দ্য চার্জ অব দ্য লাইট ব্রিগেড | |
---|---|
![]() আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন | |
প্রকৃত শিরোনাম | The Charge of the Light Brigade |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
প্রকাশের তারিখ | ৯ ডিসেম্বর ১৮৫৪ |
“দ্য চার্জ অব দ্য লাইট ব্রিগেড” (The Charge of the Light Brigade) হলো ক্রিমিয়ার যুদ্ধের বালাক্লাভা লড়াইয়ে লাইট ব্রিগেডের দায়িত্ব অর্পণ নিয়ে আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন কর্তৃক ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে লিখিত একটি বর্ণনাত্মক কবিতা। তিনি ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর কবিতাটি লেখেন এবং সে বছরের ৯ ডিসেম্বর দ্য এক্সামিনার পত্রিকায় এটি প্রকাশিত হয়। তিনি সে সময় যুক্তরাজ্যের রাজকবি ছিলেন।
১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাজ্য যখন ক্রিমিয়ার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন বিভিন্ন ছদ্মনামে অনেক দেশাত্মবোধক কবিতা লেখেন। পণ্ডিতদের মতে, টেনিসন তার জীবনের প্রথম দিককার কবিতায় কিছু প্রথাগত নিয়ম ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু চল্লিশের দশকে এই সমস্ত নিয়মের ব্যবহার কমিয়ে দেন।[১] “দ্য চার্জ অব দ্য লাইট ব্রিগেড” (এ.টি. ছদ্মনামে লিখিত) প্রভৃতি কবিতার ছন্দ “রাজকবির উপযুক্ত নয়” বিবেচনায় তিনি এই সমস্ত ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন।[২]
বালাক্লাভার যুদ্ধে অশ্বারোহী লাইট ব্রিগেডের দুরবস্থা ও বহু হতাহতের ঘটনার পর টেনিসন এই কবিতাটি লেখেন। মূলত দ্য টাইমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত দুইটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে টেনিসন এই কবিতাটি লেখেন। এর মধ্যে প্রথমটি ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত হয়, যাতে লেখা ছিল:
(ইংরেজি)
«The British soldier will do his duty, even to certain death, and is not paralyzed by the feeling that he is the victim of some hideous blunder.» |
(বাংলা)
«একজন ব্রিটিশ সৈন্য নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তার কর্তব্য পালন করে যাবে; এমনকি তাকে জঘন্য ভুলের মাশুল দিতে হবে জেনেও কেউ থমকে যাবে না।» |
এই প্রতিবেদনের শেষ তিনটি শব্দ “some hideous blunder” (কিছু জঘন্য ভুল) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে টেনিসন কবিতায় “Some one had blunder'd” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন।[৩] সেই বছরেরই ২ ডিসেম্বর দ্য টাইমস কর্তৃপক্ষের একটি স্মৃতিচারণামূলক প্রকাশনা দেখে টেনিসন মাত্র কয়েক মিনিটে এই কবিতাটি লিখে ফেলেন।[৪] এছাড়াও একই সময়ে টেনিসন অনুরূপ ভাবার্থের “রাইফেলম্যান ফর্ম!” প্রভৃতি কবিতা লেখেন।[৫]
মার্কিন কবি ফ্রেডরিক গোডার্ড টাকারমেন প্রমুখের সমালোচনার কারণে টেনিসন তার কবিতায় কিছুটা পরিবর্তন করেন।[৬] এগুলো মড অ্যান্ড আদার পোয়েমস (১৮৫৫) নামে একটি গ্রন্থে সংকলন করা হয়। এই সংকলনটি সমালোচিত হয়; এমনকি টেনিসন এবং টাকারমেনও এর সমালোচনা করেন।
জেন, লেডি ফ্রাঙ্কলিনের পরামর্শে টেনিসন ক্রিমিয়ার রণাঙ্গনে সৈন্যদের জন্য এই কবিতার প্রায় এক হাজার প্রতিলিপি প্রেরণ করেন।[৭] এর জন্যই তিনি তিনি মড অ্যান্ড আদার পোয়েমস-এর জন্য কিছু সংশোধনের কথা ভেবেছিলেন এবং এই সংশোধনটিই ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে মড-এর দ্বিতীয় সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।[৮]
১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে টেনিসনের নিজের কণ্ঠে এই কবিতার আবৃত্তি ওয়াক্স সিলিন্ডারে ধারণ করেন।
“দ্য চার্জ অব দ্য লাইট ব্রিগেড”-এর প্রথম প্রকাশের প্রায় চল্লিশ বছর পর রুডইয়ার্ড কিপলিং “দ্য লাস্ট অব দ্য লাইট ব্রিগেড” (১৮৯১) নামের একটি কবিতা লিখেন। তিনি লাইট ব্রিগেডের মাধ্যমে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে বয়স্ক অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের কীরকম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা সহজিয়া পন্থায় তুলে ধরেছেন। মূলত যোদ্ধাদের এরূপ দুরবস্থা সত্ত্বেও ব্রিটিশ জনগণ শুধুমাত্র অর্থসাহায্যের প্রস্তাব করলে, তিনি তাদের ধিক্কার দিয়ে এই কবিতাটি লিখেছিলেন।[৯]
|name-list-style=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)