২]
ঝাঁকড়া মাথার জন্য টগর গাছ সুন্দর। ডালগুলোও সোজা ওঠে না, বহু শাখা-প্রশাখা নিয়ে ঝোঁপের মতো বাগানের শোভা বাড়ায়। সুন্দর করে ছেঁটে দিলে চমৎকার ঘন ঝোঁপ হয়। কলম করে চারা করা যায়, আবার বর্ষাকালে ডাল পুতলেও হয়। টগর সমতল ভূমির গাছ। পর্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেখা যায়। বাংলাদেশের বনে-বাদাড়ে টগর এমনিতেই জন্মে। টগরের কাণ্ডের ছাল ধূসর। গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো কষ ঝরে বলে একে "ক্ষীরী বৃক্ষ" বলা যায়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও এক দেড় ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার আগা ক্রমশ সরু। ফুল দুধ-সাদা। সারা বছর ফুল ফোটে। থোকা টগরের সুন্দর মৃদু গন্ধ হয় কিন্তু একক টগরের গন্ধ নেই। ফুল থেকে ফলও হয়। তার মধ্যে ৩ থেকে ৬ত টি বীজ হয়। বড় টগরের বোঁটা মোটা এবং একক ফুল হয়। পাতাও একটু বড়।[২]
সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪০ টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে ৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছ ভারত উপমহাদেশে এসেছে।[২]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |