তপন রায়চৌধুরী Tapan Raychaudhuri | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ | (বয়স ৮৮)
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পুরস্কার | ওয়াটমুল পুরস্কার |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ইতিহাস |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | C.C. Davies |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | শাহিদ আমীন, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, গওহর রিজভী, সুরঞ্জন দাস |
অধ্যাপক তপন রায়চৌধুরী (জন্ম ৮ মে, ১৯২৬ - মৃত্যু ২৬ নভেম্বর, ২০১৪) একজন ভারতীয় ইতিহাসবেত্তা যিনি ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনার জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি দীর্ঘকাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ইতিহাস ও সভ্যতা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।
তার জন্ম ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে, বাংলাদেশের বরিশালে, কীর্তিপাশায়, এবং সেখানেই তার স্কুল জীবন অতিবাহিত হয়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ছেড়ে তারা ভারতে চলে আসেন। অতঃপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন এবং উভয বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি, ফিল, ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি, লিট, ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকেঁ সম্মানসূচক ডি, লিট, উপাধি প্রদান করে। জীবনের শুরু থেকেই তপন রায় চৌধুরী শিক্ষকতাকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করেন। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় তার বহু গ্রন্থ এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও গবেষণামূলক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৯ সালে কলকাতার পাক্ষিক দেশ পত্রিকায় তার আত্মজীবনী ধারাবাহিকভাবে মূদ্রিত হয়।[১] তার লেখা গ্রন্থ ইউরোপ রিকনসিডার্ড ১৯৮৭ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হয়। রোমন্থন ও ভীমরতিপ্রাপ্তর পরচরিতচর্চা তার লেখা প্রথম বাংলা বই।[২] ইতিহাস বিষয়ে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৭ সালে তাকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৩]
তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনার মধ্যে কতিপয়[৪] নিম্নে তালিকাভূক্ত করা হল:
গবেষণার পাশাপাশি তপন রায়চৌধুরী আত্মজীবনীর নানাদিক নিয়ে লিখেছেন তিনবার[৪] তিনটি আলাদা গ্রন্থে:
পেশাগত দক্ষতার আলোকে তিনি অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।[৪] এর কতিপয় হল:
নয় খণ্ডে প্রকাশিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস রচনায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক উইলিয়াম রাদিচ উদ্বুদ্ধ হওয়ার পেছনে তপন রায় চৌধুরীর ভূমিকা স্মরণীয়।[৪] তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বতন্ত্র বিদ্যাচর্চার বিষয়াদিকে বিশ্ববিদ্যার পাশাপাশি ভারত বিদ্যারূপে বিশ্বময় সর্বত্র প্রসার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় অক্সফোর্ডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[৫]
|তারিখ=
(সাহায্য)