ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দেবাশীষ সর্বেশ্বর মোহন্তি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২০ জুলাই, ১৯৭৬ ভুবনেশ্বর, ওড়িশা, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১৩) | ৯ আগস্ট ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৭) | ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ জুলাই ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ অক্টোবর ২০২০ |
দেবাশীষ সর্বেশ্বর মোহন্তি (ওড়িয়া: ଦେବାଶିଷ ମହାନ୍ତି; জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯৭৬) ওড়িশার ভুবনেশ্বর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে ওড়িশা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন দেবাশীষ মোহন্তি।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেবাশীষ মোহন্তি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বেশ দূর্বল রাজ্য দল থেকে দেবাশীষ মোহন্তি’র উত্থান ঘটে ও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। নিজ মেধাগুণে ভারত দলে যুক্ত হন তিনি। ভারত এ-দলের পক্ষে খেলেন। লিকলিকে গড়নের অধিকারী দেবাশীষ মোহন্তি বলে পেস আনয়ণ করতে পারতেন।
দেবাশীষ মোহন্তি রঞ্জী ট্রফিতে ওড়িশা এবং দিলীপ ট্রফিতে পূর্ব অঞ্চলের পক্ষে খেলতেন। ২০০০-০১ মৌসুমে পূর্ব অঞ্চলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এক ইনিংসে ১০/৪৬ লাভের ন্যায় বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হন। আগরতলায় অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় প্রতিপক্ষীয় দল ছিল দক্ষিণ অঞ্চল। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।[১]
মোহন্তি’র বোলিংশৈলী কোচ কে শ্রীকান্তকে উজ্জ্বীবিত করে ও তাকে জাতীয় দলে দ্রুত ঠাঁই দেয়া হয়। উপযুক্ত পরিবেশে তার মিডিয়াম পেস বোলিং বেশ কার্যকর ছিল। দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে সঠিক সময়ে ও সঠিক জায়গায় রাখতে পারেননি। ইংরেজ পরিবেশে তিনি নিশ্চিতরূপে প্রথম একাদশে খেলার উপযোগী ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও পঁয়তাল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন দেবাশীষ মোহন্তি। সবগুলো টেস্টই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৯ আগস্ট, ১৯৯৭ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৯ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে মোহালিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
টেস্টের তুলনায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেয়েছেন। ৩০ গড়ে উইকেট পেয়েছেন ও প্রতি খেলা থেকে একের অধিক উইকেট পান। খেলোয়াড়ী জীবনের এক পর্যায়ে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের সাথে নতুন বল নিয়ে দূর্দান্তভাবে জুটি গড়েন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তবে, ঐ বিশ্বকাপে তাকে শেষ মুহুর্তে দলে রাখা হয়। তবে, তাকে মূল তালিকায় রাখা হয়নি। ঐ প্রতিযোগিতায় ভারতের শীর্ষ উইকেট শিকারী জাভাগাল শ্রীনাথের তুলনায় চার খেলা কম খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।
ভারতীয় পরিবেশে তার বোলিংয়ের ধরন তেমন কার্যকর ছিল না। কেবলমাত্র কলকাতা ও মোহালিতে তিনি সফলকাম হয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি কিছুটা নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান। তবে, অজিত আগরকরকে তার তুলনায় এগিয়ে রাখা হয়েছিল।
নিচেরসারিতে মারকূটে ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও ভারতীয় দলের সাফল্যে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। কার্যকরী নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দর্শকদের মন জয় করেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতীয় ক্রিকেটে ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি ও ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান রাহুল সাংভি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে দর্শকদের বিনোদনের চেষ্টা চালান। তবে, এগুলো দলের পরাজয়কে রুখতে পারেনি।
১৭ ওডিআইয়ে অংশ নিয়ে ২০-এর অল্প বেশি গড়ে ২৯ উইকেট পান। এরফলে, আইসিসি ওডিআই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ২০-এ ঢুকেন। তবে, অজিত আগারকরের প্রত্যাবর্তনে তার খেলার সুযোগ কমে যেতে থাকেন। এরপর তিনি আর মাত্র সাত খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে টরন্টোয় অনুষ্ঠিত সাহারা কাপ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিজয়ী ভারতীয় দলে হরবিন্দর সিংয়ের সাথে অন্যতম ভূমিকা রাখেন।
২০০১ সালে ভারত দল থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে বিবেচনায় রাখা হয়নি। শচীন তেন্ডুলকর এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ১৯৯৭ সালের সাহারা কাপ প্রতিযোগিতায় ৩ খেলায় সাঈদ আনোয়ারের উইকেট পেলে তিনি তাকে বলেছিলেন যে, মোহন্তিকে মোকাবেলা করা বেশ কঠিন। ২০০৬ সালে পেশাদারী খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েলসের কলিন বে ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন।
ভুবনেশ্বরভিত্তিক নালকো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। ২০১১ সালে রঞ্জী ট্রফিতে ওড়িশ্যা দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। মাইকেল বেভানের পরিবর্তে তিনি এ দায়িত্ব পান। তার পরিচালনায় পূর্ব অঞ্চল দিলীপ ট্রফির প্রথম শিরোপা বিজয়ে সমর্থ হয়। সাত বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৭ সালে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শিব সুন্দর দাসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[২]