ডোবকা

ডোবকা
ডোবকা
Dobokha
শহর
ডোবকা আসাম-এ অবস্থিত
ডোবকা
ডোবকা
ভারতবর্ষের আসামে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′০″ উত্তর ৯২°৫২′০″ পূর্ব / ২৬.১১৬৬৭° উত্তর ৯২.৮৬৬৬৭° পূর্ব / 26.11667; 92.86667
দেশ ভারত
রাজ্যআসাম
জেলাহোজাই
সরকার
 • শাসকডোবকা টাউন কমিটি
উচ্চতা৬১ মিটার (২০০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)[]
 • মোট১১,০৪৩
ভাষা
 • সরকারীঅসমীয়া
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+5:30)
নিকটতম শহরহোজাই
লিঙ্গ অনুপাত১.০৮ /

ডোবকা (বা ডবকা নামে পরিচত ) শহরটি ভারতবর্ষের আসাম রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে নগাঁও জেলাতে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল। এটি ভারতীয় মহাজনপদের একটি প্রাচীন জনপদ ছিলো। এটি বর্তমানে নবগঠিত হোজাই জেলায় অবস্থিত৷

জনপরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

২০০১ সনের ভারতীয় আদমশুমারি:[]- দবকার জনসংখ্যা ছিল ১১,০৪৩। পুরুষদের জনসংখ্যা ৫১% এবং অপরপক্ষে মহিলাদের হার ৪৯%। দবকার সাক্ষরতার হার ৮৫% যা জাতীয় গড় ৬৬.৫% - এর তুলনায় অনেক বেশি : পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং মহিলাদের মধ্যে এই হার ৭৯%। এই শহরের ৬ বছরের কম বয়সীদের জনসংখ্যা ১২% ।

২০১১ সনের ভারতীয় আদমশুমারি:[]- দবকা শহরের মোট জনসংখ্যা ১৩,১১৮ যার মধ্যে ৬,৬৭৫ জন পুরুষ এবং ৬,৪৪৩ জন মহিলা। (০-৬) বছরের শিশুর সংখ্যা ২,১১৮, মোট জনসংখ্যার ১৬.১৫ % । মহিলা লিঙ্গ অনুপাত ৯৬৫, যেখানে রাজ্যের গড় লিঙ্গ অনুপাত ৯৫৮। তাছাড়া দবকাতে শিশু লিঙ্গ অনুপাত ১,০২১, তুলনায় আসাম রাজ্যের গড় ৯৬২ জন। সাক্ষরতার হার ৭৬.৭৩%, রাজ্যের গড় ৭২.১৯% এর তুলনায় বেশি। পুরুষ ও মহিলা সাক্ষরতার হার যথাক্রমে ৮১.৩৮%, ৭১.৮৬%।

ভৌগোলিক অবস্থান

[সম্পাদনা]

দবকা গড় সমুদ্রতল থেকে প্ৰায় ৬১ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত[]

৩৬ নং জাতীয় মহাসড়ক দবকাকে নগাঁও এবং ডিমাপুর  শহরের সাথে যুক্ত করেছে।

চারিদিকেতে বেষ্টিত পাহাড় শহরটিকে আসামের সুন্দর শহরে পরিণত করেছে।

সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

দবকার সংস্কৃতি ঐতিহ্যগত উৎসব, খাদ্য, সঙ্গীত এবং নাটমন্দিরের একটি মিশ্রণ। শহরটি আসামের অন্যান্য শহরের তুলনায় আকার ও প্রাচুর্যে নানাবিধ খাদ্য, বিনোদন ও রাত্রি জীবনের সঙ্গে একটি মিশ্রিত এবং বিচিত্র জীবনধারা উপলব্ধি করায়। দবকার ইতিহাস সংস্কৃতির, ধর্মের এবং খাবার সহাবস্থানের বিচিত্র পরিসীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে শহরে নেতৃত্বাধীন হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই আসামের সর্বাঙ্গ থেকে মানুষদের অভিপ্রয়াণের কারণে শহরটির সংস্কৃতির একটি অনন্য মিশ্রণ। হিন্দুদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যার সাথে এখানকার বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান । দবকার বাসিন্দারা উভয় পাশ্চাত্য এবং ভারতীয় উৎসব উদ্‌যাপন করে। শহরটির কিছু জনপ্রিয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে দীপাবলী, দোল, ঈদ, বড়দিন, নবরাত্রি, গুড ফ্রাইডে, বিহু, মহরম, দুর্গাপূজা এবং মহাশিবরাত্রি।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

হোজাই পর দোবোকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক আগর রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি প্রযুক্তিগত শহর এবং ব্যাংকক, লাওস, সিঙ্গাপুরের মতই দবকা আসামের উন্নত শহরের অন্যতম । শহরটি আসামের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় দিক থেকে দশম স্থান অর্জন করেছে। নিম্ন শ্রেণীর পরিবারের বেশিরভাগই ধান চাষ, গম চাষ, আখ চাষের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছেন। যদিও বিপুল পরিমাণের চাল উৎপাদনের তুলনায় অতি সামান্য জমি। নিচু পাহাড়ের অন্তরালে মাটির প্রাকৃতিক উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে চাষ উৎপাদনে গতিবৃদ্ধপ্রাপ্ত করে তুলে।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ভারতবর্ষের ২০০১ সনের আদমশুমারি::২০০১ সনের আদমশুমারি তথ্য, গ্রাম ও শহরাঞ্চল সহ (গণনা)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১ 
  2. "তালিকাঃ৩: জনসংখ্যা, ০-৬ বয়সের মধ্যে জনসংখ্যা এবং লিঙ্গানুসারে সাক্ষরতা- শহর(বর্ণানুসারে): ২০০১"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৬ 
  3. "দবকার ২০১১ সনের আদমশুমারি" 
  4. "দবকার মানচিত্র এবং জলবায়ু" 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]