![]() ১৯৮৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডেভিড ক্যাপেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড জেমস ক্যাপেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | নর্দাম্পটন, ইংল্যান্ড | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ নর্দাম্পটন, ইংল্যান্ড | (বয়স ৫৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ক্যাপস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জর্দান ক্যাপেল (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫২৬) | ২ জুলাই ১৯৮৭ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ এপ্রিল ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৩) | ২ এপ্রিল ১৯৮৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ এপ্রিল ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ অক্টোবর ২০১৬ |
ডেভিড জন ক্যাপেল (ইংরেজি: David Capel; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ - মৃত্যু: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০) নর্দাম্পটনে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] পূর্বে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের সদস্য ছিলেন। ৬ ফুট দীর্ঘদেহী ও ‘ক্যাপস’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড ক্যাপেল ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষেও খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। ক্রিকেট লেখক কলিন ব্যাটম্যানের মতে, ডেভিড ক্যাপেল দূর্ভাগ্যজনকভাবে অল-রাউন্ডার ইয়ান বোথামের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেননি।[১][২]
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ২৯.৬৮ গড়ে ১২,২০২ রান তোলেন। তন্মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ১৭৫। এছাড়াও, ৩২.১৮ গড়ে ৫/৪৬ উইকেট সংগ্রহ করেন। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান করেন ৭/৪৪।
ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ফলশ্রুতিতে তাকে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতে হতো।[১] ইংল্যান্ডের পক্ষে পনের টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিতে পেরেছেন।[৩] আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে উভয় স্তরের ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ২০-এর নিচে ও বোলিং গড় ৫০ ঊর্ধ্ব ছিল। তাস্বত্ত্বেও ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে করাচীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ২৫ ইনিংসে ১৩বার ৬ বা তার কম রান তুলেছিলেন। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ভিভ রিচার্ডসকে তিনবার আউট করেছিলেন। পাশাপাশি গ্রাহাম গুচের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দলের জ্যামাইকা টেস্ট জয়ী হওয়া খেলায় চারজন পেসারের একজনরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
১৯৯৮ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৪] ঐ বছরের শেষদিকে নর্দাম্পটনশায়ারে একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ কাউন্টি দলের প্রধান কোচ মনোনীত হন। দলটিকে তিনি ২০০৯ সালের টুয়েন্টি২০ ফাইনালে প্রথমবারের মতো উপনীত করতে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। এরপর ২০১১ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দলকে প্রথম বিভাগে উত্তরণ ঘটান। ২ জুলাই, ২০১২ তারিখে নর্দান্টস ক্রিকেট ঘোষণা করে যে, ক্যাপেল প্রধান কোচ/ম্যানেজার হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।[৫] দ্বিতীয় একাদশের কোচ ডেভিড রিপলে তার স্থলাভিষিক্ত হন। দীর্ঘ ৩২ বছর নর্দাম্পটনশায়ারের খেলোয়াড় ও কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।[৬][৭] ২০১৩ সালে ক্যাপেলকে ইংল্যান্ড মহিলা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৫ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে বিসিবি তাকে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচরূপে চারমাসের জন্য নিযুক্ত করে।[৮][৯] তবে, বিসিবি কর্তৃপক্ষ তার চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
পরের মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য দলের এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিবেন। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার মমতা মাবেন, সাবেক শ্রীলঙ্কান পেস বোলার জনক গামাগে ও সাবেক অস্ট্রেলীয় উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান শেন ডিৎজের পর চতুর্থ বিদেশী কোচ হিসেবে মনোনীত হলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য মহিলা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের পাশে থাকবেন। ওডিআই মর্যাদা পাওয়ায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে দশ-জাতির প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। শীর্ষ চার দল জুন, ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য প্রধান প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পাবে।
মে, ২০২০ সালে নর্দাম্পটনশায়ার সিসিসি হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০]
রোড কম্প্রিহেনসিভে অধ্যয়ন করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। জর্দান ক্যাপেল নামে তার সন্তান রয়েছে। ২০১৮ সালে তার মস্তিষ্কের টিউমার ধরা পড়ে ও অস্ত্রোপচার করতে হয়।[১১] অতঃপর, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে নর্দাম্পটন এলাকায় রোগের সৃষ্ট জটিলতায় ৫৭ বছর বয়সে ডেভিড ক্যাপেলের দেহাবসান ঘটে।[১২][১৩]