দেবেন্দ্র বিশু

দেবেন্দ্র বিশু
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
দেবেন্দ্র বিশু
জন্ম (1985-11-06) ৬ নভেম্বর ১৯৮৫ (বয়স ৩৯)
নিউ আমস্টারডাম, গায়ানা
উচ্চতা৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮৯)
১২ মে ২০১১ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৩ জুন ২০১৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৭)
১৭ মার্চ ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই১৫ অক্টোবর ২০১১ বনাম বাংলাদেশ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৭-বর্তমানগায়ানা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি টি২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ১৩ ৬৫
রানের সংখ্যা ১৯৮ ১০ ৯৫৪
ব্যাটিং গড় ১৫.২৩ ২.০০ ১১.০৯ ০.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩০ * ৪৭*
বল করেছে ৩,৫৯৮ ৬৬৬ ১৪,৯২৭ ৯৪
উইকেট ৫০ ২০ ২৮৫
বোলিং গড় ৩৭.৪২ ২৩.৮০ ২৫.৮৯ ১৬.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭ -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৮০ ৩/৩৪ ৯/৭৮ ৪/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ২/– ৩৬/– -/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৮ জুন ২০১৫

দেবেন্দ্র বিশু (ইংরেজি: Devendra Bishoo; জন্ম: ৬ নভেম্বর, ১৯৮৫) গায়ানার বারবিসের নিউ আমস্টারডাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।[] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি লেগ-স্পিনার হিসেবে খেলছেন। পাশাপাশি নিচের সারিতে বামহাতে ব্যাটিং করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্বাডোস ট্রাইডেন্ট, বারবিস, গায়ানা ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাধ্যমে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।[] ঐ বিশ্বকাপে আঘাতপ্রাপ্ত ডোয়াইন ব্রাভো’র পরিবর্তে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটেছিল।[] ১৭ মার্চ, ২০১১ তারিখে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার অভিষেক হয়। খেলায় তিনি নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন।[] ভারতীয় উপমহাদেশের ধীরগতিসম্পন্ন পিচের সুবিধাদি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গতিতে বোলিং করে সফলকাম হন।[] কিন্তু তারপর থেকেই খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। ফলশ্রুতিতে সুনীল নারাইনশেন শিলিংফোর্ডের দলে অন্তর্ভুক্তি ঘটে।

সেন্ট লুসিয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান ও দলকে ৭ রানের জয় এনে দেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। মার্চ, ২০১২ সালে দল নির্বাচকমণ্ডলী সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআই সিরিজে তাকে বিশ্রামে রাখেন। আশা করা হয়েছিল যে, তিনি হয়তো টেস্টে অধিক কার্যকরী হবেন।[] কিন্তু একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়ে ১৬৯ রানে মাত্র ১ উইকেট পান।[] ফলশ্রুতিতে মে, ২০১২ সালে অফ-স্পিনার শেন শিলিংফোর্ডকে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত করা হয়।

৪ জুন, ২০১৫ সালে রোজো’র উইন্ডসর পার্কে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের ২য় দিনে ১ম ইনিংসে নিজস্ব সেরা ৬/৮০ লাভ করেন। এছাড়াও, প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান লেগ স্পিনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।[] কিন্তু তার এ বোলিং পরিসংখ্যান স্বত্ত্বেও তার দল ৯ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

২০১১ সালে তিনি আইসিসি’র বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারে ভূষিত হন।

টেস্টে ৫ উইকেট

[সম্পাদনা]
# বোলিং পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
৫/৯০  বাংলাদেশ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঢাকা বাংলাদেশ ২০১১
৬/৮০ ১৩  অস্ট্রেলিয়া উইন্ডসর পার্ক রোজো ডমিনিকা ২০১৫

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Profile espncricinfo Retrieved 20 March 2011
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. Veera, Sriram (১৯ জুন ২০১১), Kohli and Bishoo pursue greatness, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১১ 
  4. Brettig, Daniel (৩ এপ্রিল ২০১২), Tourists suspect against spin – Baugh, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২ 
  5. Records / The Frank Worrell Trophy, 2011/12 / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২ 
  6. Brettig, Daniel (৪ জুন ২০১৫), Bishoo spins a Dominican web, West Indies v Australia, 1st Test, Roseau, 2nd day, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]


পূর্বসূরী
স্টিভেন ফিন
বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়
২০১১
উত্তরসূরী
সুনীল নারাইন