![]() | |
গঠিত | ১৯২৪ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | সিদ্দিক হোসেন |
ধরন | ধর্মীয় |
উদ্দেশ্য | ধর্মীয় শিক্ষা |
সদরদপ্তর | আসিফ নগর, হায়দ্রাবাদ, ভারত |
যে অঞ্চলে কাজ করে | ভারত, সৌদি আরব & পাকিস্তান |
প্রেসিডেন্ট | ফুকরা-ই-দ্বীনদার আঞ্জুমান |
সম্পৃক্ত সংগঠন | সুফিবাদ |
ওয়েবসাইট | www |
ভারত কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন |
দ্বীনদার আঞ্জুমান ভারতের হায়দ্রাবাদে প্রতিষ্ঠিত একটি ইসলামী ধর্মীয় সংগঠন। এটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সুফিবাদে বিশ্বাসী একটি সংগঠন। ২০০০ সালে দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত গীর্জাগুলোতে একাধিক বোমা বিস্ফোরণ চালানোর জন্য এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
সিদ্দিক দ্বীনদার (সৈয়দ সিদ্দিক হুসেন নামেও পরিচিত) ১৯২৪ সালে কর্ণাটকের গদগ শহরে দ্বীনদার আঞ্জুমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে। তিনি ১২ শতকের লিঙ্গায়ত সাধক চন্না বসভেশ্বরের পুনর্জন্ম বলে দাবি করে। ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা প্রচারে তিনি তার জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি ইসলাম ও লিঙ্গায়ত্ববাদের মিলের কথা সারা দক্ষিণ ভারতে প্রচার করেন। কেউ কেউ বিশ্বাস করে তিনি কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন।[১][২]
২০০০টি গ্রীর্জায় বোমা হামলার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করা জন্য ২০০১ সালের মে মাসে দ্বীনদার আঞ্জুমান সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।[৩] সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকী দ্বীনদার ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারকে ঘৃণা করতেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ শাসন চলাকালে সিদ্দিকী এবং তার ১৮ জন অনুসারীকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বক্তব্য ও লেখায় লিপ্ত থাকার জন্য জেলে পাঠানো হয়।[৪]
অক্টোবর ২০০৭-এ সংগঠনটির ২০০১ সালের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং গোষ্ঠীটিকে "বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের" অধীনে একটি বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২]
২০০৮ সালে স্থানীয় আদালত ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। মামলার প্রধান আসামি জিয়া-উল-হাসান দ্বীনদার আঞ্জুমানের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সিদ্দিক হোসেনের ছেলে। জিয়া-উল-হাসান পাকিস্তানে চলে যায় এবং প্রতিবছর তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে হায়দ্রাবাদ যেত। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছিল যে "ভারতের গির্জাগুলোতে হামলা চালালে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে এবং আফগানিস্তানের একজন ধর্মীয় নেতা ভারত আক্রমণ করে দখলে নিয়ে ভারতকে একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে।" আর এই কারণে তারা ২০০১ সালে গির্জায় হামলা চালায়।[৫]
১৯২০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত দ্বীনদার আঞ্জুমানের কর্মীরা ভারতে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিকল্পনাটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হজরত মওলানা সিদ্দিকী পরিচালনা করে। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে হায়দ্রাবাদে তিনি মূত্যুবরণ করেন।[৫]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা।