থানচি | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() রেমাক্রী খাল | |
![]() মানচিত্রে থানচি উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২১°৪৭′১০″ উত্তর ৯২°২৫′৩৫″ পূর্ব / ২১.৭৮৬১১° উত্তর ৯২.৪২৬৩৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | বান্দরবান জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৬ |
সংসদীয় আসন | ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | বীর বাহাদুর উশৈ সিং (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১,০২০.৮২ বর্গকিমি (৩৯৪.১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৩,৫৯১ |
• জনঘনত্ব | ২৩/বর্গকিমি (৬০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ২৬.৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৬৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ০৩ ৯৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
থানচি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
থানচি উপজেলার আয়তন ১০২০.৮২ বর্গ কিলোমিটার (২,৫২,২৫০ একর)।[১][২] এটি আয়তনের দিক থেকে বান্দরবান জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা।[৩]বান্দরবান জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশ জুড়ে ২১°১৫´ থেকে ২১°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°২০´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে থানচি উপজেলার অবস্থান।[২] বান্দরবান জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার।[৪] এ উপজেলার উত্তরে রুমা উপজেলা, দক্ষিণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য, পূর্বে মিয়ানমারের চিন রাজ্য ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে আলীকদম উপজেলা ও লামা উপজেলা।
মার্মা শব্দ থাইন চৈ বা বিশ্রামের স্থান থেকে থানচি নামটির উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, ১৯৫০ সালে বা তার পূর্বে নৌপথে চলাচল কালে যাত্রীগণ বিশ্রামের জন্য এ স্থানে থামতেন বলে থাইন চৈ নামে স্থানটি পরিচিত ছিল, পরে তা থানচি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।[৫]
১৯৭৬ সালে থানচি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় প্রতিস্থাপন করা হয়।[২] এ উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ থানচি উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম থানচি থানার আওতাধীন।
১৮২৪ সালে বার্মা-ব্রিটিশ যুদ্ধের পর থানচি উপজেলা আরাকান ব্রিটিশ-ভারতের প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে থানচি ও এর প্রতিবেশী অঞ্চলে আরাকানীদের অভিবাসন সহজ হয়। অভিবাসীরা এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে এবং ১৯০০-এর রেগুলেশন-১ (পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়াল) এদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দেয়।[২]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী থানচি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৩,৫৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,৩৪৪ জন এবং মহিলা ১১,১৪৭ জন। মোট পরিবার ৪,৮৭২টি।[১] মোট জনসংখ্যার ৭.৬৫% মুসলিম, ২.২৬% হিন্দু, ৫৪.৬৮% বৌদ্ধ, ২৬.৭৫% খ্রিস্টান এবং ৮.৬৬% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[২]
ধর্মবিশ্বাস-২০২২ [৭]
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী থানচি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৯,৭৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,৬৯৬ জন এবং মহিলা ১৪,০৯৪ জন। মোট পরিবার ৪,৮৭২টি।[১] মোট জনসংখ্যার ৮.৮০% মুসলিম, ১.৫৫% হিন্দু, ৪২.৩৪% বৌদ্ধ, ৩৪.৪৩% খ্রিস্টান এবং ১২.৮৭% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[২] এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, খেয়াং, ত্রিপুরা, খুমী, খিও, ম্রো ও বম উপজাতি গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[৪]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী থানচি উপজেলার সাক্ষরতার হার ২৬.৯%।[১] এ উপজেলায় ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৪]
থানচি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-থানচি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বাস।
থানচি উপজেলায় ৩টি মসজিদ, ২টি মন্দির, ৩১টি বিহার এবং ২৯টি গীর্জা রয়েছে।[৪]
থানচি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী।[৯] এছাড়া রয়েছে রেমাক্রী খাল।
থানচি উপজেলার প্রধান হাট-বাজার ২টি, থানচি বাজার এবং বলিপাড়া বাজার।[১০]
থানচি উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:[১১]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[১২] | সংসদ সদস্য[১৩][১৪][১৫][১৬][১৭] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
৩০০ পার্বত্য বান্দরবান | বান্দরবান জেলা | বীর বাহাদুর উশৈ সিং | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান[১৮] | ক্যহ্লাচিং মার্মা |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান[১৮] | চসাথোয়াই মার্মা |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান[১৮] | বেগম বকুলী মারমা |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা[১৯] | জাহাঙ্গীর আলম |