ডাব্বাওয়ালা (আগে বলা হতো টিফিনওয়ালা) একজন ভারতীয়, বিশেষত মুম্বাইয়ে, যে কর্মচারীদের বাসা থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে তাদের অফিসে পৌছে দেয়। সকালের শেষদিকে ডাব্বাওয়ালারা বাসাবাড়িতে গিয়ে লাঞ্চবক্সে (ডাব্বা) ভরে দেয়া গরম গরম খাবার নিয়ে যায়, সাইকেল বা রেলওয়ের ট্রেনে চেপে তা লোকদের কর্মস্থলে পৌঁছে দেয় এবং বিকালে আবার খালি লাঞ্চবক্স ফিরিয়ে দিয়ে যায়। মুম্বাইয়ের খাদ্য সরবরাহকারীরাও ডাব্বাওয়ালাদের কাজে লাগায়; তখন তারা কেন্দ্রীয় রান্নাঘর থেকে তৈরি/রান্নাকরা খাবার বয়ে নিয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়।
মুম্বাইয়ে অধিকাংশ অফিস কর্মচারীরা বাইরের বা হোটেলের খাবারের চেয়ে ঘরে-তৈরি খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে, সাধারণত স্বাদ ও পরিচ্ছন্নতার জন্যে, যেকারণে এই শ্যবস্থার উৎপত্তি। অনেক মহিলারা ডাব্বাওয়ালাদের মাধ্যমে এরকম ঘরে-তৈরি খাবার সরবরাহ করে উপার্জন করেন।[১]
১৮শ দশকের শেষের দিকে মুম্বাইয়ে সারা ভারত থেকে অভিবাসীরা আসা শুরু করে। সে সময় ফাষ্টফুড বা ক্যান্টিন কোনটাই পর্যাপ্ত ছিল না। কর্মচারীরা সকাল সকাল অফিসের উদ্দেশ্যে বের হত ফলে দুপুরে হয়ত না খেয়ে বা আধপেটা থাকতে হত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব অভিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস এক ছিল না। প্রত্যেকের নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস থাকায় বাইরের খাবারে তেমন তৃপ্তি পাওয়া যেত না, যা ঘরের খাবারে ছিল। ১৮৯০ সালে মহাদেও হাভাজি বচিচি লাঞ্চ ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করেন প্রায় ১০০ লোক দিয়ে।[২] তিনি এতে সফল হন এবং সেবাটির পরিধি বাড়তে থাকে। ১৯৩০ সালে পরোক্ষভাবে এসব সেবাদানকারী ডাব্বাওয়ালাদেরকে একত্রিত করার চেষ্টা করেন। পরে ১৯৫৬ সালে নতুন মুম্বাই টিফিন বক্স সাপ্লার্য়াস ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থা গড়ে তোলা হয়।[৩] ১৯৬৮ সালে নতুন মুম্বাই টিফিন বক্স সাপ্লার্য়াস এসোসিয়েশন নামে ট্রাস্টটির বানিজ্যিক শাখা চালু করা হয়।[৪][৫]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Feeding_the_City2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি