ত্যাগরাজ(থ্যাগরাজ) | |
---|---|
জন্ম | কাকরলা ত্যাগব্রহ্মম্ ৪ মে ১৭৬৭ |
মৃত্যু | ৬ জানুয়ারি ১৮৪৭ | (বয়স ৭৯)
পেশা | কর্ণাটকী সুরকার |
ত্যাগরাজ ( তেলেগু : త్యాగరాజ) (৪ মে ১৭৬৭ - ৬ জানুয়ারী ১৮৪৭), থ্যাগ্যা বা কাকারলা থ্যাগব্রহ্ম ছিলেন কর্ণাটিক সঙ্গীতের ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একজন সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। ত্যাগরাজ ও তার সমসাময়িক শ্যামা শাস্ত্রী ও মুথুস্বামী দীক্ষিতর, কর্ণাটকী সঙ্গীতের ত্রিত্ব হিসাবে বিবেচিত হন। ত্যাগরাজ হাজার হাজার ভক্তিমূলক রচনা সৃষ্টি করেছিলেন। অধিকাংশই তেলুগুতে ও রামের প্রশংসামূলক। এর মধ্যে অনেকগুলি আজও জনপ্রিয়।
সর্বাধিক জনপ্রিয় হল "নাগুমোমু"। [৩]
পঞ্চরত্ন কৃতী ( অনু. "পাঁচ রত্ন") নামে তাঁর পাঁচটি বিশেষ রচনা আছে যা প্রায়শই তাঁর সম্মানে অনুষ্ঠানগুলিতে গাওয়া হয় এবং উৎসব সম্প্রদায় কৃতী ( অনু. উৎসব অনুষ্ঠানের রচনা) প্রায়শই মন্দিরাচারে গাওয়া হয়। [৪]
থ্যাগরাজ মারাঠা রাজবংশের চারজন রাজা - তুলাজা II (১৭৬৩-১৭৮৭), অমরসিংহ (১৭৮৭-১৭৯৮), দ্বিতীয় সেরফোজি (১৭৯৮-১৮৩২) ও দ্বিতীয় শিবাজি (১৮৩২-১৮৫৫)-এর রাজত্বকালের মধ্যে বেঁচে ছিলেন, [৫] যদিও তিনি এদের কারো অধীনে চাকরি করতেন না।
থ্যাগরাজ ১৭৬৭ সালে কাকারলা থ্যাগব্রহ্মম্ নামে [Note ১] এক তেলেগু বৈদিকি মুলাকানাড়ু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যা [৬] [৭] বর্তমান তামিলনাড়ুর তিরুভারুর জেলার তিরুভারুরে অবস্থিত। সংগীতবিদ বিএম সুন্দরমের মতে, তিরুভাইয়ারু হলো তার জন্মস্থান। তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ। তার পারিবারিক নাম 'কাকারলা' ইঙ্গিত করে যে তারা মূলত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাসাম জেলার কুম্বুম তালুকের একই নামের গ্রামের অভিবাসী ছিলেন। তাঁর পরিবার স্মার্ত ঐতিহ্য ও ভরদ্বাজ গোত্রের অন্তর্গত। থ্যাগরাজ ছিলেন তার পিতামাতার তৃতীয় পুত্র।পঞ্চনদ ব্রহ্মম্ ও পঞ্চপক্ষ ব্রহ্মম্ ছিলেন তার বড় ভাই। তাঁর জন্মস্থান তিরুবারুর মন্দিরের প্রধান দেবতা ত্যাগরাজের নামানুসারে তাঁর নামকরণ করা হয় থ্যাগব্রহ্ম/থ্যাগরাজ। থ্যাগরাজের মামা ছিলেন গিরিরাজ কবি । গিরিরাজ ছিলেন একজন কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ। গিরিরাজ অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার কুম্বম তালুকের কাকারলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। [৮] তিনি মুলাকানাডু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। থ্যাগরাজের মাতামহের নাম ছিল কালহাস্তেয়।তিনি একজন প্রখ্যাত বীণা বাদক ছিলেন বলে প্রায়শই তাঁকে বীণা কালহাস্তেয় নামে সম্বোধন করা হতো। থ্যাগরাজ বাল্যকালে কালহাস্তেয় থেকে বীণা বাজানো শিখেছিলেন। কালহাস্তেয়র মৃত্যুর পর ত্যাগরাজ নারাদীয়ম্ নামে একটি সঙ্গীত সম্পর্কিত বই খুঁজে পান। [৯] [১০] [১১] ত্যাগরাজ বীর-আরাধনা করেছিলেন স্বর্গীয় দেবর্ষি নারদকে ; এর একটি প্রমাণ হলো থ্যাগরাজের কৃতি বর নারদ (রাগ বিজয়শ্রী, আদি তালম্)। জনশ্রুতি আছে, এক সন্ন্যাসী তাকে নারদের আহ্বানযোগ্য একটি মন্ত্র শিখিয়েছিলেন। থ্যাগরাজ এই মন্ত্রের ধ্যান করে নারদের দর্শন পান ও ঋষির দ্বারা স্বর্ণবম্ গ্রন্থে ব্যুৎপত্তির আশীর্বাদ লাভ করেন। শেষ সময়ে, থ্যাগরাজ সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। [১২] [১১]
থ্যাগরাজ ৭৯ বছর বয়সে ১৮৪৭ সালের ৬ জানুয়ারী পুষ্য বহুলা পঞ্চমী দিনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ গ্রন্থ ছিল গিরিপাই নেলাকোন্না (রাগ সাহানা, আদি তালম্)। [৭] তিরুবাইয়ারুতে কাবেরী নদীর তীরে তাকে দাহ করা হয়। [১৩]
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "Note" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="Note"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি