ডিসাইড | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | টাম্পা, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | ডেথ মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৮৭-বর্তমান |
লেবেল | রোডরানার রেকর্ডস, ইয়ারাচি রেকর্ডস, সেঞ্চুরি মিডিয়া |
সদস্য | গ্লেন বেনটন স্টিভ অ্যাসেইম কেভিন কুইরিওন জ্যাক অয়েন |
প্রাক্তন সদস্য | Brian Hoffman eric Hoffman Dave Suzuki Ralph Santolla |
ওয়েবসাইট | deicide |
ডিসাইড (ইংরেজি: Deicide) একটি আমেরিকান ডেথ মেটাল ব্যান্ড যা ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের ডিসাইড ও লীজান অ্যালবাম দু’টি সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ডেথ মেটাল অ্যালবাম হিসাবে ২য় ও ৩য় স্থান দখল করে।[১] ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ডিসাইড ব্যান্ড মিশরীয় দেবতা আমুন-এর নাম ধারণ করে। ১৯৮৯ সালে রোডরানার রেকর্ডের অনুরোধে তারা তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখে ডিসাইড। ডিসাইড মানে মৃত্যুর দেবতা বা স্বর্গীয় আচরণকে খুন করার প্রবণতা।
ডিসাইড বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে। এন এম ই ম্যাগাজিনকে একটি সাক্ষাৎকার দেয়ার সময়ে গায়ক বেনটন বন্দুকের মাধ্যমে একটি কাঠবিড়ালকে হত্যা করে যাতে সেটা তাকে বিরক্ত করতে না পারে। বেনটন আরো স্বীকার করে যে মজা করার জন্য সে রোডেন্ড নামক প্রাণীকে জবাই করে নিজ হাতে। বেনটন ৩৩ বছর বয়সে আত্নহত্যা করার ঘোষণা দেয় যাতে যিশুর জীবনের উল্টা আয়না হতে পারে নিজে।[২]
ডিসাইড ব্যান্ডকে বিভিন্ন সময় মঞ্চ পরিবেশনা করতে নিষিদ্ধ করা হয়, যেমন চিলিতে, প্রচারণার পোস্টারে গুলিবিদ্ধ যিশুর ছবি থাকায় এবং হেলফেস্টে যেখানে কিছু কবর খনন করার ছবি চিত্রিত করা হয় দেয়ালে। তাদের মিউজিক ভিডিও "হোমেজ ফর স্যাটান" নিষিদ্ধ করা হয় ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল স্কুযে যেখানে কিছু রক্তমাখা জীবন্মৃত মানুষ একজন যাজককে ধরার চেষ্টারত।[৩] ডিসাইড ব্যান্ডের গায়ক গ্লেন বেনটন নিজেকে একজন আস্তিক স্যাটানিজম-এর অনুসারী হিসেবে দাবি করে। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে যখন ডিসাইড ব্যান্ড গোরফেস্ট ব্যান্ডের সাথে ইউরোপ সফর করছিল, তখন স্টকহোমের একটি কনসার্টে বোমা বিস্ফোরণ হয় এবং একটি দরজা ঊড়ে যায়। পুলিশ আসার আগে ডিসাইড ব্যান্ড কোনরকমে তিনটি গান পরিবেশন করতে সক্ষম হয়।
বেনটন নরওয়েজীয় ব্ল্যাক মেটাল দলগুলোকে দায়ী করে যেহেতু তারা ডেথ মেটাল ব্যান্ড। কিন্তু অনেকে মনে করেন প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ দলগুলো এ কাজ করে যেহেতু ডিসাইড ব্যান্ড প্রাণী হত্যা বৈধ মনে করে।[৪]