দ্য ড্যানিশ গার্ল | |
---|---|
The Danish Girl | |
পরিচালক | টম হুপার |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | লুসিন্ডা কক্সটন |
উৎস | ডেভিড এবারশফ কর্তৃক দ্য ড্যানিশ গার্ল |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আলেকসঁদ্র দেসপ্লা |
চিত্রগ্রাহক | ড্যানি কোহেন |
সম্পাদক | মেলানি অ্যান অলিভার |
পরিবেশক | ফোকাস পিকচার্স (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ইউনিভার্সাল পিকচার্স (আন্তর্জাতিক) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট[১] |
দেশ |
|
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১৫ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৬৪.২ মিলিয়ন[৩] |
দ্য ড্যানিশ গার্ল টম হুপার পরিচালিত ২০১৫ সালের মার্কিন জীবনীনির্ভর প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। এটি ডেভিড এবারশফ রচিত ২০০০ সালের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এবং ডেনীয় চিত্রশিল্পী লিলি এলবে ও গের্দা ভেগেনারের জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত।[৪] এতে এলবে চরিত্রে অভিনয় করেন এডি রেডমেইন ও ভেগেনার চরিত্রে অভিনয় করেন আলিসিয়া ভিকান্দার। এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন সেবাস্টিয়ান কোচ, বেন হুইশ, অ্যাম্বার হার্ড, ও মাথিয়াস শোয়েনার্টস।
চলচ্চিত্রটি ৭২তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়,[৫][৬] এবং টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ উপস্থাপন শাখায় প্রদর্শিত হয়।[৭] ২০১৫ সালের ২৭শে নভেম্বর ফোকাস পিকচার্সের পরিবেশনায় চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত আকারে মুক্তি পায়।[৮] চলচ্চিত্রটি ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি ইউনিভার্সাল পিকচার্স ইন্টারন্যাশনালের পরিবেশনায় যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়।[৯]
ঐতিহাসিক ঘটনাবলির ভুল চিত্রায়নের কারণে চলচ্চিত্রটির সমালোচিত হলেও রেডমেইন ও ভিকান্দারের অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন এবং প্রায় সকল পুরস্কার আয়োজনে প্রধান অভিনয়শিল্পীদের পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। ভিকান্দার তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন এবং রেডমেইন তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন; এছাড়া চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ নির্মাণ পরিকল্পনা ও শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।
১৯২০-এর দশকের মাঝামাঝিতে কোপেনহেগেনে পোট্রেট চিত্রকর গের্দা ভেগেনার একটি পোট্রেট আঁকছিলেন। কিন্তু তার নারী মডেল আসতে দেরি হওয়ায় তিনি তার পরিবর্তে তার স্বামী জনপ্রিয় ল্যান্ডস্কেপ চিত্রকর এইনার ভেগেনারকে নারী মডেল হিসেবে দাঁড় করান।
নারী মূর্তি হিসেবে দাঁড় হওয়ার পর এইনারের আজীবন লুক্কায়িত নারী সত্তার প্রকাশ পায়। তিনি এই সত্তার নাম দেন লিলি এলবে। এটি তার প্রথম পরীক্ষামূলক ও পরে অপরিবর্তনীয় সত্তার অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখে এবং তিনি তার এইনার পরিচয় ত্যাগ করেন। লিলি ও গের্দা দুজনেই প্যারিসে চলে যাওয়ার পর লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত হয়। গের্দার আঁকা লিলির পোট্রেট তার বাকি চিত্রকর্মগুলো থেকেও শিল্প ব্যবসায়ীদের অধিক নজর কাড়ে। লিলির বাল্যবন্ধু হান্স আক্সগিল এই বিষয়টি ধরতে সক্ষম হন। হান্স ও গের্দা একে অপরকে পছন্দ করে কিন্তু লিলির সাথে হান্সের দীর্ঘ বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা তাকে লিলি ও গের্দা দুজনের প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণে বাধ্য করে।
লিলি নিজেকে পুরুষ হিসেবে সহ্য করতে পারছিলেন না এবং তিনি মনোবিদের সাহায্য নিতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুতেই ভালো ফল আসছিল না এবং একটি ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতোমধ্যে হান্সের পরামর্শে লিলি ও গের্দা ডক্টর কুর্ট ভার্নেক্রসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভার্নেক্রস তাকে বলেন তিনি তার মত এমন কিছু লোকদের সম্পর্কে জানেন যারা দৈহিকভাবে পুরুষ হলেও মানসিকভাবে নারী এবং তিনি নতুন, অভিনব ও বিতর্কিত সমাধানের প্রস্তাব করেন। সেটি হল পুরুষ থেকে নারী লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারি। এতে দুই অংশবিশিষ্ট প্রক্রিয়া বিদ্যমান। প্রথমে লিলির জননাঙ্গ অপসারণ করা হবে এবং সুস্থ্য হওয়ার পর সেখানে নারী যৌনাঙ্গ প্রতিস্থাপন। তিনি লিলি ও গের্দাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন এটি খুবই বিপজ্জনক অস্ত্রোপচার। এ ধরনের অস্ত্রোপচার আগে কখনো করা হয়নি এবং লিলিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হবেন। লিলি তাতে সায় দেন এবং কিছুদিনের মধ্যে সার্জারির জন্য জার্মানিতে পাড়ি জমান।
লিলি সার্জারির জটিলতায় মারা যায়। লিলির আঁকা পাঁচটি গাছ চিত্রকর্মের সাথে ডেনমার্কের একটি পর্বতচূড়ায় গের্দা ও হান্সকে দেখানোর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়। লিলি ও গের্দার মধ্যে একাধিকবার বিনিময় হওয়া গের্দাকে দেওয়া লিলির ওড়নাটি বাতাসে উড়ে চলে যায়।
২০১৫ সালের ৪ঠা মে ফোকাস পিকচার্স দ্য ড্যানিশ গার্ল চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের ২৭শে নভেম্বর।[১১] ২০১৫ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ৭২তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটির বৈশ্বিক উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।[১২][১৩] ইউনিভার্সাল পিকচার্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য অঞ্চলে চলচ্চিত্রটির পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করে এবং ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে এটি মুক্তি দেওয়া হয়।[৯]
২০১৬ সালের ১লা মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলচ্চিত্রটির ডিভিডি ও ব্লু-রে সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[১৪]
২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি লিলি এলবে চরিত্রে এডি রেডমেইনের প্রথম চিত্র প্রকাশ করা হয়।[১৫] আগস্ট মাসে রেডমেইন ও ভিকান্দারের এক জোড়া পোস্টার প্রকাশিত হয়।[১৬] ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটির প্রথম ট্রেইলার প্রকাশিত হয়,[১৭] এবং ১৯শে নভেম্বর চলচ্চিত্রটির প্রথম ভিডিও দৃশ্য প্রকাশিত হয়।[১৮]