ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডিওন ডিগবি ইব্রাহিম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বুলাওয়াও, জিম্বাবুয়ে | ৭ আগস্ট ১৯৮০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৯) | ১৯ এপ্রিল ২০০১ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৩) | ৭ এপ্রিল ২০০১ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ জানুয়ারি ২০০৫ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জুন ২০২০ |
ডিওন ডিগবি ইব্রাহিম (ইংরেজি: Dion Ebrahim; জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৯৮০) বুলাওয়াও এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড, ম্যাশোনাল্যান্ড এ, মাতাবেলেল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ স্পিন বোলিং করতেন ডিওন ইব্রাহিম।
হারারেভিত্তিক সিএফএক্স একাডেমিতে স্নাতকধারী হন। কর্তৃপক্ষের কোপানলে পরার পূর্ব-মুহুর্ত পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডিওন ইব্রাহিমের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে ছেড়ে চলে আসার পর যুক্তরাজ্যে নর্দান্টস প্রিমিয়ার ডিভিশনে স্টনি স্ট্রাটফোর্ড সিসি’র অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ক্লাবের শীর্ষ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের হক কাপ প্রতিযোগিতায় হয়েরা ইউনাইটেড ক্রিকেট ক্লাব ও তারানাকি সিসি’র পক্ষে খেলেছেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ঊনত্রিশটি টেস্ট ও বিরাশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডিওন ইব্রাহিম। ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে হারারেতে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২১ ও টেস্টে ৯৪ রান তুলেছিলেন।
শুরুতে বেশ নড়বড়ে অবস্থানে থাকলেও চার টেস্টের মধ্যেই ৭১ ও পরবর্তীতে মার্চ, ২০০২ সালে দিল্লিতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি ৯৪ রান তুলেন। এছাড়াও, ২০০৩ সালে বিবর্ণ ইংল্যান্ড সফরে দুই টেস্টের প্রত্যেকটিতেই তার অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল।
নভেম্বর, ২০০১ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২১ রানের প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলা বাদেই এ সংগ্রহটি গড়েন। তবে, একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুতলয়ে রান তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। মাত্র ৫৬.৮১ গড়ে রান তুলেছিলেন।
চার বছরের অধিক সময় জিম্বাবুয়ের নিয়মিত ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। টেস্টে ব্যাটিং উদ্বোধন ও একদিনের ক্রিকেটে মাঝামাঝি অবস্থানে নামতেন। চটপটে মনোভার ও ব্যাটিংয়ে দক্ষ থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তাসত্ত্বেও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উইকেটে রান সংগ্রহে তৎপর ছিলেন ও দক্ষ ফিল্ডারের ভূমিকায় নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট ছিলেন।
হিথ স্ট্রিককে বাদ দেয়ার পর দলের বয়োজ্যেষ্ঠ হন ও সহঃঅধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ২০০৫ সালের শেষদিকে বোর্ড ও খেলোয়াড়দের মধ্যে আর্থিক সংঘাতের কারণে তাকে বেশ চড়া দাম দিতে হয়।
২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েভিত্তিক বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্সের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। তুস্কার্সের পক্ষে খেলার সুবাদে আবারও তিনি জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণের দিকে এগিয়ে যান। তবে, সাধারণমানের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উপস্থাপনে তাকে আর জাতীয় দলে ডাকা হয়নি।
২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ার লিগে শেনলি ভিলেজের পক্ষে খেলেন। ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে নিউজিল্যান্ডের তারানাকিতে খেলেন।
জেডসি বোর্ডের সাথে নতুন করে চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সৌজন্যে প্রাপ্ত গাড়ি ব্যবহারের অপরাধে ডিওন ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, তার আইনজীবী পুলিশকে বলেন যে, জেডসি ডিওনের অসাধারণ খেলা প্রদর্শন থেকে প্রাপ্ত অর্থ দেয়নি। পরবর্তীতে জানা যায় যে, তাতেন্দা তাইবুও এ মামলার সাথে জড়িত রয়েছেন। উভয়কেই জেডসি $২০০,০০০ করে পরিশোধ করে। তাতেন্দা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান যে, তাকে পূর্ণাঙ্গ অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত গাড়িটি ফেরৎ দিবেন না। কিন্তু, জেডসি বোর্ড জানায় যে, ইব্রাহিমের আর্থিক দিকটি ভিন্ন ছিল ও তিনি জেডসি’র নিবন্ধকৃত গাড়ি চালিয়ে গেছেন। এ সমস্যাটির সমাধান হয়নি।[১]
২০১৮ সালে ক্যান্টারবারির প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ডঙ্কার্সের সহকারী হিসেবে ছিলেন তিনি।