ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস রবার্ট ভাইভার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বিনলেই, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ৬ এপ্রিল ১৯৩৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জ্যাক ওয়াইল্ডারমাথ (দৌহিত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৬) | ৬ ডিসেম্বর ১৯৬৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ জুন ২০২০ |
টমাস রবার্ট ভাইভার্স (ইংরেজি: Tom Veivers; জন্ম: ৬ এপ্রিল, ১৯৩৭) কুইন্সল্যান্ডের বিনলেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রশাসক। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন টম ভাইভার্স।
কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা টুওম্বার ডাউনল্যান্ডস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখানে অবস্থানকালেই ক্লাব ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৫৫ সালে ব্রিসবেন ওভালে ডাউনল্যান্ডস কলেজের সদস্যরূপে গ্রিগরি টেরেস একাদশের বিপক্ষে ১৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পরবর্তীতে, কুইন্সল্যান্ড কোল্টসের অধিনায়কের দায়িত্বভার তার কাঁধে অর্পণ করা হয়। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস কোল্টসের বিপক্ষে ১২৬ রান তুলেছিলেন। আট বছরের মধ্যে এটিই আন্তঃরাজ্য গ্রিগরি কাপে দলের প্রথম শিরোপা জয়ের ঘটনা ছিল।
১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত টম ভাইভার্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ি জীবন চলমান ছিল। গতানুগতিক অফ স্পিনার হিসেবে তাকে কিছুকাল ব্যাগি গ্রীনের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। বোলিংয়ের তুলনায় ব্যাটিংয়েই তুলনামূলকভাবে ভালো খেলেন। বোলিং বেশ নিখুঁত ও সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় হলেও ব্যাটের কিনারা স্পর্শ করতে পারেনি।
১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। এছাড়াও, ঐ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। তবে, পরের মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত শেফিল্ড শিল্ডে দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হননি।
১৯৬২ সালে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে খেলার জন্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। খেলায় টেড ডেক্সটারের প্রথম ওভারেই দুইটি ছক্কা হাঁকান। দ্য টাইমসের সংবাদদাতা জন উডকক মন্তব্য করেন যে, ‘আমার ধারণা আজ যদি ডেক্সটারের তুলনায় অন্য বোলারও বোলিং করতেন তাহলেও তিনি বলে আঘাত করতে সক্ষম হতেন। মেলবোর্ন মাঠটি বেশ বড় ধরনের ও যে-কেউ এ ধরনের ছক্কা হাঁকিয়ে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন। ভাইভার্সের বিপক্ষে অফ স্পিনার ডেক্সটারের বল দুইবার সাইট স্ক্রিনে আঘাত হানে ও একবার ২০ গজ দূরে চলে যায়। ’[১] এমসিসি’র বিপক্ষে দুই খেলায় অংশ নিয়ে ৩১০ রান খরচায় ৩ উইকেট লাভ করেন। তাসত্ত্বেও তাকে টেস্ট খেলার জন্যে দলে রাখা হয়।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টম ভাইভার্স। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭ তারিখে জোহেন্সবার্গে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ব্রিসবেনের গাব্বায় সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ রান তুলেন ১/৪৮ লাভ করেন। তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট থেকে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে খেলার সুযোগ পান। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকানদের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ের কারণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
১৯৬৪ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। সিরিজের সবকটি টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল। দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন ও তিনবার তিন উইকেট করে লাভ করেন।
লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৭৬ হলেও তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান তুলেন। ওভালে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে ৬৭ রানে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। ১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ৬১১ রানের বিপরীতে তিনি ছয় বল নিয়ে গড়া ৫৫ ওভার বোলিং করেছিলেন। এটি টেস্টের ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘকালীন একাধারে বোলিং হিসেবে বিবেচিত। সিটি এন্ড থেকে শেষ ৮০ ওভারের ৭৫ ওভার তিনি বোলিং করেন। ইনিংস শেষে তার বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৯৫.১-৩৬-১৫৫-৩। এ সংখ্যাটি টেস্টে যে-কোন অস্ট্রেলীয়ের পক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ হিসেবে বিবেচিত। অপরিবর্তিত অবস্থায় ৫১/১ ওভার বোলিং নিরবিচ্ছিন্নভাবে করেন তিনি।
বব সিম্পসনের ৩০০ রানের ইনিংস খেলাকালীন স্ট্রাইকবিহীন অবস্থায় ছিলেন। এক টেস্ট বাদে ফ্রেড ট্রুম্যান নীল হককে আউট করে ৩০০তম উইকেট লাভের ক্ষেত্রেও তিনি স্ট্রাইকবিহীন ছিলেন।
এরপর, ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ভারত গমন করেন। এ সফরে তিনি আরও দুইটি অর্ধ-শতরান করেন ও ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৬৮ লাভ করেন। চেন্নাইয়ে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। এ পর্যায়ে বাপু নাদকর্নী’র বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান।
পরের ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা ৮৮ রান করেন। তাসত্ত্বেও, ১৯৬৫ সালে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমনে আসে। নিজ দেশে তেমন ভালো খেলা উপহার দিতে পারেননি। মাত্র চারটি উইকেট ও একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
টম ভাইভার্স | |
---|---|
অ্যাশগ্রোভ আসনের কুইন্সল্যান্ড আইনসভা পরিষদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২২ অক্টোবর, ১৯৮৩ – ১ নভেম্বর, ১৯৮৬ | |
পূর্বসূরী | জন গ্রীনউড |
উত্তরসূরী | অ্যালেন শার্লক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | অস্ট্রেলীয় |
রাজনৈতিক দল | লেবার |
দাম্পত্য সঙ্গী | রবিন স্টাটার্ড (বি. ১৯৬০) |
সম্পর্ক | মিক ভাইভার্স (কাকাতো ভাই), গ্রেগ ভাইভার্স (কাকাতো ভাই) |
পেশা | শিক্ষকতা |
১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা যান। এটিই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ ছিল। পরের বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। তার বোলিং মিতব্যয়ী হলেও সূক্ষ্ম ধরনের ছিল না। ৪০-এর অধিক গড়ে টেস্টে উইকেট পেয়েছেন।
খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ও ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত রাজ্য দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন টম ভাইভার্স। এরপর, ব্রিসবেন বেতার সম্প্রচার কেন্দ্রের নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে লেবার দলের সদস্যরূপে কুইন্সল্যান্ডের অ্যাশগ্রোভ নির্বাচনী আসনে বিজয়ী হন।[২] ১৯৮৮ সালে ব্রিসবেনে ওয়ার্ল্ড এক্সপো প্রদর্শনীতে অস্ট্রেলিয়ান প্যাভিলিয়নের কমিশনার-জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সময়কালে কুইন্সল্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চ ট্রাস্টের সভাপতি হন। ২০০০ সালে ঐ ইনস্টিটিউটের ফেলো মনোনীত হন।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সময়কালে কিউসিএ’র সভাপতি ছিলেন। ২০০৬ সালে তাকে কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের আজীবন সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়।[৩]
তার কাকাতো ভাই মিক ভাইভার্স ও গ্রেগ ভাইভার্স - উভয়েই অস্ট্রেলিয়ার রাগবি লীগে অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে, গ্রেগ ভাইভার্স জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীকালে মিক ভাইভার্স কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার দৌহিত্র জ্যাক ওয়াইল্ডারমাথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছে।[৪]
বিধানসভার আসন | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জন গ্রীনউড |
অ্যাশগ্রোভের সংসদ সদস্য ১৯৮৩–১৯৮৬ |
উত্তরসূরী অ্যালেন শার্লক |