দেবশঙ্কর রায় | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | অ-রৈখিক গতিবিদ্যা এবং তাত্ত্বিক বর্ণালীবীক্ষণ সম্পর্কিত গবেষণা |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা |
দেবশঙ্কর রায় (জন্ম ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ) একজন ভারতীয় ভৌত রসায়নবিদ এবং কলকাতায় অবস্থিত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স-এর ভৌত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।[১] তিনি অ-রৈখিক গতিবিদ্যা এবং তাত্ত্বিক বর্ণালীবীক্ষণ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য পরিচিত[২] তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী,[৩] পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমী[৪] এবং ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির[৫] নির্বাচিত ফেলো। ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগে রাসায়নিক বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার প্রদান করে। এটি বিজ্ঞানের অঙ্গনে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ পুরস্কার[৬]
দেবশঙ্কর রায় ১৯৫৪ সালের ২রা জানুয়ারিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে টাইমস রিলিজড বর্ণালিবীক্ষণ সন্দর্ভ দিয়ে পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। পিএইচডি অর্জনের পরে[৭] ১৯৮৪ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।[৮] ১৯৮৬ সালে তিনি যখন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে সিনিয়র প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'বছর কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর কেরিয়ারের বাকী সময় অতিবাহিত করেছিলেন। এই সময়কালে তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একজন পাঠক, ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক, ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধান, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সিনিয়র অধ্যাপক এবং ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একাডেমিকের ডিন বা যাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও সম্মানসূচক আনুষদ (অনুষদ সদস্য) বা ফ্যাকাল্টি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক দেবশঙ্কর রায় তাত্ত্বিক বর্ণালী এবং অ-রৈখিক গতিবিদ্যা সম্পর্কে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন বলে জানা যায়।[৯][১০] পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স-এ তার গবেষণাগুলোতে স্পিন বাথের প্রক্রিয়ার দিকেই আলোকপাত করেছিল যার ভিত্তিতে তিনি অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছিলেন।[৭] তার গবেষণাগুলো কোয়ান্টাম ব্রাউনিয়ান মোশন ইন সি-নাম্বারস: থিওরি অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনস নামে একটি বই হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।[১১] পাশাপাশি অন্যান্যদের সাথে যৌথভাবে রচিত বিভিন্ন বইয়ের অধ্যায় হিসাবে[১২] এবং বেশ কয়েকটি সমকালীন-পর্যালোচিত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ হিসেবেও এগুলো প্রকাশিত হয়েছে। গুগল স্কলার নামক বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধের একটি অনলাইন ভান্ডার তার রচিত গবেষণা নিবন্ধের মধ্যে ১৮১টি নিবন্ধ তালিকাভুক্ত করেছে।[১৩] তিনি বেশ কয়েকজন ডক্টরাল বিদ্যার্থীকে তাদের গবেষণাকাজে তত্ত্বাবধান ও সঞ্চালনা করেছেন।[১৪][১৫] পুনশ্চ তিনি অরৈখিক পদ্ধতি এবং গতিবিদ্যা (সিএনএসডি) সম্মেলনের জাতীয় আয়োজক কমিটির সদস্য হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন।[১৬]
১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সালব্যাপী অধ্যাপক দেবশঙ্কর রায় জাতীয় শিক্ষাবৃত্তিধারী ছিলেন।[৮] ১৯৮৪ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি থেকে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছিলেন।[১৭] কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ তাকে ১৯৯৯ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর ভটনাগর প্রদান করে যা বিজ্ঞান অঙ্গনে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ পুরস্কার।[১৮] তিনি ১৯৯৫ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি কর্তৃক তাদের ফেলো হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫] এরপর ২০১৪ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] পাশাপাশি তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান একাডেমিরও একজন নির্বাচিত ফেলো।[৪]